স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর কাফরুলে বাসায় ঢুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে এক গৃহকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের নাম ফাতেমা আক্তার (৩৫)। রবিবার দুপুর ১২টার দিকে কাফরুল ইব্রাহিমপুর ঈদগাঁ রোডের ৯৩৯ নম্বর বাড়ির দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। ঈদের পর থেকে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করে আসছিলেন ফাতেমা। তার দ্বিতীয় স্বামী তাকে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে সিআইডির ফরেনসিক টিম নমুনা সংগ্রহ করেছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ বলছে, বিবাহবিচ্ছেদের পর ইব্রাহিমপুর বোনের বাসায় থাকতেন ফাতেমা। তার দুই সন্তান রয়েছে। ওই এলাকার এক বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। ২/৩ মাস আগে পরিবারের অমতে এক যুবককে বিয়ে করেন ফাতেমা। পারিবারিক কলহের জেরে তার দ্বিতীয় স্বামী তাকে হত্যা করতে পারে।
নিহতের বাবা আব্দুল কাদের জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি ভোলা সদরে। ফাতেমা তার আরেক মেয়ের সঙ্গে থাকত। ২/৩ মাস আগে এক যুবককে বিয়ে করে সে। বিষয়টি আমরা মেনে নেইনি। কিন্তু সে তার মতো করে থাকত। তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার খবরে আমরা গৃহকর্তার বাসায় যাই। পরে জানতে পারি, সে মারা গেছে। এ ঘটনায় তিনি মামলা করবেন।
কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, ফাতেমা দ্বিতীয় বিয়ে করায় তার বাবা ও বোন বিষয়টি মেনে নেয়নি। পরে সে আলাদা রুম নিয়ে দুই বাচ্চাসহ থাকতে শুরু করে। এর আগে তার দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে থাকত। পরে কোন কারণে তার সঙ্গেও থাকেনি। রবিবার সকালের দিকে গৃহকর্তার বাসায় কাজে যায় সে। বেলা পৌনে ১১টার দিকে তার দ্বিতীয় স্বামী এসে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এ সময় বাসায় গৃহকর্ত্রী ছিলেন। তিনি ফাতেমাকে রক্ষা করতে এগিয়ে যান। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মামলা করবেন। ঘাতক পলাতক রয়েছে, তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার ॥ শনিবার রাত সাড়ে ১২টা দিকে উত্তরা পশ্চিম থানার ৯ নম্বর সেক্টরের একটি বাসার পাঁচতলা ভবন থেকে মোছাঃ রিমা খাতুন (২৫) নামে এক তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
উত্তরা পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোছাঃ আনোয়ারা বেগম জানান, জানালার সঙ্গে ওড়না দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় তরুণীর মরদেহ ঝুলছিল। খবর পেয়ে রুমের দরজা ভেঙ্গে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। রিমা উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টর এলাকার একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার এ্যান্ড প্যাথলজিতে চাকরি করতেন। তার বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার, নল বিলপাড় গ্রামে। পিতার নাম মোহাম্মদ ইউনুস আলী।
এসআই জানান, পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রিমা খাতুন বাবাভক্ত একজন ছিলেন। বাবাকে খুব ভালবাসতেন। কিন্তু সম্প্রতি তার বাবা আরেকটি বিয়ে করেন। এ কারণে ক্ষোভ থেকে আত্মহত্যা করেছেন। পরিবারেরও কোন অভিযোগ নেই।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: