ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ : তিন লাখ জেলের জন্য বরাদ্দ পৌনে ১৭ হাজার টন চাল

প্রকাশিত: ১৭:৪১, ১৬ মে ২০২২

৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ : তিন লাখ জেলের জন্য বরাদ্দ পৌনে ১৭ হাজার টন চাল

অনলাইন রিপোর্টার ॥ দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় আগামী ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরায় বিরত থাকা প্রায় ৩ লাখ জেলের জন্য চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মোট ৬৫দিন মাছ শিকার না করা এসব জেলের জন্য মোট বরাদ্দকৃত চালের পরিমাণ ১৬ হাজার ৭৫২ টন। সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে এ সংক্রান্ত মঞ্জুরী আদেশ জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। আদেশে বলা হয়েছে, নিষিদ্ধকালে সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা থেকে বিরত থাকার জন্য ২০২১-২২ অর্থবছরে সরকারের মানবিক খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ১৬ হাজার ৭৫১ দশমিক ৫৬ টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। উপকূলীয় ১৪ জেলার ৬৭ উপজেলা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর দুই লাখ ৯৯ হাজার ১৩৫টি জেলে পরিবারের জন্য এ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর আওতায় নিবন্ধিত প্রতিটি জেলে পরিবারকে প্রথম ধাপে প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে ৪২ দিনে (২০ মে-৩০ জুন) মোট ৫৬ কেজি চাল দেওয়া হবে। আদেশে ভিজিএফের চাল ১০ জুন ২০২২ তারিখের মধ্যে উত্তোলন ও মৎস্যজীবীদের মাঝে বিতরণ সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কার্ডধারী জেলে ছাড়া এ ভিজিএফ না দেওয়া এবং মৃত কিংবা পেশা পরিবর্তনের কারণে জেলে সংখ্যার পরিবর্তন হলে তা পর্যালোচনা করে নীতিমালা অনুযায়ী ভিজিএফ বিতরণের জন্য মঞ্জুরীপত্রে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দপ্রাপ্ত উপজেলাগুলো হলো- খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা, দাকোপ, পাইকগাছা, কয়রা, ডুমুরিয়া, দিঘলিয়া ও রূপসা, বাগেরহাট জেলার মোংলা, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা, সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি ও শ্যামনগর, চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী, আনোয়ারা, মিরসরাই, সন্দ্বীপ, কর্ণফুলী, সীতাকুন্ড ও চট্টগ্রাম মহানগর, কক্সবাজার জেলার সদর, চকরিয়া, মহেশখালী, উখিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়া, টেকনাফ ও রামু, নোয়াখালী জেলার হাতিয়া, সদর, সুবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জ, ফেনী জেলার সোনাগাজী, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি, সদর, কমলনগর ও রায়পুর, বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ, বাকেরগঞ্জ, হিজলা, সদর ও উজিরপুর, ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর, বরগুনা জেলার সদর, পাথরঘাটা, আমতলী ও তালতলী, পিরোজপুর জেলার সদর, মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া, নাজিরপুর, নেছারাবাদ, কাউখালি ও ইন্দুরকানি, পটুয়াখালী জেলার সদর, কলাপাড়া, বাউফল, দুমকি, মির্জাগঞ্জ, গলাচিপা, রাঙ্গাবালি ও দশমিনা এবং ভোলা জেলার সদর, বোরহানউদ্দিন, চরফ্যাশন, দৌলতখান, লালমোহন, তজুমুদ্দিন ও মনপুরা। উল্লেখ্য, সামুদ্রিক মৎস্য আইন-২০২০ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য চলতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন সব ধরনের মাছ ধরার নৌযানে করে সব প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে গত ২৪ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
×