ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়েছেন, শেখ হাসিনা উন্নত দেশ গড়ছেন ॥ লিটন

প্রকাশিত: ২০:০৪, ১৭ মে ২০২২

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়েছেন, শেখ হাসিনা উন্নত দেশ গড়ছেন ॥ লিটন

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে না আসলে এতো উন্নত দেশ আমরা পেতাম না। শেখ হাসিনা না আসলে হয়তো বাংলাদেশ ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশ হতো। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন। আর শেখ হাসিনা দেশকে গড়ছেন। বাংলাদেশ এখন সুন্দর সমৃদ্ধ-উন্নত দেশ। উন্নয়নের শিখরে পৌছে গেছে বাংলাদেশ। আমরা আরো অনেক দূর যেতে চায়। যিনি আমাদের উন্নয়ন দিচ্ছেন, আমাদের তাঁর সঙ্গেই থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা দেশকে অনেক দূরে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাজশাহী মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত মঙ্গলবার বিকেলে মহানগরীর বাটার মোড়ে আয়োজিত বিশাল জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খায়রুজ্জামান লিটন এসব কথা বলেন। লিটন বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ই মে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা দীর্ঘ ৬ বছরের বাধ্যতামুলক প্রবাস জীবন শেষে বঙ্গবন্ধুবিহীন এই বাংলাদেশে পা রেখেছিলেন। দেশে ফিরে আসার পথে বিমানে বাবা-মাতা, শেখ রাসেল ও বাংলাদেশের কথা চিন্তা করে বারবার কেঁদেছিলেন। বিমানবন্দর থেকে মানিক মিয়া এভিনিউতে যেতে সময় লেগেছিল প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা। পথে পথে লাখ লাখ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী বৃষ্টিতে সিক্ত হয়েও দাঁড়িয়ে ছিলেন শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখার জন্যে। তাদের মুখে স্লোগান দিয়েছিল, ‘শেখ হাসিনা ভয় নাই, আমরা আছি লক্ষ ভাই, শেখ হাসিনা ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই।’ রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, তখন গণতন্ত্রের পথে যাত্রা সুখকর ছিল না। শেখ হাসিনা গ্রামে গঞ্জে তৃণমূলে গেছেন, বঙ্গবন্ধুর পরে একমাত্র তিনিই যানেন তাঁর আওয়ামী লীগের কর্মীরা দেশের কোথায় কারা আছে। শেখ হাসিনা এদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সফল। আওয়ামী লীগ সরকার কখনো ব্যর্থ হয়নি। খালেদা জিয়া ব্যর্থ হয়েছে বারবার। জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে কয়েক বছর কারফিউ দিয়ে দেশকে অচল করেছিল। তিনি আরো বলেন, ১৯৭৫ সাল পরবর্তী বাংলাদেশের অবস্থা আমরা ভুলিনি। জিয়াউর রহমান মৌলবাদীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। সেই ইতিহাস আমরা ভুলিনি। বাংলাদেশকে পাকিস্তানে পরিণত করতে যা যা করার দরকার সব করেছিলেন জিয়াউর রহমান। ইতিহাস ভুললে চলবে না। জনসমাবেশে রাজশাহীর বাটার মোড়ের চত্বরকে ‘জয় বাংলা চত্বর’ হিসেবে ঘোষণা করেন রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। জনসমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা এসেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা হত্যা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। শেখ হাসিনা এসেছিলেন বলেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, জিয়ার অনুসারীরা শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য ২১ বার চেষ্টা চালিয়েছে। আজকেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ষড়যন্ত্রকারীরা জানে, শেখ হাসিনা থাকলে বাংলাদেশ পাকিস্তান হবে না। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দেশ ভালো থাকে। বিএনপির ব্যবসায়ীরাও বলে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে তারা ভালো থাকে। সাধারণ মানুষ, শ্রমজীবী মানুষও মনে করে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে তারা ভালো থাকে। তিনি আরো বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে জনগণকে সম্পৃক্ত করে আওয়ামী লীগের কমিটি করতে হবে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যারা অপপ্রচার করবে রাজশাহীতে খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে পাড়ায় মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালর সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য বেগম আখতার জাহান। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য ডা. মনসুর রহমান ও সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি আদিবা আঞ্জুম মিতা। সমাবেশে মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাকিরুল ইসলাম সান্টু, আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা, মহানগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী, জেলা যুবলীগ সভাপতি আবু সালেহ, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মমিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রেন্টু, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু। জনসমাবেশে সঞ্চালনা করেন রাজশাহী নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. লায়েব উদ্দিন লাভলু।
×