ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

এক মাস আগেই নেতাকর্মীদের গণসংযোগ আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী রিফাত বিএনপির সাক্কু স্বতন্ত্র প্রার্থী

কুসিক নির্বাচন সুষ্ঠু করতে তৎপর ইসি ও প্রশাসন

প্রকাশিত: ২৩:১৭, ১৫ মে ২০২২

কুসিক নির্বাচন সুষ্ঠু করতে তৎপর ইসি ও প্রশাসন

শরীফুল ইসলাম ॥ কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের আরও এক মাস বাকি। ইতোমধ্যেই নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন এ নির্বাচন নিয়ে অধিকতর তৎপর হয়েছে। নিশ্চিত করা হয়েছে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ। কোন অবস্থাতেই যেন এ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সে জন্য সংশ্লিষ্ট সবার সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ভোটের সময় থাকবে কঠোর নিরাপত্তা। ভোটের এক মাস আগে থেকেই সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বিজেপি মোতায়েন করা হচ্ছে। আর ভোটের আগের দিন থেকে থাকবে তিন স্তরের নিরাপত্তা। সব ভোট কেন্দ্র ও ভোট কক্ষে স্থাপন করা হবে সিসি ক্যামেরা। এদিকে আগের দুই বারের পরাজয়ের গ্লানি মুছতে আওয়ামী লীগ এবার কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য এমন একজন প্রার্থী দিয়েছে। দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহকারী ১৪ নেতার মধ্য থেকে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাতকে প্রার্থী করায় দলটির সর্বস্তরেরর নেতাকর্মীরা উল্লসিত। তারা প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। নির্বাচনের আরও এক মাস সময় বাকি থাকলেও ইতোমধ্যেই কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সব ওয়ার্ড ও পাড়া-মহল্লায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে আরফানুল হক রিফাতের পক্ষে গণসংযোগ শুরু করেছে। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত সাংবাদিকদের জানান, দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ১৪ জনের মধ্য থেকে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন, এ জন্য তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার সারা জীবনের রাজনীতির ফসল দল থেকে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে মনোনয়ন। সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সহযোগিতা ও ভালবাসা নিয়ে আমি মেয়র পদে বিজয়ী হয়ে নগরবাসীর সেবা করতে চাই। অপরদিকে সরাসরি দলীয় পরিচয়ে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি। তবে দলের এমন সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে মেয়র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিএনপির ২ জন স্থানীয় নেতা। তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা জানিয়েছেন। এ ২ জনের মধ্যে রয়েছেন, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান মেয়র মনিরুল হক সাক্কু এবং কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার। তারা নিজের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে গণসংযোগও শুরু করেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত এ ২ জনের মধ্য থেকে বিএনপির স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন বর্তমান মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। তাই দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাঁর পক্ষেই ভেতরে ভেতরে কাজ শুরু করেছেন বলে জানা যায়। বিএনপির স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু সাংবাদিক জানান, দল নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করব। স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মী ও শুভাকাক্সক্ষীদের অনুরোধে ইতোমধ্যেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি। কুমিল্লা মহানগরবাসীকে দীর্ঘ ১৩ বছর সেবা দিয়েছি। তাই এই সিটি কর্পোরেশনে আমার অনেক কর্মী ও সমর্থক রয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের আমার প্রতি ভালবাসা রয়েছে। তাই দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে আমি নির্বাচন করছি। আশা করছি নগরবাসী আগের ২ বারের মতো এবারও আমাকে মূল্যায়ন করবে। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে এবার আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ছাড়াও মেয়র পদে নির্বাচন করছেন জাতীয় পার্টির মামুনুর রশিদ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর রাশেদুল ইসলামসহ আরও ক’জন। সকল প্রার্থীই নিজ নিজ অবস্থানে থেকে গণসংযোগ শুরু করে দিয়েছেন। এদিকে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সরাসরি দলীয়ভাবে অংশ না নিলেও দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর পক্ষে দলটির সর্বস্তরের স্থানীয় নেতাকর্মীরা সার্বিক প্রচেষ্টা চালাবে। এ জন্য ২০ দলীয় জোটের শরিক দল, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল এবং সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনে রাজি এমন সব দলকে নিয়ে নিজেদের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে আরফানুল হক রিফাতের পক্ষে কাজ করতে বলায় এবার নৌকার পালে হাওয়া লেগেছে। ইতোমধ্যেই আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগের দুইবারের পরাজয়ের গ্লানি মুছতে অধিকতর তৎপর হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে স্থানীয় নেতাকর্মীরা আরফানুল হক রিফাতের পক্ষে গণসংযোগ শুরু করেছেন। কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনই দেশে প্রথম বড় কোন নির্বাচন। তাই এ নির্বাচনকে টেস্ট কেস হিসেবে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ দেশের সর্বস্তরের মানুষ। তাই বর্তমান নির্বাচন কশিনের জন্য এ নির্বাচন বড় চ্যালেঞ্জ। এ কারণে সুষ্ঠু নির্বাচনের উদাহরণ সৃষ্টি করতে যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছে ইসি। ১৫ জুন এই নির্বাচনে ভোট হবে ইভিএমে। তাই এ নির্বচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে ভোটের এক মাস আগে থেকেই সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বিজেপি মোতায়েন করা হচ্ছে। এ ছাড়া ভোটের আগের দিন থেকে থাকবে তিন স্তরের নিরাপত্তা। ভোটের দিন সব ভোট কেন্দ্র ও ভোট কক্ষে স্থাপন করা হবে সিসি ক্যামেরা। পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারী দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির জন্য কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন গুরুত্ববহ। এই নির্বাচনকে জনপ্রিয়তা প্রমানের টেস্ট কেস হিসেবে নিচ্ছে