ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে কলেজ ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু, অভিযুক্ত স্বামী আটক

প্রকাশিত: ২০:০৮, ২৩ মে ২০২২

টাঙ্গাইলে কলেজ ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু, অভিযুক্ত স্বামী আটক

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল ॥ টাঙ্গাইল পৌর শহরের দেওলা এলাকায় রিনা আক্তার মায়া (২০) নামে এক কলেজ ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রবিবার রাতে ভাড়াটিয়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মায়া সরকারি কুমুদিনী কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। জেলার কালিহাতী উপজেলা মহেলা গ্রামের হাবিল উদ্দিনের মেয়ে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী ওয়াহেদুল ইসলাম প্রান্তকে আটক করেছে। অভিযুক্ত প্রান্ত পৌর শহরের বিশ্বাস বেতকা মুন্সিপাড়া এলাকার সালাম খানের ছেলে। জানা যায়, গত দেড় বছর আগে শহরের বিশ্বাস বেতকা মুন্সিপাড়া এলাকার সামাল খানের ছেলে প্রান্তর সাথে মায়ার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই ওই কলেজছাত্রীকে শারিরিক ও মানুষিক ভাবে নির্যাতন করতো। এ কারণে মায়ার বাবা হাবিল উদ্দিনের মেয়ের জামাতা প্রান্তর বাবার কাছে অভিযোগ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রান্ত দেওলার ভাড়াটিয়া বাসায় যায়। মায়ার বাবা হাবিল উদ্দিন জানান, বাসায় অন্যদের অনুপস্থিতির সুযোগে আমার মেয়ের উপর চড়াও হন। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে মায়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর মায়ার মরদেহ গলায় ওড়না পেচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রেখে ডাকচিৎকার করে বুঝাতে চায় যে আত্মহত্যা করেছে। প্রতিবেশিরা পুলিশকে খবর দিলে মরদেহ উদ্ধার করে। প্রান্তকে পুলিশ আটক করে। অভিযুক্ত প্রান্তর বাবা সামাল খান জানান, স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার একপর্যায়ে রীনা আক্তার মায়া গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমার ছেলে প্রান্তকে অহেতুক দোষা রোপ করা হচ্ছে। টাঙ্গাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন জানান, এ বিষয়ে মেয়ের বাবা বাদী হয়ে প্রান্তকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত প্রান্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
×