ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কলমাকান্দায় ৫শ একর বোরো ফসল নিমজ্জিত, শ্রমিক সঙ্কট

প্রকাশিত: ২১:৫৪, ২২ মে ২০২২

কলমাকান্দায় ৫শ একর বোরো ফসল নিমজ্জিত, শ্রমিক সঙ্কট

নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা ॥ ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের কারণে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বিস্তীর্ণ বোরো ফসল প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে বহু পুকুরের মাছ। দেখা দিয়েছে ধান কাটার শ্রমিকের সঙ্কট। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের কারণে কলমাকান্দার উব্দাখালি নদীর পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদী ও খাল-বিল দিয়ে দ্রুত গতিতে পানি ঢুকছে ফসলি হাওড়গুলোতে। কৃষি বিভাগের হিসেবে ইতিমধ্যে ৫শ একর বোরো জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। তবে কৃষকরা জানিয়েছেন, নিমজ্জিত জমির পরিমাণ আরও অনেক বেশি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ বলেন, ‘কৃষকরা ইতিমধ্যে ৮৫ ভাগ ধান কেটে নিয়েছেন। তবে পানি ও বৃষ্টির কারণে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ধানের রং নষ্ট হয়েছে। এছাড়া ধান কাটামাড়াইয়ের জন্য বেশকিছু কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন থাকলেও পানির বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক জায়গায় মেশিনগুলো নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।’ এদিকে একসঙ্গে বিপুল পরিমাণ জমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় শ্রমিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। অনেক এলাকায় কৃষক ও শ্রমিকদের পাশাপাশি শিশু-কিশোরদেরও ধান কাটতে দেখা গেছে। বিশরপাশা গ্রামের কৃষক তপন সাহা বলেন, তার দুই একর ধানক্ষেত নিমজ্জিত হয়েছে। শ্রমিকের অভাবে কাটতে পারছেন না। যেটুকু কেটেছেন তা-ও শুকাতে পারছেন না রোদের অভাবে। একই এলাকার কৃষক আবুল কালাম বলেন, ‘অনেক কষ্টে ৫৬ শতক জমির ধান কেটে বাড়িতে এনেছি। বৃষ্টির কারণে ধান শুকাতে না পারায় কিছু ধানে চারা গজিয়ে গেছে।’ এছাড়া অনেকের হাওরে থাকা ধানের খড়ের পুঞ্জিও তলিয়ে গেছে যা গবাদিপশুর খাদ্য সঙ্কটের কারণ হতে পারে। এদিকে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ জানান, বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের পানিতে ৮টি ইউনিয়নের ১শ ৬৫টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১০ লাখ টাকা।
×