ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ চরমে

চিলমারীতে ৩২ বছর আগে নির্মিত ব্রীজ এখন মরণ ফাঁদ

প্রকাশিত: ১৩:৫৪, ২০ মে ২০২২

চিলমারীতে ৩২ বছর আগে নির্মিত ব্রীজ এখন মরণ ফাঁদ

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার বালাবাড়ি হাট গ্রাম উন্নয়ন কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকার একটি ব্রীজ দীর্ঘদিন থেকে বেহাল দশা।আর ওই এলাকার লাখ লাখ মানুষের জন্য এটি এখন মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে।এক লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথ যেতে হয় এ ব্রীজটির ওপর দিয়ে । প্রায় ৩২ বছর আগে নির্মিত এ ব্রীজটির এখন চরম বেহাল দশা। ওই ব্রীজের দুই পাশের মাটি সরে গিয়েছে,ভেঙ্গে গেছে ব্রীজের রেলিং,অনেক জায়গায় বের হয়ে এসেছে লম্বা লম্বা রড,দেবে গেছে সদ্য তৈরি গাইট ওয়াল ও পিচিং ব্লক। ব্রীজটি দীর্ঘ সময় ধরে এ অবস্থা বিরাজ করায় মানুষের দুর্দশা এখন চরমে পৌঁছেছে।কয়েক বছর থেকে এটি যেন মানুষের মরদ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। নেই সংস্কার কিংবা নতুন করে নির্মাণের উদ্যোগ। স্থানীয় সরকার বিভাগের এ ব্রীজটি এখন রয়েছে অযতেœ অবহেলায়।দীর্ঘদিন পর হলেও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের তত্বাবধায়নে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে উক্ত স্থানে নতুন ব্রীজ নির্মানের জন্য মাটি পরীক্ষার কাজ শেষ করা হয়। ব্রীজটি নির্মাণের সকল কার্যক্রম শেষে টেন্ডারের আগে এখন বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ এলজিইডি। এলজিইডি থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজটি ভেঙ্গে নতুন ব্রীজ করা হবে বলে এর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা বলা হলেও সেটি শুধু মুখেই।বাস্তবে এখনও তা নির্মাণের মুখ দেখেনি।ফলে হাজার হাজার মানুষ তাদরে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ব্রীজটি দিয়ে চলাচল করছে। ওই এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম ও বিপ্লবসহ কয়েকজন জানান,আমরা তো ত্রাণ শাখা আর এলজিইডি বুঝি না আমরা চাই নতুন ব্রীজ। এখানাকার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করতে দ্রুত ব্রীজ নির্মাণ চাই। তারা আরো বলেন, ব্রীজটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে এবং এর ওপরে প্রায়শ:ই ঘটছে দুর্ঘটনা।তবে স্থানীয়রা জানান, এলজিইডি’র লোকজন বলছেন ব্রীজটি তাদের বিভাগের।কিন্তু ঠেলাঠেলির কারনে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা। আর ত্রাণ শাখার থেকে করতে চাইলে এলজিইডিও সে কাজ করতে বাঁধা প্রদান করছে।এদিকে,সংশ্লিষ্টরা জানান,ব্রীজটি নির্মাণ যত দ্রুত হবে ততই তাড়াতাড়ি এখানাকার জনগন সুফল পাবেন।কিন্তু যদি কোন বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে তাহলে এর দায়ভার কে নিবে।ওই এলাকার জনৈক অটো চালক আমজাদ বলেন, এই ব্রীজ দিয়ে চলাচল করা বড়ই কঠিন। আমরা অনেক কষ্টে পার হই।একটু এদিক সেদিক হলেও খালের নিচে চলে যাবে গাড়ি।অত্যন্ত ভয়ে গাড়ি চালাই।এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (অতিঃ) মোঃ সিরাজুদৌলা বলেন,এ জায়গায় একটি নতুন ব্রীজের জন্য আমাদের সকল কার্যক্রম শেষে টেন্ডার আহবান অনেক আগেই করা হয়।কিন্তু এলজিইডি এর বাঁধার কারনে তা সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছেনা। চিলমারী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান,আমাদের সড়কে আমরা দ্রুত ব্রীজ নির্মাণ কাজ করব তবে ত্রাণ শাখা তাদের দায়িত্বে তা হবেনা। আমরা আমাদের ডিজাইন অনুযায়ী দ্রুত কাজ করার চিন্তা করছি।
×