ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সুনামগঞ্জে নদীর পানি কমলেও হাওড়ের জনপদে দুর্ভোগ বেড়েছে

প্রকাশিত: ১৫:৫৭, ২২ মে ২০২২

সুনামগঞ্জে নদীর পানি কমলেও হাওড়ের জনপদে দুর্ভোগ বেড়েছে

নিজস্ব সংবাদদাতা সুনামগঞ্জ ॥ সুনামগঞ্জে নদীর পানির কমলেও হাওড় পাড়ের গ্রামগুলোতে দুর্ভোগ বেড়েছে। গেল ১০/১২ দিনের লাগাতার বৃষ্টি ও উজানের ঢলে নাভিশ্বাস অবস্থা চলছে হাওড়ের জনপদে। অনেক সড়ক ডুবে আছে, সড়কের উপর দিয়ে যানবাহন চলছে না, আবার নৌকাও যাচ্ছে না, তাতে দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে প্রর্যাপ্ত ত্রান সহায়তা দেয়া হচ্ছে বলা হলেও বন্যা দুর্গতরা বলছে তারা ত্রান পাচ্ছেন না। সরকারী বেসরকারী যেসব ত্রান যাচ্ছে তা কেবল শহর ও শহরতলিতে পৌছাচ্ছে। প্রতত্যন্ত গ্রামের বন্য কবলিতরা তা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছ। তবে জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হেসেন তা অস্বীকার করে বলেছেন, তিনি ও পৌর মেয়র নাদের বখত রাতেও তারা মানুষের বাড়ি বাড়ি ত্রান পৌছে দিচ্ছেন প্রধানমন্তীর পক্ষে। স্থানীয় জন প্রতিনিধির মাধ্যমেও যত দুর্গম এলাকাই হোক সেখানে যাতে ত্রান পৌছায় তা তিনি নিজে ও ইউএও-রা মনিটরিং করছেন। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামছুদ্দোহা জানিয়েছেন, সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি আগামী দুই দিন একই অবস্থায় থাকবে। নদীর পানির উচ্চতা কিছুটা কমে বিপদসীমার এক সেন্টির উপর দিয়ে যাচ্ছিল। ২৪ ঘণ্টায় চেরাপুঞ্জি ও আসামে বৃষ্টি কম হয়েছে। সুনামগঞ্জে হয়েছে ৪৭ মিলিমিটার। সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বললেন, আজ রবিবার আবহাওয়া একই ধরণের থাকবে। তবে ২৩, ২৪ ও ২৫ মে বৃষ্টি কমবে। এই তিনদিন উজানেও (মেঘালয় চেরাপুঞ্জিতে) বৃষ্টি কম হবে। প্রসঙ্গত. গেল ১০/১২ দিন হয় সুনামগঞ্জে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে। একইসঙ্গে উজানের ঢল নামায় জেলার ছয় উপজেলয় বন্যা পরিস্থিতি চলছে। এরমধ্যে বেশি খারাপ অবস্থা ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার। কোন কোনো ঘরে ঘণ্টা ও হাটু সমান পানি, ভেজা ধান শুকাতে না পারায় ধানের স্তুপে চারা গজানোসহ নানা ভোগান্তিতে রয়েছেন সুনামগঞ্জ সদরসহ জেলার পাঁচ উপজেলার বাসিন্দরা।
×