ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

গণহত্যা জাদুঘরের অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শহিদ স্মৃতিস্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ১৯:১৩, ২১ মে ২০২২

গণহত্যা জাদুঘরের অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শহিদ স্মৃতিস্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত

অনলাইন ডেস্ক ॥ গণহত্যা জাদুঘরের অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শহিদ স্মৃতিস্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান এর মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন ‘বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শন : কিছু সাম্প্রতিক বিতর্ক’ শিরোনামে বক্তৃতা প্রদান করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন গণহত্যা জাদুঘরের সভাপতি মুনতাসীর মামুন। আজ শনিবার (২১ মে) বিকাল ৪.০০টায় ঢাকার ডব্লিউভিএ মিলনায়ত শহিদ স্মৃতিস্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় । ড. বিনায়ক সেন তার বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শন এবং এর বর্তমান তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রথাগত অর্থে তাত্ত্বিক না হলেও খুঁটিয়ে দেখলে দেখা যাবে যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের দীর্ঘমেয়াদি গতিধারা নিয়ে বঙ্গবন্ধু নানা সময়েই গভীরভাবে ভেবেছেন। তাঁর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, নয়া চীন ভ্রমণের স্মৃতিচারণা, তাঁর নেতৃত্বে প্রণীত বাহাত্তরের সংবিধানের ধারা-উপধারা, স্বাধীনতার আগে ও পরের বিভিন্ন ভাষণের সংগ্রহ প্রকাশের পর এখন আস্তে আস্তে একটি চিন্তাশীল মনের প্রতিকৃতি আমাদের সামনে ফুটে উঠছে, যা আগে ততটা দৃষ্টিগোচর হয়নি। তিনি বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শনের কয়েকটি মৌলিক দিক শনাক্ত করার চেষ্টা করেছেন। সমগ্র বিশ্বেই ইকনোমিক্স ও এথিকস নিয়ে যে আত্মসমীক্ষা চলছে তার নিরিখে তিনি বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শনকে হাজির করেছেন। বঙ্গবন্ধুর ‘সুযোগের সমতা’র সমাজ এবং ‘সুষমের বণ্টনের সমাজ’ সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত আলোচনা করেন। সভাপতির বক্তব্যে মুনতাসীর মামুন গণহত্যা জাদুঘরের বিভিন্ন কর্মকা- তুলে ধরেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি মূল বক্তার প্রবন্ধের ওপরও আলোচনা করেন। সঞ্চালনা করেন গণহত্যা জাদুঘরের ট্রাস্টি সম্পাদক ড. চৌধুরী শহীদ কাদের। গণহত্যাকে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান বৈশিষ্ট্য হিসেবে চিহ্নিত করে এবং গণহত্যার ইতিহাস সংরক্ষণ ও গবেষণা করার লক্ষ্যে গণহত্যা জাদুঘর ২০১৪ সালের ১৭ মে যাত্রা শুরু করে। অজস্র গবেষণামূলক ও সৃজনশীল কাজের মধ্য দিয়ে এই বছর জাদুঘর ৮ম বছর পূর্ণ করেছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গণহত্যা জাদুঘর নানা ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। সে আয়োজনের অংশ হিসেবে আয়জিত হচ্ছে শহিদ স্মৃতি স্মারক বক্তৃতা। ২০ মে ২০২২ তারিখে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ভাস্কর রেহানা ইয়াসমিন, ভাস্কর রবিউল ইসলাম, ভাস্কর ফারজানা ইসলাম মিলকি, ভাস্কর মুক্তি ভৌমিক ও ভাস্কর সিগমা হক অংকন গণহত্যা জাদুঘরের অধীনে পরিচালিত গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্রের ফেলোশিপের আওতায় নির্মিত ভাস্কর প্রদর্শনী হয়েছে।
×