ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সুন্দরগঞ্জে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে

প্রকাশিত: ২০:২১, ২০ মে ২০২২

সুন্দরগঞ্জে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা ॥ আর মাত্র এক মাস পর মরা তিস্তা ভরায় পরিণত হবে। বন্যায় ভাসবে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রায় ৬০টি গ্রামের এক লাখ মানুষ। দীর্ঘ ৫১ বছরে বাঁধটি সংস্কার, মেরামত, সংরক্ষণ না করায় ব্যবহারের অযোগ্য, হুমকির সন্মুখিন ও ৫০টি স্থান ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে পরেছে। উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফ এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওয়ালিফ মন্ডল বাধঁটির ২৬ কিলোমিটার পরিদর্শন করে ৩১টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটির ডানতীর কাপাসিয়া ইউনিয়নের কামারজানি হতে বামতীর তারাপুর ইউনিয়নের ঘগোয়া পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার লম্বা। এর মধ্যে প্রায় ৫০টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পরেছে। উপজেলা শহরের সাথে পুবাঞ্চলের ৮টি ইউনিয়নের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে এই বাঁধটি। বর্তমানে বাঁধটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ওই ৮টি ইউনিয়নের লোকজন এখন ২০ কিলোমিটার পথ ঘুরে শোভাগঞ্জ ভায়া বালারছিঁড়া হয়ে উপজেলা শহরে যাতায়াত করছে। বেলকা ইউনিয়নের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক রাজেন্দ্র কুমার সরকার জানান, স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত বাঁধটি মেরামত এবং সংস্কার করা হয়নি। ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন জানান, বাঁধটি ঝুঁকিপূর্ণ এবং হুমকির সন্মুখিন হওয়ায় বর্তমানে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বেলকা ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ জানান, তার ইউনিয়নের প্রায় ২০টি স্থান বাঁধটির জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। গত বছর বন্যা সময় তার ইউনিয়নের ১০টি স্থানে বন্যার পানি বাঁধের গর্ত দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছিল। তাৎক্ষণিক মেরামত করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে বাঁধটি মারাক্তকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফ জানান, উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, বাঁধটির প্রায় ৩১টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ। বন্যার সময় যে কোন মুহুতে ধসে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে কারনে আগাম পরিদর্শন পূর্বক মেরামতের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করা হয়েছে। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী আবু রায়হান জানান, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি মেরামত এবং সংস্কারের অভাবে আসলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি তিনি অবগত রয়েছেন। অতিদ্রত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
×