ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আরামদায়ক রাত-পোশাক

প্রকাশিত: ২১:১৫, ১৬ মে ২০২২

আরামদায়ক রাত-পোশাক

সুস্থতার অন্যতম নিয়ামক ঘুম। সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে ঘুমের মাঝেই পাওয়া যায় সকল প্রশান্তি। আর এই ঘুমকে আরামদায়ক করতে প্রয়োজন স্বাচ্ছন্দ্যময় রাতের পোশাক। রাতের পোশাককে আমরা নাইটড্রেস বলে থাকি। একটা মজার ব্যাপার হলো নাইটড্রেস শব্দ দুটো ইংরেজী ভাষা থেকে এসেছে, তবে এটি এখন আমরা প্রচলিত বাংলা ভাষার শব্দের মতোই ব্যবহার করি। রাতের পোশাক কিনতে দোকানে গেলেও বিক্রয় কর্মীরা বলে ভাল নাইটড্রেস আছে লাগবে। হঠাৎ করে কাউকে রাতের পোশাক বললে বিভ্রান্ত হয়ে যাবে। ঘুমের এই পোশাকের রয়েছে নানা কাট-ছাট ও ডিজাইন। তবে রাতের পোশাক আরামদায়ক হতেই হবে। সারাদিনের ব্যস্ততা, পোশাকে কেতাদুরস্তভাব সবকিছু বাদ দিয়ে দিনান্তে খোলামেলা বা ঢিলেঢালা পোশাক পরাটা অত্যন্ত প্রয়োজন। মার্কেটে বিভিন্ন ধরনের রাতের পোশাক পাওয়া যায়। তারমধ্যে বেছে নিতে হবে কোনগুলো আরামদায়ক। আরাম না হলে রাতের পোশাকের কোন মানেই হয় না। কেননা, ভাল ঘুম হলে মন ভাল থাকে ও যেকোন কাজে মনোযোগী হওয়া যায়। আবার ঘুমন্ত মানুষের শরীরে রক্ত সঞ্চালন নির্বিঘ্নেব করতে হলে প্রয়োজন ঢিলেঢালা পোশাক। এসব প্রয়োজনীয়তার কথা ভেবে বর্তমান ডিজাইনাররা তৈরি করছে নানা ধরনের নাইটি। এক্ষেত্রে ছেলেরাও পিছিয়ে নেই। তাদের ঘুমকেও আরামদায়ক করতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ট্রাউজার ও ফতুয়া। যা শুধু আরামদায়কই নয় যথেষ্ট ফ্যাশনেবলও বটে। আমরা চাই সবটাতেই থাকুক স্মার্টনেস। সারাদিনের কর্মব্যস্ততায় যেমন নিজেকে পরিপাটি রাখতে পছন্দ করি, ঠিক তেমনি রাতে ঘুমাতে যাবার আগে প্রিয় মানুষদের কাছেও নিজেকে গোছানো রাখতে চাই। কথায় আছে, যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। এর সত্যতা প্রমাণ করছে হাজারো রমণী। অফিসের কাজ, সংসারের কাজ সবটা সামলিয়ে নারীরা নিজেদের করছে অনন্যা। এবার বিভিন্ন রাতের পোশাক সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক। আরামের ঘুম পেতে বেছে নিতে পারেন প্লে স্যুট। এটি পরে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, হইহুল্লোড় করা আবার রাতে শোবার জন্যও বেশ আরামদায়ক। যারা পাজামায় স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না, তারা কিনতে পারেন টি-শার্ট ও হাফ প্যান্ট। এটা সেট হিসেবে পাওয়া গেলেও রং ও প্রিন্ট মিলিয়ে আলাদা করেও কিনে নিতে পারেন। বেশ স্মার্ট ও ফ্যাশনেবল লাগবে। রাতের পোশাকের মধ্যে মহিলাদের কাছে সব থেকে প্রিয় হলো নাইটি। যারা নাইটিতে ফ্যাশনেবল হতে চান, তারা বেছে নিতে পারেন এমব্রয়ডারি, প্রিন্ট অথবা লেস লাগানো নাইটি। যুগ যুগ ধরে সকল বয়সী নারীরা এই নাইটি পরছে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে। তাই নারীর কাছে নাইটি বেশ পরিচিত এবং প্রিয় পোশাক। টিনএজদের কাছে রাতের পোশাকের মধ্যে প্রিয় হলো কিউট পাজামা ও টপ। আগে পোশাকের এই সেট খুবই সাদামাটা হতো। এখন নানা ধরনের রং ও প্যাটার্নে ঘুমানোর এই পোশাক হয়েছে যথেষ্ট ফ্যাশনেবল। তাই স্টাইল ও আরাম দুটোই পাওয়া যায় এই রাতের পোশাকে। আজকাল তরুণরাও তাদের ঘুমের পোশাক নিয়ে বেশ সচেতন। সারাদিন টাইটজিন্স ও আঁটসাঁট করা শার্ট পরে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। এরপর বাসায় গিয়ে পরছেন ঢিলেঢালা ট্রাউজার ও ফতুয়া। আবার যারা ট্রাউজারে আরামবোধ করেন না, তারা শর্ট প্যান্ট বা থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট বেছে নিচ্ছেন আরামের জন্য। বাঙালী পুরুষদের ঘরের আরামের পোশাক মানেই লুঙ্গি ছিল একসময়। বর্তমানে সেই ভাবধারা থেকে বেরিয়ে আসছে আধুনিক যুগের তরুণরা। ব্যস্ত সময়ের ব্যস্ত জীবনকে প্রশান্তি দিতে কত কিছুই না করা হয়। আর আরামের ঘুমকে আরও আরামদায়ক করতে রাতের পোশাকের কোন জুড়ি নেই। তাই ছোট-বড় যেকোন শপিংমল থেকে বেছে নিন আপনার পছন্দ অনুযায়ী রাতের পোশাক। দাম পড়বে ৫০০ থেকে ২০০০ হাজার টাকার মধ্যে। ফ্যাশন প্রতিবেদক ছবি : অনলাইন
×