ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পি কে হালদারের দুই কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ল লাফিয়ে

প্রকাশিত: ১৮:১৩, ১৬ মে ২০২২

পি কে হালদারের দুই কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ল লাফিয়ে

অনলাইন রিপোর্টার ॥ শেয়ারবাজারে বড় দরপতনের দিনে পি কে (প্রশান্ত কুমার) হালদারের কারণে সংকটে পড়া দুটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। কোম্পানি দুটি হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ও এফএএস ফাইন্যান্স। সকালে লেনদেন শুরুর অল্প কিছু সময়ের ব্যবধানে কোম্পানি দুটির শেয়ার দিনের সর্বোচ্চ দামে উঠে যায়। তাতে একপর্যায়ে এ দুটি কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রেতাশূন্য হয়ে পড়ে। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ সোমবার ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের শেয়ারের দাম ৫০ পয়সা বা ১০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৬ টাকায়। আর এফএএস ফাইন্যান্সের শেয়ারের দামও ৫০ পয়সা বা সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৫ টাকা ৬০ পয়সায়। নিয়ম অনুযায়ী, সাধারণত এক দিনে কোনো কোম্পানির শেয়ারের দাম ১০ শতাংশের বেশি বাড়তে পারে না। সেই হিসাবে দুটি কোম্পানিরই এদিন সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। এদিন ঢাকার বাজারে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের প্রায় সাড়ে ৯ লাখ ও এফএএস ফাইন্যান্সের ৪১ লাখ শেয়ারের হাতবদল হয়। বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের একটি অংশ বলছেন, ভারতে পি কে হালদারের গ্রেফতারের খবরে কোম্পানিটির শেয়ারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা আশার সঞ্চার হয়েছে। তবে আরেকটি অংশের ধারণা, যাঁদের হাতে কোম্পানিটির শেয়ার ছিল, তাঁরা পি কে হালদারের গ্রেপ্তারের খবরকে পুঁজি করে শেয়ারের দাম বাড়িয়ে নিজেদের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাই নতুন করে যাঁরা এ কোম্পানির শেয়ার কিনবেন, তাঁরা ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন। কারণ, পি কে হালদার গ্রেফতার হলেও সহসা তাঁর কাছ থেকে টাকা উদ্ধার হয়ে যাবে, এমন সম্ভাবনা খুবই কম । পি কে হালদার গত শনিবার ভারতে গ্রেফতার হন। এর আগে বেনামে শেয়ার কিনে দেশের চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান দখলে নেন পি কে হালদার। সেগুলো হলো ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, বিআইএফসি, এফএসএ ফাইন্যান্স ও পিপলস লিজিং। এর মধ্যে পিপলস লিজিংয়ের লেনদেন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। আর বিআইএফসি শেয়ারের দাম আজ কমেছে। শেয়ারবাজার থেকে নামে-বেনামে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে শেয়ার কিনে এসব কোম্পানি দখলে নেয় পি কে হালদার। পরে কাগুজে কোম্পানি খুলে তার বিপরীতে বিপুল অর্থ বের করে নেন এসব প্রতিষ্ঠান থেকে। তাতে প্রতিষ্ঠানগুলো বলতে গেলে প্রায় অর্থশূন্য হয়ে পড়ে। আমানতকারীরা তাঁদের অর্থ ফেরত না পেয়ে পথে পথে ঘুরছেন। এসব কেলেঙ্কারি জানাজানি হওয়ার পর ২০১৯ সালে দেশ থেকে পালিয়ে যান পি কে হালদার। গত শনিবার ভারতে পি কে হালদারের গ্রেফতারের পর দেশটিতে নামে-বেনামে তাঁর বিপুল সম্পদ কেনার খবর প্রকাশিত হয়েছে ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। এদিকে পি কে হালদারের গ্রেফতারের খবরে তাঁর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধি হলেও বাজারে বড় দরপতন হয়েছে। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৩৪ পয়েন্ট বা প্রায় ২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৪৩১ পয়েন্টে।
×