ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কম ক্ষতিগ্রস্ত মুদ্রার তালিকায় বাংলাদেশের ‘টাকা’

প্রকাশিত: ২১:১৬, ২২ মে ২০২২

কম ক্ষতিগ্রস্ত মুদ্রার তালিকায় বাংলাদেশের ‘টাকা’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কোভিড পরিস্থিতি শেষ হতে না হতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনেক দেশেই ডলারের বিপরীতে মুদ্রার মান ব্যাপকভাবে কমেছে। বাংলাদেশেও এর ছোঁয়া লেগেছে। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ অন্য বহু দেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে আছে। ডলারের বিপরীতে মুদ্রার মান কম হ্রাস পাওয়া দেশগুলোর মধ্যে বিশ্বে বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। আর উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে আছে প্রথম স্থানে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটি পরিচালিত এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গত শনিবার বিকেলে ধানমন্ডিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতির কার্যালয়ে দলের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সভায় এ সংক্রান্ত গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ। ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, এই তথ্য নিঃসন্দেহে প্রমাণ করে যে, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এক মজবুত ভিতের উপর দাঁড় করিয়েছেন। গবেষণায় দেখানো হয়, বাংলাদেশি টাকার মূল্যমান কমেছে ৩ দশমিক ৪১ শতাংশ, ভারতীয় রুপির কমেছে ৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পাকিস্তানি রুপির কমেছে ৩০ দশমিক ৬৩ শতাংশ, নেপালি রুপির কমেছে ৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ, মায়ানমার কিয়াটের কমেছে ১২ দশমিক ৬৭ শতাংশ, চীনা উয়েনের ৫ দশমিক ৪ শতাংশ, থাই বাথের ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ, জাপানি ইয়েনের ১৭ দশমিক ৩২ শতাংশ, দক্ষিণ কোরীয় ওয়ানের ১২ দশমিক ০৭ শতাংশ, মালয়েশিয়ান রিঙ্গিতের ৩ দশমিক ৯ শতাংশ, ফিলিপিনো পেসোর ৯ শতাংশ, তাইওয়ান ডলারের ৬ দশমিক ৪ শতাংশ, সিঙ্গাপুর ডলারের ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ, ব্রুনাই ডলারের ৩ দশমিক ৬০ শতাংশ, লাও কিপ এর (লাওস) ৪১ শতাংশ, টার্কিশ লিরার ৮৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ, মিসরিয় পাউন্ডের ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ, দক্ষিণ আফ্রিকান রেন্ড কমেছে ১৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ, অস্ট্রেলিয়ান ডলারের কমেছে ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ, নিউজিল্যান্ড ডলারের কমেছে ১০ দশমিক ৭৭ শতাংশ, ব্রিটিশ পাউন্ডের ১১ দশমিক ৮৬ শতাংশ, ইউরোর কমেছে ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ, সুইস ফ্রাঙ্কের কমেছে ৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ, সুইডিশ ক্রোনারের ১৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ, নরওয়েজিয়ান ক্রোনের কমেছে ১৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ, ডেনিশ ক্রোনের ১৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ, পোলিশ জেলাটির ১৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ, কানাডিয়ান ডলারের ৬ দশমিক ৩২ শতাংশ, আর্জেন্টাইন পেসোর ১১ দশমিক ৫ শতাংশ, চিলিয়ান পেসোর কমেছে ১৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গবেষণায় দেখানো হয়, ব্রাজিল এবং কয়েকটি তেল রপ্তানিকারী দেশ ছাড়া পৃথিবীর প্রায় সকল দেশের মুদ্রার বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার মূল্যমান বৃদ্ধি পেয়েছে। যেসব কারেন্সির বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার মূল্যমান বৃদ্ধি পেয়েছে তাদের মধ্যে জাপানি ইয়েনের বিপরীতে বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ, ইউরোর বিপরীতে ১০ দশমিক ৯৪ শতাংশ, ভারতীয় রুপির বিপরীতে ২ দশমিক ৭৩ শতাংশ, ব্রিটিশ পাউন্ডের বিপরীতে ৮ দশমিক ০৭ শতাংশ, অস্ট্রেলিয়ান ডলারের বিপরীতে ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ, চীনা উয়েনের বিপরীতে ১ দশমিক ৩২ শতাংশ, কানাডিয়ান ডলারের বিপরীতে ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ, দক্ষিণ কোরীয় ওয়ানের বিপরীতে ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ, ডেনিশ ক্রোনের বিপরীতে ১১ দশমিক ৯৭ শতাংশ, আর্জেন্টাইন পেসোর বিপরীতে ২১ দশমিক ৬৯ শতাংশ, সুইস ফ্রাঙ্কের বিপরীতে ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ, নিউজিল্যান্ড ডলারের বিপরীতে ৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সভায় তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির সদস্য ডা. জাহানারা আরজু, এম এনামুল হক আবীর, আমেনা কোহিনুর, আবুল ফজল রাজু, সৈয়দ আবু তোহা, ব্যারিস্টার সৌমিত্র সর্দার, অ্যাড. জামাল মিয়া, ড. শবনম জাহান, রায়হান কবীর, মেজর (অব.) এম এ সায়ীদ খান, রাশিদুল বাসার ডলার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। উপকমিটির সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর অসিম সরকার, প্রফেসর শেখ আদনান ফাহাদ, সারোয়ার মামুন চৌধুরী, অ্যাড. আরেফা পারভীন তাপসি, মো. রাজীব হোসেন, মো. আলমগীর হোসেন, জামান সিকদার, সোহেল তালহা, অ্যাড. শওকত আলী পাটোয়ারী তুহিন, জামান সিকদার, সফিকুল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম সেকান্দর, জয়নাল আবেদীন, আমিনুল ইসলাম, রেজা এনায়েত, শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ, লিপন মন্ডল প্রমুখ।
×