ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে সড়ক দখল করে চলছে ধান মাড়াই ও খড় শুকানোর কাজ

প্রকাশিত: ২১:০৫, ১৭ মে ২০২২

কুড়িগ্রামে সড়ক দখল করে চলছে ধান মাড়াই ও খড় শুকানোর কাজ

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ কুড়িগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় সড়ক দখল করে চলছে ভুট্টা, বোরো ধান মাড়াই ও খড় শুকানোর কাজ। এতে ভোগান্তিতে পড়ছে বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও পথচারীরা। এভাবে চললে যে-কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। মঙ্গলবার (১৭ মে) সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন সড়কে বোরো ধান মাড়াই ও খড় শুকানোর কাজ করার এমনই চিত্র দেখা গেছে। তবে সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে রৌমারী উপজেলার সড়কগুলোতে। রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা শালুর মোড় হইতে উপজেলা শহর রৌমারী পর্যন্ত পাকা সড়কের বিভিন্ন স্থানে ধান স্তূপ করে রাখা হয়েছে। এ যেনো এক ধান মাড়াইয়ের উঠান হয়ে দাড়িয়েছে। কৃষকরা পাশেই শ্যালোচালিত ইঞ্জিন দিয়ে মাড়াই করছেন এসব ধান। মাড়াই শেষে অনেকে ধান বাড়ি নিয়ে গেলেও খড় সড়কের ওপরই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রেখেছেন শুকানোর কাজে। এ ছাড়া কেউবা আবার ভুট্টাও শুকাচ্ছে সড়কে।অনেকে শুকানোর পর সড়কের পাশেই খড় স্তুপ করে রেখেছে। এর মধ্যেই ঝুঁকি নিয়েই চলছে ট্রাক,অটোরিকশা,ভ্যান,মোটরসাইকেল ট্রাক্টর। অটোরিকশা চালকরা বলছেন, সড়ক জুড়ে ধান মাড়াইয়ের কাজ করছেন কৃষকেরা। সড়কের ওপর ধান মাড়াইয়ের কাজ করায় তাঁরা যাত্রী নিয়ে গাড়ি চালাতে নানা সমস্যায় পড়ছেন। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়েই চলেছে।পথচারী মো.আরিফ মিয়া জানান, এ মৌসুমে খড় বিছানো সড়কে গাড়ি চালানো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কয়েক দিন আগে মোটরসাইকেল নিয়ে সড়কে বিছানো খড়ে পিছলে পড়ে আহত হন কয়েক জন চালক।রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা এলাকার পথচারী মো. রমিজ উদ্দিন বলেন, ধান মাড়াই শেষে কৃষকেরা ধানের অবশিষ্টাংশ খড় সড়কে ফেলে রাখেন শুকানোর জন্য। বৃষ্টি হলে ওই খড় সড়কে কর্দমাক্ত হওয়ার পরে সেগুলো সরানো হয় না। পরে পচে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার শিকার হতে প্রায়ই দেখা যায়।যাতায়তকারীদের অভিযোগ থাকলেও বোরো ধান মাড়াইকারীরা বলছেন, তাঁরা অল্প সময়ের জন্য রাস্তায় ধান মাড়াই করছে। এতে যানবাহনের সাময়িক একটু সমস্যা হলেও তাঁদের অন্য কোন উপায় নেই।মো.আব্বাস আলী নামের এক ট্রাক চালক বলেন, সড়কের দুই পাশে খড়, ধান শুকানো ও মাড়াইয়ের কারণে রাস্তার এক পাশে বন্ধ হয়ে যায়। এতে সড়কে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। জ্যামে আটকা পড়লে অনেক সময় ধান অন্য জায়গায় সরিয়ে গাড়ি নিয়ে আসতে হয়। রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরশাফুল আলম রাসেল বলেন, সড়ক দখল করে এ ধরনের কর্মকান্ড করা বেআইনি। ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রত এসব বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হবে। কুড়িগ্রাম বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, কৃষকরা সড়কে বোরো ধান মাড়াই ও খড় শুকানোর কারণেই বর্তমান সড়ক দূর্ঘটনা বেড়েছে।
×