ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ২০:৩৮, ১৭ মে ২০২২

ঢাকার দিনরাত

তেলবাজদের দেশে তেল দেয়ার বিচিত্র কায়দা সম্পর্কে সংবাদপত্রের একনিষ্ঠ পাঠক তথা সচেতন নাগরিকরা নিশ্চয়ই কমবেশি ওয়াকেবহাল। সয়াবিন তেলেরও অভাব নেই এই বঙ্গদেশে। ছিল না কখনও। এই যে ঈদের আগেভাগে সঙ্কটটা দেখা গেল, সেটি যে অসাধু ব্যবসায়ীদের তৈরি করা সঙ্কট সেটি বুঝতে কারও বাকি ছিল না। কিন্তু ঈদের দিন তো বাড়তি তেল লাগবেই নানা পদের রান্নায়। তাই সঙ্কটটা মারাত্মক রূপ নিয়েছিল। বলা যায় দুর্ভিক্ষাবস্থাই। অথচ কয়দিন পর থেকেই দেখুন, ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের অনেক শহর থেকে প্রতিদিনই হাজার হাজার লিটার সয়াবিন গোপন স্থান থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে। এই লেখা তৈরির সময়েও জানতে পারলাম তেল উদ্ধার অভিযান চলছে। আর অনলাইনে পড়লাম চট্টগ্রামে র‌্যাব ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের যৌথ অভিযানে বিপুল তেল উদ্ধার হয়েছে। মজুদদারকে মাত্র ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভাল কথা, প্রতিবেশী দেশের একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, যিনি খাদ্যতালিকা থেকে তেল বাদ দেয়ার কথা বলে আসছেন, তিনি সম্প্রতি বললেন, সয়াবিন আসলে তেল নয়, এটি এক ধরনের কেমিক্যাল। এ আলোচনা আর বাড়াচ্ছি না। প্রসঙ্গ : মুক্ত সাংবাদিকতা শনিবার ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস : ডিজিটাল নজরদারিতে সাংবাদিকতা’ শীর্ষক সমালোচনামুখর এক আয়োজন হলো সিরডাপ মিলনায়তনে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল জার্নালিজম আন্ডার ডিজিটাল সিজ বা ডিজিটাল নজরদারিতে সাংবাদিকতা। ডিজিটাল নজরদারি বা আক্রমণের মুখে বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকতা যে হুমকি মোকাবেলা করছে, সে বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়েই এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়। অনুষ্ঠানটির আয়োজক সম্পাদক পরিষদ। বহুল প্রচারিত সব সংবাদপত্রের সম্পাদক আলোচনায় অংশ নেন, ছিলেন সিনিয়র গণমাধ্যম নেতারাও। বলাবাহুল্য এ আলোচনায় সরকারের গণমাধ্যম সংক্রান্ত পলিসির সমালোচনা ছিল। এক আলোচক কৌতূহলোদ্দীপক কথা বললেন, স্বয়ং সম্পাদকদের নীতি-নৈতিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন। যা হোক, পরদিন তিন কাগজে ছবিসহ গুরুত্বের সঙ্গে খবরটি বেরলো। শিরোনামগুলো তুলে দিচ্ছি ওই তিনটির। স্বাধীন মতপ্রকাশের বিরুদ্ধে এত আইন কেন? (ইত্তেফাক); মুক্ত সাংবাদিকতা পদে পদে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে (সমকাল); এখন চাইলেও সব বিষয় নিয়ে লেখা যায় না (প্রথম আলো)। প্রশান্ত কুমারের অশান্ত ইনিংস তার নামটি সুন্দর। প্রশান্ত কুমার। কিন্তু গণমাধ্যমকর্মীরা তাকে আর এ নামে সম্বোধন করেন না। তার নামের আদ্যাক্ষরের সঙ্গে পারিবারিক টাইটেল হালদার যোগ করে গণমাধ্যমে লেখা হয় পি কে হালদার। জনকণ্ঠে রবিবার প্রধান শিরোনাম হলো- পি কে গ্রেফতার। যা হোক, প্রশান্ত কুমারের অশান্ত ইনিংস নিয়ে কিছু কথা আজ না বললেই নয়। পিরোজপুর জেলার এক সুন্দর নামের (দিঘিরজান) গ্রামে তার জন্ম। এই ঢাকাতেই তিনি উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। পরে ব্যবসায় প্রশাসনের আইবিএ থেকে এমবিএ’ও করেন। পাশাপাশি চার্টার্ড ফিন্যান্সিয়াল এ্যানালিস্ট (সিএফএ) সম্পন্ন করেন। এরপর চাকরিজীবন শুরু হয় তার। কিছুকালের মধ্যেই এক অনভিপ্রেত নেশায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। কথায় বলে- টাকার নেশা বড় নেশা। বৈধপথে উপার্জনের পরিবর্তে তিনি অবৈধ পন্থা বেছে নেন। এক্ষেত্রে একদিকে তিনি যেমন সৃজনশীল চাতুর্যের পরিচয় রেখেছেন, তেমনি আবার মহাপ্রভাবশালী কানেকশনকে বশে রাখার কারিশমাও দেখিয়েছেন। রীতিমতো প্রতিভা। টাকার নেশায় উন্মত্ত না হলে এবং প্রতিভাকে সুন্দর ও কল্যাণের পথে বিনিয়োগ করলে তিনি যে একজন সুবিখ্যাত ( এখনকার মতো কুখ্যাত নয়) ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠতে পারতেন, এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। দুঃখ হচ্ছে শিক্ষক মায়ের পুত্র হয়ে তার আদর্শচ্যুত হওয়া! ধাপে ধাপে তার অধঃপতন সম্পর্কে জানা যাক। শিক্ষাজীবন শেষে পি কে হালদার যোগ দেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইআইডিএফসিতে, ২০০৮ সাল পর্যন্ত উপব্যবস্থাপনা (ডিএমডি) পরিচালক ছিলেন। ১০ বছরের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা নিয়েই ২০০৯ সালে তিনি অদৃশ্য আশীর্বাদে রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের এমডি হয়ে যান। এরপর ২০১৫ সালের জুলাইয়ে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের এমডি পদে যোগ দেন। গত দশকের মাঝামাঝি চারটি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) মালিকানায় অস্বাভাবিক পরিবর্তন এলে নানা কৌশল করে এসব প্রতিষ্ঠান দখল করেন পি কে হালদার। প্রতিষ্ঠান দখল করার জন্য নামে-বেনামে অসংখ্য কোম্পানি খুলেছেন, শেয়ারবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনেছেন, দখল করা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণের নামে টাকাও সরিয়েছেন। এমনকি দেশের বাইরেও কোম্পানি খোলেন। প্রতিষ্ঠানগুলো দখলের সময় পি কে হালদার প্রথমে রিলায়েন্স ফাইন্যান্স এবং পরে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ছিলেন। আর এসব কাজে তাকে সব ধরনের সমর্থন ও সহায়তা দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা। এদের মধ্যে একজন আবার বিশিষ্ট পদাধিকারী। ভারতে বসবাসরত পি কে-এর আত্মীয় এবং পে কে মিলে ভারতে হাল ট্রিপ টেকনোলজি নামে কোম্পানি খোলেন ২০১৮ সালে, যার অন্যতম পরিচালক ওই প্রীতিশ কুমার হালদার। কলকাতার মহাজাতি সদনে তাদের কার্যালয়। আর কানাডায় পিএ্যান্ডএল হাল হোল্ডিং ইনক নামে কোম্পানি খোলা হয় ২০১৪ সালে, যার পরিচালক পি কে হালদার, প্রীতিশ কুমার হালদার ও তার স্ত্রী সুস্মিতা সাহা। কানাডা সরকারের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী কানাডার টরন্টোর ডিনক্রেস্ট সড়কের ১৬ নম্বর বাসাটি তাদের। ২০১৯ সালের মাঝামাঝি যখন তার দখল করা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হতে শুরু করে, তখন পি কে হালদার ভারতে পালিয়ে যান। পরে বসবাস শুরু করেন কানাডা ও সিঙ্গাপুরে। এরপর আবার চলে আসেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। সেখানেই তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর গোয়েন্দারা পি কে হালদারকে পাকড়াও করেন শনিবার সকালে। তিন বছর আগে ঢাকা থেকে পালিয়ে তিনি যে দেশে গিয়েছিলেন, সে