ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

উদ্ভাসনের যুগপূর্তির আনন্দ আয়োজন

প্রকাশিত: ২২:৪৫, ২১ মে ২০২২

উদ্ভাসনের যুগপূর্তির আনন্দ আয়োজন

সংস্কৃতি প্রতিবেদক ॥ এক যুগ আগে কবিতাকে ভালবেসে যূথবদ্ধ হয়েছিলেন একঝাঁক আবৃত্তিশিল্পী। সেই ঐক্যের প্রতিচ্ছবি হয়ে ২০০৯ সালের ২০ মে ‘বাজুক সে বীণা, মজুক ধরণী’ -স্লোগানে গঠিত হয় উদ্ভাসন নামের আবৃত্তি সংগঠন। সময়ের ¯্রােতধারায় সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার ১২ বছর পেরিয়ে ১৩ বছরে পদার্পণ করল শুক্রবার। সেই সাফল্যের উদ্যাপনে এদিন সন্ধ্যায় যুগপূর্তি সমারোহ শীর্ষক আনন্দ আয়োজন করা হয় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে। যুগপূর্তির এ আয়োজনে বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী, প্রশিক্ষক, কবি ও নাট্যনির্দেশক মীর বরকতকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই উপস্থাপিত হয় মীর বরকত রচিত রম্য কবিতা ও গদ্যের সম্মিলনে সজ্জিত কলির কৃষ্ণ শীর্ষক প্রযোজনা। সংগঠনের শিল্পীদের শিল্পিত উচ্চারণে পরিবেশিত হয় অভিমানী রাধা, বিয়ের ফুল, ঘাসুরিয়া, বিয়ে টিয়ে করিনি আর, কোরবানির গরু, জীবন, রক্তরাঙা রাজপথ, মাগো মা, মহান পিতা, তিন টুকরো ছেঁড়া কাগজ, মানুষ নুও তুমি, বুড়োদের গল্প ও রবীন্দ্রনাথের আলো দাও শীর্ষক গদ্য-পদ্যে সজ্জিত প্রযোজনাটি। শ্রোতার হৃদয় রাঙানো পরিবেশনাটি উপস্থাপন করেন তামান্না তিথি, রীতা নাহার, মোঃ তারিকুল ইসলাম, মারিয়া সারাহ, তোফাজ্জল হোসেন মায়া, আলেয়া আক্তার, সানজিদা মিতু ও অনন্যা ঋতু। অনুষ্ঠানে আর্যকণ্ঠ আখ্যাপ্রাপ্ত মীর বরকতের হাতে সম্মাননার স্মারক তুলে দেন অতিথিরা। পরিয়ে দেন উত্তরীয়। সম্মানার সম্মানী হিসেবে প্রদান করা হয় দশ হাজার টাকার চেক। উদ্ভাসনের যুগপূর্তির এ আয়োজনে অতিথি ছিলেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা ও আবৃত্তি সংগঠন কণ্ঠশীলনের সভাপতি গোলাম সারোয়ার। সম্মাননা প্রদান পর্বের শেষে সংক্ষিপ্ত কথনে অংশ নেন অতিথিরা। সম্মাননাপ্রাপ্তির অনুভূতি প্রকাশ করে মীর বরকত বলেন, ছোটবেলা থেকেই সম্পৃক্ত হই আবৃত্তিশিল্পের ভুবনে। আমার গুরু ছিলেন ওয়াহিদুল হক ও নরেন বিশাসর মতো ব্যক্তিত্বরা। এই অঙ্গনে কেটে গেছে আমার জীবনের ৪০টি বছর। এই দীর্ঘ সময়ে আমি আবৃত্তি শেখানোর পাশাপাশি প্রমিত উচ্চারণ নিয়ে শিশু এবং তরুণদের সঙ্গে কাজ করেছি। কাজ করেছি দেশে এবং বিদেশে। এ ছাড়া আবৃত্তিশিল্পের সমান্তরালে নাট্যচর্চায় নিবেদিত থেকেছি। আজকে আবৃত্তিশিল্পে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এই সম্মাননাপ্রাপ্তিতে আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। ভবিষ্যতে আরও বেশি কাজ করার অনুপ্রেরণা জোগাবে এই সম্মাননা। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে মীর বরকত রচিত কবিতা থেকে পাঠ করেন আমন্ত্রিত আবৃত্তিশিল্পীরা। কবিতার দোলায়িত ছন্দের শিল্পীত পরিবেশনার এ পর্বে অংশ নেন বাচিকশিল্পী শারমিন লাকী, এস এম লুৎফুল কবির, কাজী বুশরা তিথি, আশরাফুল বাবু, অনন্যা লাবনী পুতুল, আহসান উল্লাহ তমাল, সৈয়দ ফয়সল আহমেদ ও নায়লা তারান্নুম চৌধুরী কাকলী। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ঐতিহাসিক স্থাপনার প্রদর্শনী ॥ গত ১৮ মে ছিল আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস। দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার সন্ধ্যায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ আয়োজনে জাদুঘরের প্রধান লবিতে ভার্চুয়াল মিউজিয়াম বাংলাদেশের সহযোগিতায় দেশের বিশেষ পাঁচটি ঐতিহাসিক স্থাপনার ভিআর প্রদর্শনী ও ভার্চুয়াল মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রদর্শিত হয়। এর আগে বিকেলে জাদুঘর মিলনায়তনে আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন আন্তর্জাতিক জাদুঘর পরিষদ বাংলাদেশ জাতীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক সুফী মুস্তাফিজুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডাঃ সারওয়ার আলী। স্বাগত বক্তব্য দেন, জাদুঘরের ট্রাস্টি ও সদস্য সচিব সারা যাকের। সমাপনী বক্তব্য রাখেন, আরেক ট্রাস্টি মফিদুল হক।
×