স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ॥ জেলা জজ আদালতে মঙ্গলবার দুপুরে স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রী ও পরকীয়া প্রেমিককে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। মৃত্যুদ-প্রাপ্তরা হলো শাহজাদপুর উপজেলার বাড়াবিল উত্তরপাড়া গ্রামের নিহত মনিরুল হকের স্ত্রী মুক্তি খাতুন (২২) ও তার পরকীয়া প্রেমিক সাইদুল ইসলাম তুষার ওরফে তুহিন (২৩) । একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, শাহজাদপুর উপজেলার শক্তিপুর গ্রামের মৃত মুক্তার শেখের কন্যা মুক্তি খাতুনের সঙ্গে একই উপজেলার বাড়াবিল উত্তরপাড়া গ্রামের জেলহক প্রামাণিকের ছেলে মনিরুল হকের (২৪) বিয়ে হয়। বিয়ের আগে থেকে মুক্তি খাতুনের সঙ্গে সাইদুল ইসলাম তুষারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল, বিয়ের পরও মুক্তি খাতুন সম্পর্ক অব্যাহত রাখে।
বিয়ের দুই মাস পরে গত ২০১৯ সালের ৩ জুন রাতে মুক্তি তার দাদা হোসেন আলীর বাড়িতে বেড়াতে আসে। রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে মুক্তি ও মনিরুল একই ঘরে ঘুমায়। ঘুমানোর আগে মুক্তি তার স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘরে দরজা খোলা রাখে। পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক মুক্তির পরকীয়া প্রেমিক সাইদুল ইসলাম তুষার ঘরে ঢুকে দুইজন মিলে মনিরুল হককে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা জেলহক প্রামাণিক বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আসামিদের উপস্থিতিতে আদালত এ রায় দেন।
চালক হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা মানিকগঞ্জ থেকে জানান, মানিকগঞ্জের ঘিওরে প্রাইভেটকার চালক জাহাঙ্গীর আলম হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ৪ জনের যাবজ্জীবন দিয়েছে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক। মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য্য আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ২ জনকে ৫০ হাজর টাকা করে এবং যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্ত ৪ জনকে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন বিচারক।
নিহত জাহাঙ্গীর আলম ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের ঘোষেবের এলাকার মুকলেসুর রহমানের ছেলে।