দেশেই ধরা পড়লেন। মাঝে কানাডার হিমহিম হাওয়া খেয়ে এসেছেন ক’বছর। যে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা (মতান্তরে দশ কোটি টাকা) লোপাট করেছেন পি কে হালদার তার ভেতরে এক কোটি টাকা রয়েছে এমন একজন ভুক্তভোগীর গল্প সেদিন শুনছিলাম। ব্রিটেনে পেশাজীবন শেষে এখন দেশে অবসরে আছেন। তিনি পি কে নিয়ন্ত্রিত একটি অর্থপ্রতিষ্ঠানে এক কোটি টাকা সঞ্চিত (এক ধরনের বিনিয়োগ) রেখেছিলেন। সেই টাকা গত তিন বছর চেষ্টা-তদ্বির করেও ওঠাতে পারেননি। কী করে পারবেন, সব টাকা তো পি কে তুলে নিয়েছেন, বড় অংশই পাচার করেছেন। এখন দেখা যাচ্ছে ভারতেই বেশি পাচার করেছেন। তবে বাংলাদেশে ৯৩৩ কোটি টাকার জমি ও বাড়ি আছে তার। তিনি নিশ্চয়ই ভাল করে জানতেন, একদিন না একদিন দেশ ছেড়ে পালাতে হতে পারে। কিন্তু দেশেই যদি অনেকখানি সম্পদ গড়েন (অন্যের টাকায়), তাহলে সমাজে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। মজার বিষয় হলো ভারতকেই তিনি নিজের দেশ ভেবেছিলেন। (তার প্রমাণ হলো পরিত্যক্ত টিনের ঘর ছাড়া কিছুই নেই তার পৈত্রিক ভিটায়।) তার ধারণা ছিল সেখানে পরিচয় লুকিয়ে রেশন কার্ডসহ নাগরিকত্ব প্রমাণের নানা সনদ জোগাড় করে ব্যবসা কার্যক্রম চাালালে তাকে আর পায় কে? বাকি জীবনটা ওখানেই সুখে-স্বাচ্ছন্দ্যে কাটাবেন, আর সেকেন্ড হোম হিসেবে কানাডা তো রইলই। আত্মবিশ^াসের পিকে (শিখরে) গিয়ে পি কে হালদার কী মহাসর্বনাশটাই না ডেকে এনেছেন নিজের জন্যে। এখন তাকে দ্রুততম সময়ে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করে মুচড়ে মুচড়ে টাকা বের করে আনাটাই বাকি। তাহলে দেশের যে বিপুল সংখ্যক মানুষের টাকা তিনি আত্মসাত করেছেন সেই তারা নিজেদের টাকাটা ফেরত পেতে পারেন। প্রতিটি দেশেরই সংখ্যালঘু শ্রেণির মধ্যে এক ধরনের বিপন্নতা ও অনিশ্চয়তার বোধ কাজ করে। বিশেষ করে ধর্মভিত্তিক দেশভাগের কারণে বাংলাদেশ ও তার প্রতিবেশী দেশ ভারতের সংখ্যালঘুদের ভেতর এই বোধটি বেশি সক্রিয়। আরও স্পষ্ট করে বললে বলতে হয় একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বাংলাদেশে হিন্দুদের টার্গেট করে হানাদার পাকিস্তানী বর্বর বাহিনী নিধনযজ্ঞ শুরু করার বাস্তবতায় এদেশে হিন্দুসমাজের বড় অংশ নিজেদের নতুন করে বিপন্ন ভাবতে শুরু করে। সেই সাতচল্লিশে অবিভক্ত ভারতের বাংলাদেশ অংশ পাকিস্তানের অংশ হচ্ছে তার পূর্বাভাস পেয়ে কবি জীবনানন্দ দাশের মতো সেক্যুলার কবিও বরিশাল ছেড়ে কলকাতায় পাকাপাকি চলে গিয়েছিলেন। এসব মর্মের ভেতরে থাকা গভীর কষ্টের কথা। কালে কালে বিগত ৫০ বছরে এদেশের হিন্দুদের একটি অংশ সম্পর্কে সাধারণ্যে এমন একটা ধারণা প্রচলিত হয়ে যায় যে, এরা বাংলাদেশে স্বউপার্জিত টাকা ও সম্পদের একটা অংশ পশ্চিমবঙ্গে পাঠিয়ে দেন ভবিষ্যতের কথা ভেবে। এর সত্যমিথ্যা বিচার কিংবা সমালোচনা না করেই বলতে পারি, অবৈধ পন্থায় বাংলাদেশের বহু মানুষের উপার্জিত বিপুল পরিমাণ অর্থ পি কে হালদার পশ্চিমবঙ্গে পাচার করেছেন। সেখানে ব্যবসাবাণিজ্য আরম্ভ করেছিলেন। বোধগম্য কারণে বাংলাদেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্যে বিষয়টি বিব্রতকর হয়ে উঠতে পারে। তবে এটাও স্পষ্ট করে বলতে চাই, সবটার ওপরে একজন অপরাধী হলো অপরাধী। তার জাত-ধর্ম পরিচয় বড় করে দেখার কিছু নেই। যদিও ধর্মপরিচয়টাকেও ধুরন্ধররা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে