ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রয়োগের পরামর্শ

মজুদদারি সমূলে বিনাশে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি

প্রকাশিত: ২৩:১১, ১৫ মে ২০২২

মজুদদারি সমূলে বিনাশে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি

বিকাশ দত্ত ॥ ভোজ্যতেলকে কেন্দ্র করে মজুদদারদের কারসাজি অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। অতীতে বিভিন্ন সময়ে কোন কোন পণ্যে মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের মজুদদারির ঘটনা ঘটলেও এবারের রমজানের সময় ভোজ্যতেলের মজুদদারির ঘটনা বিরল। তাই দাবি উঠেছে, বাংলাদেশ থেকে মজুদদারি সমূলে বিনাশ করতে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের। কারণ, বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, দুই বছরের সাজা ও জরিমানাতেও অসাধু ব্যবসায়ীদের লাগাম টানা যাচ্ছে না। ফলে জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট এমন পরিস্থিতিতে পরামর্শ এসেছে বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রয়োগের। আইনবিদদের মতে, কেবলমাত্র বিশেষ ক্ষমতা আইনের প্রয়োগের মাধ্যমে অসাধু মজুদদারদের মৃত্যুদ-ের সাজা পর্যন্ত হতে পারে। এটা করা হলে তাদের মনে ভীতির সৃষ্টি হবে এবং কমে যাবে ব্যবসায়ীদের অসাধু মনোভাব। অপরাধীরা অপরাধ করেও আইনের ফাঁকফোঁকর দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। সে কারণেই কারসাজি ও মজুদদারের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলার পরামর্শ দিয়েছেন দেশের আইন বিশেষজ্ঞগণ। বর্তমানে সারাদেশে ব্যবসায়ীদের গুদাম, বাসা, অফিস, মাটির নিচে হাজার হাজার লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করা হচ্ছে। কিন্তু ভোক্তা সংরক্ষণ আইনের সীমাবদ্ধতার কারণে মজুদদারদের বিরুদ্ধে নামমাত্র জরিমানা করা যাচ্ছে। ফলে আইন বিশেষজ্ঞরা সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে এই আইনটিরও সংস্কারের পক্ষে মত দিয়েছেন। তারা বলেছেন, মজুদদারদের বিরুদ্ধে বিদ্যমান ভোক্তা সংরক্ষণ আইনের পাশাপাশি বিশেষ ক্ষমতা আইনেও মামলা করা উচিত। তা হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। অবৈধ মজুদদারি এবং কালোবাজারির শাস্তি সম্পর্কে বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪ এর ২৫(১) ধারায় বলা হয়েছে- ‘মজুদদারি বা কালোবাজারির অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে সেই ব্যক্তি মৃত্যুদ-ে, যাবজ্জীবন কারাদ-ে বা ১৪ বছর পর্যন্ত মেয়াদের কারাদ-ে ও তদুপরি জরিমানা দ-েও দ-িত হবেন। তবে শর্ত থাকে যে, মজুদদারির অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি প্রমাণ করে যে, আর্থিক বা অন্যবিধ লাভ করার উদ্দেশ্যে নয়, বরং সে অন্য কোন উদ্দেশ্যে মজুদ করেছিল, তবে সে তিন মাস পর্যন্ত কারাদ-ে ও তদুপরি জরিমানা দ-ে দ-িত হবে।’ অনুসন্ধানে দেখা যায়, হঠাৎ করে ঈদের আগে বাজার থেকে সয়াবিন তেল উধাও হয়ে যায়। মজুদদারদের কারসাজিতে ভোজ্যতেলের সঙ্কট দূর করতে দেশজুড়ে চলছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম। দাম বৃদ্ধির ফলে এখন বিভিন্ন স্থান থেকে তেলের খনি পাওয়া যাচ্ছে। গত ৬ দিনে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১০ লাখ লিটার ভোজ্যতেল উদ্ধার করা হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে মজুদারির এম ঘটনা দেখা যায়নি। উদ্ধার করা তেল গায়ের মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে ভোক্তাগণ এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। তেলের পর পেঁয়াজসহ বিভিন্নœ মসলার দাম বৃদ্ধির জন্য কারসাজি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে পেঁয়াজ ও সরিষা তেলেও এর প্রভাব পড়েছে। পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। ২০২১ সালে রাতারাতি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ২০০ টাকা হয়েছিল। সয়াবিনের দাম বাড়ানোর পর এখন বাজারে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সরিষার তেলের দামও। ঢাকায় কেজিতে এ তেলের দাম বেড়েছে ১০০ টাকা। পাঁচ কেজির দাম এক হাজার ৪০০ টাকা। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সয়াবিনের কারসাজির কারণে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে জরিমানা করা হলেও বড় ধরনের সাজা দেয়া যাচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে এদেরকে বিচার করা যায়। সে ক্ষেত্রে কঠোর সাজার বিধান রয়েছে। তা প্রয়োগ করলে অবশ্যই মজুদদাররা সতর্ক হবে। গত কয়েকদিনে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে লাখ লাখ লিটার তেল উদ্ধার করেছে। আর করেছে জরিমানা। