ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে কলাপাড়ার শিক্ষক সাইফুল গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১৬:১৪, ১৮ মে ২০২২

প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে কলাপাড়ার শিক্ষক সাইফুল গ্রেফতার

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী ॥ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশির) ‘কম্পিউটার অপারেটর’ ৫১৩টি পদেরর নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে কলাপাড়া পৌর শহরের খেপুপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গনিত বিষয়ের শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে (৩৫) গ্রেফতারের কারণে বিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আজ বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আনোয়ার হোসেন। সাইফুল ইসলামের গ্রেফতারের খবরে গোটা উপজেলায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে শিক্ষক, অভিভাবকসহ সচেতন মহলে। কলাপাড়ার মানুষ এ খবরটি নিয়ে বলাবলি করছেন। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ জানান, অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় নেয়া উচিত। সাইফুল ইসলামের গ্রেফতারের খবর স্বীকার করে বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, তিনি ১৫ মে থেকে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছে। তাকে শনিবার পটুয়াখালী জেলা শহরের কোনো একটি স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে শুনেছি। দুঃখজনক বিষয় হলো, প্রশ্ন ফাঁসের জঘন্য কাজের সঙ্গে আমার শিক্ষক জড়িত তা শোনার পর লজ্জিত হয়েছি। আসলে শিক্ষক সাইফুল কীভাবে এ ঘটনার সাথে জড়িয়ে পড়েছে, তার কিছুই আমরা জানিনা। যেহেতু প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে কারণে আমি বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করেই তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বুধবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। সাইফুল ইসলামের বাড়ি কলাপাড়া উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের মধুখালী গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের আলতাফ গাজীর ছেলে। খেপুপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যোগদানের আগে সাইফুল উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের ফাতেমা হাই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গনিতের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১৪ সালে সাইফুল ইসলাম খেপুপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গনিত শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অভিযানে ইডেন মহিলা কলেজ কেন্দ্র থেকে গ্রেফতার করা হয় সুমন জোয়ারদার নামে এক চাকুরী প্রার্থীকে। পরীক্ষা শুরুর আগে সুমন জোয়ারদার হোয়াটসঅ্যাপে পেয়ে যান ৭০টি উত্তর। যা তিনি লিখে নিয়ে আসেন প্রবেশপত্রে। সুমনের ফোনে প্রশ্নের উত্তরগুলো পাঠান পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের খেপুপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গনিতের শিক্ষক সাইফুল ইসলাম। সুমন জোয়ারদারের তথ্যের ভিত্তিতেই সাইফুলকে গ্রেফতার করা হয়।
×