ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নাশকতা মামলায় স্থায়ী জামিন পেলেন খালেদা

প্রকাশিত: ২৩:১৯, ২৫ মে ২০২২

নাশকতা মামলায় স্থায়ী জামিন পেলেন খালেদা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ৫ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত। এদিকে কুমিল্লায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার হাইকোর্ট ও বিশেষ আদালত এ আদেশগুলো প্রদান করেছেন। নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ৫ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার-৯ (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এই দিন ধার্য করেন। খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় মঙ্গলবার তিনি আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। এজন্য তার পক্ষে আইনজীবী অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ৫ জুলাই দিন ধার্য করেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি সাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। ২০১৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়। মামলার আসামিরা হলেন- বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ (প্রয়াত), সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন (প্রয়াত), সে সময়ের প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মোঃ শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া-বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। কুমিল্লায় নাশকতার মামলায় খালেদা জিয়ার স্থায়ী জামিন ॥ কুমিল্লায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা করা হয়েছে। ন্যায়বিচার পেলে সব মামলায় তিনি খালাস পেতেন। আর জামিন দিলেও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া তার অপব্যবহার করেন না। এ মামলা তার প্রমাণ। এ মামলায় আগে অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছিলেন। তিনি সেটার অপব্যবহার করেননি। এখন এ মামলায় তার জামিনের রুল মঞ্জুর হয়েছে। অর্থাৎ তার জামিন এখন স্থায়ী হয়েছে। ২০১৯ সালের ৬ মার্চ এ মামলায় হাইকোর্ট রুলসহ ৬ মাসের জামিন দেন। পরে খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। একই বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেছিলেন। এরপর ২৭ ফেব্রুয়ারি জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন খালেদা জিয়া। ২০১৫ সালের শুরুর দিকে ২০ দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে দুষ্কৃতিকারীদের ছোড়া পেট্রোল বোমায় আইকন পরিবহনের একটি বাসের কয়েকজন যাত্রী অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়। আহত হন আরও ২০ জন। সেসব ঘটনায় দুটি মামলা করা হয়।
×