ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনা নিয়ে গোলটেবিলে আলোচনা

প্রকাশিত: ১৯:০২, ১৬ মে ২০২২

সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনা নিয়ে গোলটেবিলে আলোচনা

অনলাইন রিপোর্টার ॥ "সুনীল অর্থনীতি: জাতীয় অগ্রগতিতে এর প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের সম্ভাবনা" বিষয়ে একটি গোলটেবিল পরামর্শমূলক পলিসি সংলাপ অনুষ্ঠিত হয় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের কার্নিভাল হলে । সম্প্রতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের উদ্যোগে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, বিশেষ অতিথি হিসেবে মিজ্ জুয়েনা আজিজ, মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি বিষয়ক), প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে রিয়ার এডমিরাল (অব.) মো: খুরশেদ আলম, বিএন, সচিব (এমএইউ), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উপস্থিত ছিলেন। এই পরামর্শমূলক পলিসি সংলাপের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সচিব), ড. মো: কাউসার আহাম্মদ। উক্ত অনুষ্ঠানে সুনীল অর্থনীতির সাথে সম্পর্কিত বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী, বন্দর কর্তৃপক্ষ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য অধ্যাপক ও গবেষকবৃন্দ, বিভিন্ন বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। আজকের এই পরামর্শমূলক পলিসি সংলাপে সুনীল অর্থনীতি সম্পর্কিত বিভিন্ন কর্মকান্ডকে ৮টি প্রধান থিম্যাটিক এরিয়ার (১. মেরিন ফিশারিজ এন্ড অ্যাকোয়াকালচার, ২. মেরিন শক্তি, ৩. মেরিন বায়োটেকনোলজি এবং থেরাপিউটিকস, ৪. মেরিন পর্যটন, ৫. জাহাজ ও বন্দর ব্যবস্থাপনা, ৬. সমুদ্র শাসন এবং ব্যবস্থাপনা, ৭. মেরিন ফাইন্যান্স এবং ৮. স্যাটেলাইট ওশানোগ্রাফি এন্ড আইসিটি) উপর ভিত্তি করে ২০টিরও অধিক গবেষণা সেক্টরে (যেমন- মেরিন ফিশারিজ, টুনা ফিশারিজ, মেরিকালচার, সী-উইড চাষ, মুক্তা চাষ, নবায়নযোগ্য শক্তি, অ-নবায়নযোগ্য শক্তি, এনার্জি মিক্স, জাহাজ পরিবহন, জাহাজ নির্মাণ, জাহাজ পুনর্ব্যবহার, গভীর সমুদ্রবন্দর, মেরিন স্প্যাশিয়াল প্ল্যানিং ইত্যাদি) ভাগ করা হয়। বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে এসব সেক্টরের বর্তমান ভূমিকা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে উক্ত সংলাপে অংশগ্রহণকারি স্টেকহোল্ডাররা বিশদ আলোচনা করেন। সেখানে সুনীল অর্থনীতির টেকসই বৃদ্ধি ও উন্নয়নের পথে প্রতিবন্ধকতাসমূহ কী কী সেগুলো চিহ্নিত করা হয় এবং সেগুলো উত্তরণের উপায়সমূহ নিয়েও সুদীর্ঘ আলোচনা হয়। উক্ত আলোচনার মাধ্যমে ২০টি গবেষণার বিষয় চিহ্নিত করা হয় যেগুলো বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। এখন পর্যন্ত সুনীল অর্থনীতির বিভিন্ন কর্মকান্ড বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে খন্ডিতভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। উক্ত সংলাপে বাংলাদেশে সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনাকে জাতীয় অগ্রগতিতে কিভাবে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করা যেতে পারে- এর উপর গভীরভাবে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করা হয়। বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন সুনীল অর্থনীতি সম্পর্কিত বিভিন্ন কর্মকান্ডকে কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালনা করার মাধ্যমে টেকসই প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে সিদ্ধান্ত হয়।
×