ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মোঃ আব্দুল মুকতাদির

কৃত্রিম সঙ্কট

প্রকাশিত: ২১:০৫, ১৯ মে ২০২২

কৃত্রিম সঙ্কট

ব্যবসায়ীদের মজুদের কারণে সয়াবিন তেলের দাম এখন আকাশছোঁয়া। বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে তেলের দাম বাড়িয়ে ক্রেতাদের বিপাকে ফেলেছে এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য হওয়ার কারণে আমাদের বাধ্য হয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে সয়াবিন তেল। বাণিজ্যমন্ত্রী নিজেও স্বীকার করেছেন অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজির কথা। মূলত বাংলাদেশের অর্থনীতি কিংবা বাজারব্যবস্থায় অল্প কিছু পরিস্থিতি ছাড়া ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ সরকারের পক্ষে সামান্যই। মুক্তবাজার ব্যবস্থায় একজন ব্যবসায়ীকে সুযোগ দেয়া হয় অনেক ব্যাপারে। ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা এ মুক্তবাজার ব্যবস্থায় একজন ব্যবসায়ী কোন দ্রব্যের দাম নিজের মতো নির্ধারণ করে সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জনের সুযোগ নিতে পারে। অতএব এমন বাজারব্যবস্থায় ব্যাবসায়ীদের বিরুদ্ধে কিছু করার সুযোগ সামান্য। এক্ষেত্রে যেটা করতে হবে তা হলো সরকারকে ব্যবসায়ীদের মত পণ্য বিক্রয়ে নামা। দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে সরকারী বিক্রয় প্রতিষ্ঠান থাকবে যেখানে অন্যান্য দোকানের চেয়ে কম মূল্যে পণ্য বিক্রয় করা হবে। সরকারকে নিজস্বভাবে আমদানি করে অথবা দেশের ভেতরে সরাসরি উৎপাদকের নিকট থেকে পণ্য ক্রয় করে ভোক্তাদের কাছে ন্যায্যমূল্যে বিক্রয় করতে হবে। তাহলে অন্যান্য দোকানদার বাজারব্যবস্থার নীতি অনুযায়ী এমনিতেই দাম কমাতে বাধ্য হবে। পাশাপাশি উৎপাদকগণও সঠিক দামে তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রয় করতে পারবে। সরকারী দোকানের পাশাপাশি আমরা যারা সাধারণ ক্রেতা বা ভোক্তা তাদেরও দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমরা কোন জিনিসের দাম একটু বাড়া শুরু করলে ভয় পেয়ে যাই। গুজব শুনে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে অতিরিক্ত পণ্য ক্রয় করে ফেলি। এটা একটা ভুল পদ্ধতি। এতে করে আমরা মূল্য বৃদ্ধির ফাঁদ তৈরি করি। সেটা না করে ব্যবসায়ীরা কোন দ্রব্য মজুদ করা শুরু করলে বা দাম বাড়াতে থাকলে সেই সময়ে ওই পণ্য কম ক্রয় করতে হবে বা ব্যবহার কমাতে হবে। তাহলে এমনিতেই পণ্যের দাম কমে আসবে। জয়পুরপাড়া, বগুড়া থেকে
×