ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

নীলফামারীতে কৃষি আবহাওয়ার তথ্য বোর্ড অকেজো

উপকার পাচ্ছে না কৃষক

প্রকাশিত: ২১:৩৫, ২৪ মে ২০২২

উপকার পাচ্ছে না কৃষক

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ কৃষি আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয়ার জন্য স্থাপিত কৃষি আবহাওয়া প্রযুক্তি কৃষকদের কোন কাজে আসছে না। এ জন্য জেলায় ৬০টি ইউনিয়নের ভবনে স্থাপিত স্বয়ংক্রিয় রেইন গজ মিটার এবং তথ্য বোর্ডগুলো অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। সোমবার খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বোর্ড স্থাপন করা হলেও এর কার্যক্রম স¤পর্কে কিছুই জানেন না সাধারণ কৃষক। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, এ বিষয়ে তারা অবগত নন। ঢাকা থেকে লোক এসে এগুলো স্থাপন করে গেছেন। এ সম্পর্কে কোন ফাইল বা তথ্য আমাদের নেই। এদিকে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, সারাদেশের ন্যায় নীলফামারী জেলার ৬০টি ইউনিয়নে এই যন্ত্রের মাধ্যমে তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বায়ুপ্রবাহ, বৃষ্টিপাত, ঝড়ের পূর্বাভাস,আলোকঘণ্টাসহ ১০টি বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ ও তা প্রকাশের ব্যবস্থা রাখা হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আওতায় এই কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মাঠপর্যায়ের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও কর্মকর্তাকে তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি করে ট্যাব দেয়ার কথা। তাঁরা কৃষকদের বা উপকূলীয় এলাকায় জেলে থেকে শুরু করে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস প্রদান করবে। এ জন্য প্রকল্পভুক্ত ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের ছাদে রেইন গজ মিটার ও সৌরবিদ্যুতের প্যানেল বসানো হয়েছিল। আর আবহাওয়ার তথ্য হালনাগাদ করার জন্য তথ্যবোর্ড স্থাপন করা হয় ইউপি পরিষদ চত্বরের দর্শনীয় স্থানে। নিয়ম অনুযায়ী, ৬ দিনের আবহাওয়ার হালনাগাদ তথ্য এই বোর্ডে আপডেট থাকার কথা। কিন্তু বিভিন্ন ইউপিতে স্থাপন করা এসব বোর্ডে তথ্য কবে হালনাগাদ করা হয়েছে, সে স¤পর্কে কেউ ওয়াকিবহাল নয়। খালিশা চাপানি ইউপির চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম জানান, বোর্ডটি শুধু আমার পরিষদের সামনে লাগানো আছে মাত্র। এ স¤পর্কে আমি কিছুই বলতে পারব না। কৃষি বিভাগের কেউ তদারকিও করে না। টেপাখড়িবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মইনুল হক জানান, আবহাওয়ার পূর্বাভাস সংক্রান্ত ডিসপ্লে বোর্ড টাঙ্গানো আছে ঠিকই। কিন্তু এ স¤পর্কে আমিও জানি না, আমার ইউনিয়নের কৃষকরাও জানেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বলেন, শুনেছিলাম আমাদের দিয়ে মনিটরিং করানো হবে। কিন্তু এ পর্যন্ত কোন প্রশিক্ষণ বা ট্যাব পাইনি। আমরা এ স¤পর্কে কিছুই এখনও জানি না। ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেকেন্দার আলি জানান, ২০১৯-২০ অর্থবছরে কৃষি আবহাওয়া তথ্যপদ্ধতি উন্নতিকরণের জন্য একটি প্রকল্প থেকে বোর্ডগুলো দেয়া হয়েছে। ঢাকা থেকে লোকজন মনিটরিং করে থাকেন। কোন সমস্যা বা অকার্যকর হলে তারাই বিষয়গুলো দেখবেন।
×