পি কে-এর মতোই। ভুলে গেলে চলবে না বাংলাদেশ ব্যাংকের যে ডেপুটি গবর্নরের সমর্থন ও সহায়তা না পেলে পি কে-এর পক্ষে সাড়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করা সম্ভব হতো না, সেই ব্যক্তিটির নাম শীতাংশু কুমার সুর ওরফে এস কে সুর। পি কে আর এস কে মিলে ভালই ভানুমতির খেল দেখালেন! আরেকটু বলা যাক, পি কে-এর অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগে দেশে এ পর্যন্ত আলোচিত পি কে হালদারের ৮৩ সহযোগীর ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৩ জনের সম্পদের হিসাব বিবরণী চেয়ে নোটিস দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। পি কে হালদারের ৬৪ সহযোগীর বিদেশ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তার মানে সরকার করণীয় সবটাই করছে। প্রশান্ত কুমার প্রকৃতপক্ষেই অশান্ত ইনিংস খেলেছেন, এতে অশান্ত হয়ে পড়েছে আর্থিক খাত। তার গ্রেফতারে এবার নতুন করে অশান্ত ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে ঢাকার নিস্তরঙ্গ জীবনপ্রবাহে। উত্তরায় ব্যতিক্রম পরনো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ধূপখোলা মাঠের অবৈধ স্থাপনা নিয়ে আবারও প্রতিবাদ হয়েছে। মাঠের ভেতরে মার্কেট কেন, কোন স্থায়ী স্থাপনাই হতে পারে না। এটি আইনেই নেই। তাহলে এমন বেআইনী কাজ হচ্ছে কী করে? ঢাকার মাঠ ও পার্কগুলোর যথাযথ উন্নয়ন ঢাকাবাসী চান। অনেক কাজ করার বাকি এক্ষেত্রে। অপকাজ নয়। প্রায় এক দশক আগে কয়েকটা দিন উত্তরার ৪নং সেক্টরে যাতায়াত করেছিলাম। তখনই পার্ক দেখে মুগ্ধ হই। পুকুর ও বিশাল খেলার মাঠ নজর কেড়েছিল। এ নিয়ে কিছু লেখা হয়নি। উত্তরার অন্য সেক্টরের বাসিন্দা সঙ্গীতশিল্পী মাহবুবা বিনু এটি নিয়ে লিখেছেন ফেসবুকে। তুলে দিচ্ছি- ‘উত্তরার প্রতিটা সেক্টরে একটি করে মাঠ আছে শুধু ১ নম্বর সেক্টর ছাড়া। ৭ নম্বর সেক্টরের মাঠটি পার্কের মতো বাকি সব মাঠ। অনেকদিন ধরে ৪ নম্বর সেক্টরের পরিপাটি/সুন্দর/গোছানো ইত্যাদি প্রশংসা শুনে আসছিলাম। আজ সকালে গিয়েছিলাম ৪ নম্বর সেক্টরে পার্ক দেখতে। সত্যি সুন্দর, অনেক সুন্দর। প্রতিটি রাস্তার দুইধারে ওয়াকিং ব্যবস্থা। অনেক পরিষ্কার আর পার্কটি সত্যি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অন্যরকম সুন্দর সিস্টেমেটিক। আমার মনের প্রশ্নটা করেই ফেললাম পার্কের দায়িত্বে থাকা মানুষদের। উত্তরার বাকি সব মাঠ, রাস্তাঘাট এমন নয় কেন? ওনারা বললেন, এখানকার ব্যবস্থাপনায় যারা আছেন তারাই করেছেন অত্যন্ত যতœ নিয়ে। কিন্তু রাস্তা? রাস্তা তো সিটি কর্পোরেশন ছাড়া কেউ করতে পারার কথা নয়। যাই হোক, এখন কথা হলো- উত্তরার ভেতরেও সেক্টরে সেক্টরে বৈষম্য! আর লেকের পাড় ধরে হাঁটার ব্যবস্থা আছে কিন্তু সেই রাস্তাগুলো তালাবদ্ধ থাকে, ইচ্ছে হলে কেউ যেতে পারে না, হাঁটতেও পারে না। লেকের দুই পাড়ে বসার জন্য বেঞ্চজাতীয় ব্যবস্থা করে দিলে মানুষ বিকেলে সন্ধ্যায় বসতে পারে লেকের ধারে, কিন্তু এই ভাবনা করার কেউ নেই, নিছক বিনোদনই তো এমন আর কি, অথচ এসব জীবনের জন্য জরুরী এমন ভাবতে পারে না কেন কে জানে! ঢাকার ভেতরে ক্যান্টনমেন্ট যেমন আলাদা। তেমনি উত্তরার ভেতরে ৪ নম্বর সেক্টরও আলাদা। প্রতিটা সেক্টরেই এমন ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছি এলাকার মানুষ হিসেবে।’ ১৫ মে ২০২২ [email protected]
×