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত সারাদেশে প্রায় ১০ লাখ লিটার সয়াবিন উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি জরিমানা করা হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ টাকা। তাদের অভিযান চলমান রয়েছে। শুধুমাত্র শুক্রবারেই ৫৭ টিম ১১৪টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে। সারাদেশ থেকে মোট ২ লাখ ৬ হাজার ৬শ’ ৬৬ লিটার সয়াবিন উদ্ধার করেছে। গায়ের মূলে তা বিক্রি করেছে। আর জারিমানা করেছে ১৮ লাখ ২ হাজার ৫০০ টাকা। এ প্রসঙ্গে প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও আপীল বিভাগের সাবেক বিচারপতি নাসিমুল হক নাসিম বলেছেন, মজুদদারের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন আছে, সেটা প্রয়োগ করা যায়। ভোক্তা অধিকার আইনেরও প্রয়োগ করা যায়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে জারিমানা করছে। বিশেষ ক্ষমতা আইনেও জেল আছে, ফাঁসিও আছে। আমার বক্তব্য হলো, তেল পাওয়া যাচ্ছে- এটার বিরুদ্ধে সবার একত্রে এগিয়ে আসা উচিত। ভবিষ্যতে যাতে আর কেউ এ কাজ না করতে পারে। তা না হলে দেশের সর্বনাশ হয়ে যাবে। সুপ্রীমকোর্টের ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক জনকণ্ঠকে বলেছেন, মজুদদারদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে কঠিন শাস্তি দেয়া উচিত। কালোবাজারিরা জিনিসপত্র মজুদ করে মানুষের দুঃখ-দুর্দশার সৃষ্টি করে। অধিক মুনাফা লাভের জন্য অবৈধভাবে গুদামজাত করে মালামাল আটক রাখে। এদের আসলে মৃত্যুদ- হওয়া উচিত। ভোক্তা আইনে শাস্তির পরিমাণ বাড়ানো দরকার। সে ক্ষেত্রে এই আইনটারও সংস্কার প্রয়োজন মনে করি। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান জনকণ্ঠকে বলেন, কঠোর যে আইন আছে, তা পুলিশ বা এদের মাধ্যমে প্রয়োগ করার চেষ্টা করব। ভোক্তা আইনে না অন্য আইনে মামলা করা হবে, সেটা দেখা হচ্ছে। এগুলো নিয়ে কাজ করছি। ভোক্তা আইনে পারা যাচ্ছে না। আমাদের চিন্তা-ভাবনা আছে বিশেষ ক্ষমতা আইন ব্যবহার করার। ভোক্তা আইন সংস্কারের জন্য কাজ করছি। তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত সারাদেশে প্রায় ১০ লাখ লিটার সয়াবিন উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি জরিমানা করা হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ টাকা। আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাপধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ও সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল জনকণ্ঠকে বলেছেন, বাংলাদেশে বর্তমানে সয়াবিন তেলসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের যে মজুদ করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, এটি নিঃসন্দেহে বেআইনী এবং সংবিধান বিরোধী। বাংলাদেশে বর্তমানে দুটো আইন এ ক্ষেত্রে প্রয়োগ করার সুযোগ রয়েছে। আমরা প্রতিনিয়তই দেখছি যে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন প্রয়োগ করে বিভিন্ন ধরনের জরিমানা এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে স্বল্প মেয়াদের জেল প্রদান করা হচ্ছে। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রয়োগ করেছিলেন একটি প্রয়োজনীয় মুহূর্তে। তখনও দেশে মজুদদার এবং কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্যে আমাদের অর্থনীতি একটি সঙ্কটকালীন মুহূর্ত অতিবাহিত করছিল। বিশেষ ক্ষমতা আইনে মজুদদারি এবং কালোবাজারির জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- রেখে আইন পাস করা হয়েছিল। সেই আইনটি কিন্তু এখনও বহাল রয়েছে। মনে হচ্ছে আজকের দিনের মজুদদার এবং কালোবাজারিরা এই আইনটির কথা বেমালুম ভুলে গেছেন। আমার কাছে মনে হয়, বর্তমান এই প্রবণতা মোকাবেলা করতে হলে প্রয়োজনে বিশেষ ক্ষমতা আইনটি আমাদের প্রয়োগ করতে হবে। মজুদদার-কালোবাজারি তথা সকল ব্যবসায়ীকে মানবিক হতে হবে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, অবৈধ মজুদকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের এখতিয়ার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে নেই। তাই দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, জরিমানা, সতর্ক করে অবৈধ মজুদ না করার এবং ভোজ্যতেলসহ নিত্যপণ্য সঠিক মূল্যে বিক্রির নির্দেশনা দিয়েই তারা দায়িত্ব সারছেন। এসব পদক্ষেপকে অপ্রতুল দাবি করে আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মজুদদার ও কালোবাজারিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ-ের বিধান রয়েছে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে। কিন্তু তা প্রয়োগ হচ্ছে না। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের আওতায় অল্প জরিমানা করে ছেড়ে দিয়ে মূলত অবৈধ মজুদদার ও কালোবাজারি সিন্ডিকেটকে আইনী ছাড়ই দেয়া হচ্ছে। এদের বিশেষ ক্ষমতা আইনের অধীনে সুনির্দিষ্ট মামলা করে দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। অথবা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন সংশোধন করে অধিদফতরকে সুনির্দিষ্ট মামলা করার এখতিয়ার দিতে হবে, জরিমানার পরিমাণও বাড়াতে হবে। অন্যথায় সিন্ডিকেটের হাতে জনগণকে জিম্মিই থেকে যেতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা রুজু হতো, তাহলে সাতদিনের মধ্যেই তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসত। বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(১)-এ বলা হয়েছে, ‘মজুদদারি অথবা কালোবাজারে কারবারের অপরাধে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তিনি মৃত্যুদ- অথবা যাবজ্জীবন কারাদ- অথবা ১৪ বছর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদের সশ্রম কারাদ-ে দ-িত হইবেন এবং তাহাকে জরিমানাও করা যাইবে। তবে শর্ত থাকে যে, মজুদদারি অপরাধের ক্ষেত্রে, উক্ত অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি প্রমাণ করিতে পারেন যে, তিনি আর্থিক বা অন্যবিধ লাভের উদ্দেশ্য ছাড়া মজুদ করিয়াছেন, তবে তিনি তিন মাস পর্যন্ত যে কোন মেয়াদের কারাদ-ে দ-িত হইবেন এবং তাহাকে অর্থদন্ডও করা যাইবে।’ একই আইনের ২৫ডি ধারায় বলা আছে, বিশেষ ক্ষমতা আইনে যে সব কাজকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে, সেই সব কাজ করার চেষ্টা করা বা কাজ করার সহযোগিতা করাও অপরাধ হবে। ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ২ ধারায় মজুদের সংজ্ঞা উল্লেখ রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি কর্তৃক যে কোন সময়ে মজুদ বা মজুদ রাখার অনুমতিপ্রাপ্ত জিনিসের সর্বাধিক পরিমাণের চেয়ে বেশি কিছু মজুদ করা বা সংরক্ষণ করা। একই ধারায় ‘কালোবাজারে লেনদেন’র সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, নির্ধারিত সর্বোচ্চ মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে কোন কিছু বিক্রি বা ক্রয় করা। এই আইনটি সয়াবিন তেলের অবৈধ মজুদের ক্ষেত্রে সর্বাধিক প্রযোজ্য বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা। উচ্চ আদালতের এক আইনজীবী বলেন, ‘সাধারণত তাৎক্ষণিক অপরাধ দৃষ্টিগোচর হলে মোবাইল কোর্ট সাজা দেবে। কিন্তু যদি দেখা যায় যে, অপরাধের মাত্রা বেশি, তাহলে অধিকতর সাজার জন্য মালামাল জব্দ করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে মামলার জন্য কোর্টে পাঠানো উচিত। কেননা, একই অপরাধে মোবাইল কোর্ট সাজা দিয়ে দিলে আদালতে আর মামলার সুযোগ থাকে না।’ সম্প্রতি দেশজুড়ে ভোজ্যতেলের সঙ্কট দেখা দেয়। এই সুযোগে তেলের মূল্য বৃদ্ধি করতে বাধ্য হয় সরকার। তারপরও বাজারে পণ্যটির সঙ্কট চলতে থাকায় টনক নড়ে সরকারের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশব্যাপী অভিযান পরিচালনা করছে ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। তাদের অভিযানে বেরিয়ে আসছে দেশের নানা স্থানে গোপনে মজুদ করে রাখা লাখ লাখ লিটার ভোজ্যতেল। গত মার্চে সিন্ডিকেট করে সয়াবিন তেলের দাম সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বাড়ালে রিট করেন সুপ্রীমকোর্টের তিন আইনজীবী। ওই রিটের শুনানিকালে হাইকোর্ট ১৪ মার্চ বলেছিলেন, সরকারের মেশিনারিজগুলো (আইন, বিধি, নীতিমালা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, তদারক সংস্থা) সক্রিয় থাকলে মজুদকারীরা সাহস পেত না। আইন, সংগঠন সবকিছু আছে, কিন্তু প্রয়োগ নেই। এরই মধ্যে চলতি মাসের শুরুতে ঈদের আগে খুচরা বাজার থেকে উধাও হয়ে যায় সয়াবিন তেল। এরপর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সায় নিয়ে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৩৮ থেকে ৪৪ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে ২০০ টাকার কাছাকাছি নির্ধারণ করে ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স এ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যাসোসিয়েশন।
×