উভয় দলই। তবে সরকারী দল আওয়ামী লীগ কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে থাকলেও বিএনপি কিছুটা বেকায়দায় আছে। কারণ, বিএনপি বর্তমান সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচনে অংশ নেবে না এখনও এমন অবস্থানে রয়েছে। তাই সরাসরি দলীয়ভাবে প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন করতে পারছে না। আবার আগের দুইবার এই সিটি কর্পোরেশনে মেয়র পদটি বিএনপির দখলে থাকায় এবারও সুযোগও হাতছাড়া করতে চাচ্ছে না। তাই বিএনপি স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়ে সেই প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করার কৌশল েিয়ছে। অপরদিকে আগের দুইবার দলীয় কোন্দালসহ বিভিন্ন কারণে মেয়র পদটি হাতছাড়া হলেও এবার আর সে সুযোগ নষ্ট করতে চায় না আওয়ামী লীগ। তাই আগের দুইবারের নির্বাচনে যেসব সমস্যা ছিল সেগুলো দূর করে এবার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা অধিকতর সক্রিয় হচ্ছে। এ ছাড়া স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের পক্ষে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের কাজ করতে বলেছেন। এ বিষয়ে কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আকম বাহাউদ্দিন বাহার জানান, সর্বজন গ্রহণযোগ্য আরফানুল হক রিফাতকে মেয়র প্রার্থী করায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইতোমধ্যেই কুমিল্লার সর্বস্তরের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা আরফানুল হক রিফাতের পক্ষে কাজ শুরু করেছেন। তাই আগের দুইবারের পরাজয়ের গ্লানি মুছে আমরা এবার মেয়র পদে বিজয়ী হব। ২৫ এপ্রিল কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৭ মে। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৯ মে, প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৬ মে এবং ভোট হবে ১৫ জুন। তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হলেও দিন দিন প্রার্থীদের কর্মতৎপরতা বাড়ছে। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইতোমধ্যেই ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এবার ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন মহিলা এবং ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন পুরুষ। আর তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে ২ জন। ২৭টি ওয়ার্ডের জন্য পৃথক ভোটার তালিকা প্রণয়নের কাজও শেষ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করে সকল রাজনৈতিক দলসহ সর্বস্তরের মানুষের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করছে। এ জন্য তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা করণীয় সবই করছে। এরই অংশ হিসেবে ভোট শুরু ১ মাস আগে থেকেই কুসিক এলাকায় বিজিবি মোতায়েন করা হচ্ছে। প্রথমে এক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হচ্ছে। এর আগে ১২ মে থেকে ৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়। নির্বাচনী এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা ও সব ধরনের শোডাউন বন্ধ করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে। ৯ মে থেকে আসন্ন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পুলিশ, বিজিবি ও আনসারকে পাঁচ নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নির্দেশনায় বলা হয়, ১৫ জুন কুমিল্লা সিটি নির্বাচন এবং শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা; সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা; নির্বাচনী এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ; আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের লক্ষ্যে অগ্রিম বাজেট প্রণয়ন এবং অবৈধ অনুপ্রবেশকারী নিয়ন্ত্রণ ও নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত করণের জন্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয় কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর সংশ্লিষ্টতা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ গ্রহণ করতে হবে। নির্বাচন কমিশনার মোঃ আলমগীর সম্প্রতি সাংবাদিকদের জানান, কুসিক নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ও ভোট কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে একটি এবং প্রতিটি ভোটকক্ষে (ভোটাররা যেখানে ভোট দেন, সেই গোপন স্থান ছাড়া) একটি করে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে। সেখানে কোন অনিয়ম হলে পরবর্তীতে পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রিসাইডিং অফিসার যখন নির্বাচনী মালামাল নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবেন, তখন বা তার আগে থেকেই সিসি ক্যামেরা থাকবে। ভোটগণনা শেষে ফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত এ ক্যামেরা থাকবে। ২০১১ সালের ৬ জুলাই কুমিল্লা পৌরসভা ও সদর দক্ষিণ পৌরসভার ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন গঠিত হয়। ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত প্রথম নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আফজল খানকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু। এরপর ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আফজাল খানের মেয়ে আঞ্জুম সুলতানা সীমাকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু। সুষ্ঠু ভোট এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গ্রুপিংয়ের কারণেই সাক্কু সহজে পার পেয়ে যান। এর আগে ২০০৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি কুমিল্লা পৌরসভার চেয়ারম্যান ও মেয়র ছিলেন। আগের বিজয়ের ধারাবাহিকতা রক্ষার টার্গেট নিয়ে এবারও তিনি মেয়র প্রার্থী হবেন বলে জানিয়েছেন। ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছিল কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের আগের নির্বাচন। কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রথম নির্বাচন ছিল এটি। বিএনপিসহ সরকার বিরোধী ক’টি রাজনৈতিক দলের কঠোর সমালোচনার মুখে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে কুসিক নির্বাচন করে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছিল ওই নির্বাচন কমিশন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে হারিয়ে বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিল বিএনপির প্রার্থী। তাই প্রথম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার সুযোগ পেয়েছিল নূরুল হুদা কমিশন। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সামনেও কুসিক নির্বাচনই প্রথম চ্যালেঞ্জ।
×