অনলাইন ডেস্ক ॥ তিন সদস্যের একটি প্রতারক চক্র ইকোম্যাক্স নামের একটি আমদানি-রপ্তানির ব্যবসার নামের একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। চক্রটি যাত্রাবাড়ী এলাকায় অফিস ভাড়া করে দামি ফার্নিচার দিয়ে অফিস সাজিয়ে ব্যবসা করছিল। অল্প সময়ে কম খরচে চীন থেকে গ্রাহকের চাহিদা মতো পণ্য এনে দেওয়ার কথা বলে ৫০ ভাগ টাকা অগ্রিম নিত তারা। অল্প খরচে দ্রুত সময়ের মধ্যে চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্য আমদানি-রপ্তানির কথা বলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিত চক্রটি।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও প্রাথমিক তদন্তে সত্যতার ভিত্তিতে গত রাতে প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তারা হলেন- আরাফাত হোসাইন ও মো. নাজিম উদ্দিন।
বুধবার (২৫ মে) বেলা ১১টার দিকে সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডি ঢাকা মেট্রোর অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইমাম হোসেন।
সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে মালামাল পৌঁছে যাওয়ার কথা বলে আরও ২০ ভাগ টাকা নিত। চক্রটি মানুষের আস্থা অর্জনের জন্য চুক্তিপত্র করত। তাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া পণ্যের মধ্যে ছিল পোশাক কারখানার সরঞ্জাম, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ, মেডিকেল সরঞ্জাম, বাইক, কাপড় সিলিকাজেল, লোগো ইত্যাদি।
তাদের ভাড়া করা মার্কেটিং কর্মকর্তাদের বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে যার যে ধরনের পণ্য দরকার, তা চীন থেকে আনার অফার দিতেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে সময়ক্ষেপণ করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে অফিস পরিবর্তন করে মোবাইল বন্ধ করে পালিয়ে যেতেন।
ইমাম হোসেন বলেন, চক্রের সদস্যরা এর আগে চীনে লেখাপড়া করেছেন। আরেক সদস্য চীন থেকে মেডিকেল যন্ত্রাংশ কেনার জন্য যাওয়া-আসা করতেন। চক্রের সদস্যরা এখন পর্যন্ত ৩৫ জন ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে প্রায় তিন কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অন্যান্য আরো ভুক্তভোগীদের কাছ থেকেও বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে জানা গেছে।
গ্রেপ্তার আরাফাত হোসাইন রাজধানীর ওয়ারী থানার ভজহরী স্ট্রিটের মো. আহসান উল্লাহর ছেলে। তিনি ইকোম্যাক্স কার্গোর চেয়ারম্যান। আর মো. নাজিম উদ্দিন ঢাকার গেন্ডারিয়া থানার মুরাদপুর হাইস্কুল সড়কের ২৫ নম্বর বাড়ির আবদুল জব্বারের ছেলে। তিনি ইকোম্যাক্স কার্গোর অর্থ পরিচালকের দায়িত্ব পালন করতেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: