ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

জালিয়াতি করে ভারতীয় ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করেন বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা দ্রুত ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে সরকার

পি কে গ্রেফতার ॥ পশ্চিমবঙ্গে ‘শিবশঙ্কর’ ছদ্মনামে অবস্থান

প্রকাশিত: ২৩:০৭, ১৫ মে ২০২২

পি কে গ্রেফতার ॥ পশ্চিমবঙ্গে ‘শিবশঙ্কর’ ছদ্মনামে অবস্থান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগে ফেরার প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পি কে হালদার) গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার সকালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে দাবি করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সংস্থাটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, প্রশান্ত কুমার হালদার পশ্চিমবঙ্গে নিজেকে শিবশঙ্কর হালদার নামে পরিচয় দিয়ে ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়েছেন। তিনি জালিয়াতি করে রেশন কার্ড, ভারতীয় ভোটার আইডি কার্ড, প্যান কার্ড ও আধার কার্ড নিয়েছিলেন। তার সহযোগীরাও সেখানে জালিয়াতি করে ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়েছেন। যাদের মধ্যে প্রীতিশ কুমার হালদার ও প্রাণেশ কুমার হালদারসহ আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রীতিশ পি কে হালদারের আপন ছোট ভাই। ঢাকা, কলকাতা ও নয়াদিল্লীর একাধিক সূত্র জনকণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সূত্রগুলো বলছে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডা ঘুরে পি কে হালদার ভারতে গা-ঢাকা দিয়েছেন- এমন খবর প্রথম ইডিকে জানান বাংলাদেশের গোয়েন্দারা। এরপর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে গ্রেফতার করতে ইডিকে অনুরোধ জানায়। গত শুক্রবার পি কে হালদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের সন্ধানে ভারতের বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু হয়। অভিযানে পি কে হালদারের অভিজাত বাড়িগুলো থেকে জমির দলিলসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক নথি উদ্ধার করা হয়। এদিকে শনিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, পি কে হালদারকে ফিরিয়ে আনতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানও শনিবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পি কে হালদারকে দ্রুত ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। জানা গেছে, পি কে হালদারের জন্ম পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার দিঘিরজান গ্রামে। বাবা প্রয়াত প্রণনেন্দু হালদার ও মা লীলাবতী হালদার। তাঁর মা ছিলেন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। পি কে হালদার ও তাঁর ভাই প্রীতিশ কুমার হালদার দুজনই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। পরে দুজনই ব্যবসায় প্রশাসনের আইবিএ থেকে এমবিএ করেন। পাশাপাশি চার্টার্ড ফিন্যান্সিয়াল এ্যানালিস্ট (সিএফএ) সম্পন্ন করেন পি কে হালদার। শিক্ষাজীবন শেষে পি কে হালদার যোগ দেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইআইডিএফসিতে, ২০০৮ সাল পর্যন্ত উপব্যবস্থাপনা (ডিএমডি) পরিচালক ছিলেন। ১০ বছরের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা নিয়েই ২০০৯ সালে তিনি অদৃশ্য আশীর্বাদে রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের এমডি হয়ে যান। এরপর ২০১৫ সালের জুলাইয়ে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের এমডি পদে যোগ দেন। পি কে হালদারের কারণে রিলায়েন্স ফাইন্যান্স ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের নাম বারবার আসায় প্রতিষ্ঠান দুটি নাম পরিবর্তন করে এখন আভিভা ফাইন্যান্স ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। দুই ভাই মিলে ভারতে হাল ট্রিপ টেকনোলজি নামে কোম্পানি খোলেন ২০১৮ সালে, যার অন্যতম পরিচালক প্রীতিশ কুমার হালদার। কলকাতার মহাজাতি সদনে তাঁদের কার্যালয়। আর কানাডায় পিএ্যান্ডএল হাল হোল্ডিং ইনক নামে কোম্পানি খোলা হয় ২০১৪ সালে, যার পরিচালক পি কে হালদার, প্রীতিশ কুমার হালদার ও তাঁর স্ত্রী সুস্মিতা সাহা। কানাডা সরকারের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, কানাডার টরোন্টোর ডিনক্রেস্ট সড়কের ১৬ নম্বর বাসাটি তাঁদের। দুদক সূত্রে জানা যায়, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে প্রায় ২৫০০ কোটি টাকা সরানো হয়। এ ছাড়া এফএএস ফাইন্যান্স, রিলায়েন্স ফাইন্যান্স এবং পিপলস লিজিং থেকে একই কায়দায় আরও প্রায় ৭৫০০ কোটি টাকা ঋণের নামে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে পিকে হালদার ও তার সিন্ডিকেট। সব মিলিয়ে ১০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে এফএএস ফাইন্যান্স থেকে প্রায় ২২০০ কোটি টাকা, রিলায়েন্স ফাইন্যান্স থেকে ২৫০০ কোটি টাকা, পিপলস লিজিং থেকে প্রায় ৩০০০ কোটি টাকা অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ দেখিয়ে আত্মসাত ও পাচার করা হয়েছে। এসব ঋণের বিপরীতে মর্টগেজ নেই বললেই চলে। ফলে ঋণ পরিশোধ হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। আর এর প্রধান কারিগর পি কে হালদার। এসব অর্থ আত্মসাত ও পাচারের পর কানাডায় পালিয়ে যান প্রশান্ত কুমার হালদার। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ৩৪টি মামলা করেছে। এসব মামলায় এক ডজনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ১১ জন দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীও দিয়েছেন। পি কে হালদারের অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত ও ঘনিষ্ঠ হিসেবে অন্তত ৭০ জনের একটি তালিকা করেছিল বিএফআইইউ ও দুদক। তাদের অনেকেই ভারতে গিয়ে নামের আংশিক পরিবর্তন করে জালিয়াতি করে ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়ে বসবাস করার অভিযোগ ওঠে। দুদক সূত্রে জানা যায়, গত বছর নবেম্বরে ৪২৬ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে প্রায় ৬ হাজার ৮০ কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগে তিনিসহ মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট অনুমোদন করেছিল দুদক। ওই চার্জশীটে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে কানাডায় এক কোটি সতেরো লাখ কানাডিয়ান ডলার পাচারের অভিযোগও আনা হয়েছিল। এর আগে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রশান্ত কুমার হালদারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। ওই বছর ডিসেম্বরে তাকে ধরার জন্য পুলিশের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোলের কাছে রেড নোটিস পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করে সরকার। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডা ঘুরে পি কে হালদার ভারতে গা-ঢাকা দিয়েছেন- এমন খবর প্রথম ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে (ইডি) জানায়, বাংলাদেশের গোয়েন্দারা। এরপর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে গ্রেপ্তার করতে ইডিকে অনুরোধ জানায়। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-বিআইএফআইইউর একটি সূত্র বলছে, অর্থ পাচারের মাধ্যমে পি কে হালদার ভারতে যে বিপুল সম্পদ গড়ে তুলেছেন, তা কিভাবে ফিরিয়ে আনা যায় তা নিয়ে এখন তারা চিন্তা-ভাবনা করছেন। ভারতে তার আরও অনেক সম্পত্তি রয়েছে বলে তাদের ধারণা। ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে হুন্ডির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে। সেই জালিয়াতির টাকা আবার পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন শেল কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা হতো। এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কের জালিয়াত চক্রের সঙ্গে যুক্ত হিসেবে ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগরের সুকুমার মৃধা নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর নাম ইডির তদন্তে উঠে আসে। সূত্র বলছে, ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশে এই জালিয়াতির ঘটনা ঘটানো হয়। এই চক্রের প্রধান পি কে হালদার। তাকে সহযোগিতা করতেন প্রণব কুমার হালদার ও ছোট ভাই প্রীতিশ কুমার হালদার। সূত্র জানিয়েছে, ২০১৯ সালে বিভিন্ন ধরনের জালিয়াতির পর ভারতে পালিয়ে গিয়ে শিবশঙ্কর হালদার নামে পশ্চিমবঙ্গে ভারতীয় আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, পাসপোর্ট গ্রহণ করেন পি কে হালদার। তাকে সাহায্য করেন অশোকনগরের সুকুমার মৃধা। ইডির তদন্তকারীরা বলছেন, সুকুমারের সঙ্গে পি কের দীর্ঘদিনের পরিচয়। বাংলাদেশ থেকে জালিয়াতি করে পাওয়া টাকা পশ্চিমবঙ্গে নিতে মাছ ব্যবসার আড়ালে পি কে হালদারকে সাহায্য করতেন এই সুকুমার। সুকুমার মৃধার বাড়িতে তার জামাতা সঞ্জীবকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। এ ছাড়া প্রণব কুমার হালদারের দুই ছেলেকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। অভিযানে বেশ কিছু কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে। ভারতে পিকে হালদারের বিপুল সম্পত্তি, বাড়ি আছে ২০টি ॥ এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদার (পি কে হালদার) ও তাঁর সহযোগী সুকুমার মৃধার বিপুল সম্পদের সন্ধান ভারতের অর্থ-সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। গত শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরে অন্তত ১০টি স্থানে একযোগে অভিযান চালিয়ে কয়েকটি অভিজাত বাড়িসহ বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছেন। বাড়িগুলো থেকে জমির দলিলসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক নথি উদ্ধার করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে পিকে হালদারের ২০ থেকে ২২টি বাড়ি আছে বলে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মৃধাকে তাঁরা মাছ ব্যবসায়ী হিসেবে চিনতেন। পি কে হালদার ও সুকুমার মৃধা অশোকনগরে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী। ইডি ধারণা করছে, এই দুজনের দীর্ঘদিনের যোগসাজশে বিপুল অর্থ আত্মসাত করা হয়েছে। ভারতীয় পল্লী এলাকার পাশে নবজীবন পল্লীতে বিলাসবহুল বাগানবাড়ি পাওয়া গেছে পি কে হালদারের আত্মীয় প্রণব কুমার হালদারের। ঠিক তার পাশেই আরেক বিলাসবহুল বাগানবাড়ি সুকুমার মৃধার। মাছ ব্যবসায়ী পরিচয় দিলেও এলাকাবাসী সুকুমার মৃধার বিলাসী জীবন দেখে সব সময়ই সন্দেহ করত। পি কে হালদারকে দ্রুত ফেরাতে ব্যবস্থা ॥ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘প্রশান্ত কুমার হালদার (পি কে হালদার) ভারতে গ্রেফতার হওয়ার বিষয়ে আমরা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানি না। তবে জানামাত্র তাকে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে শনিবার চন্দ্রাবতী একাডেমি আয়োজিত জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের স্মরণসভা ও আলোকচিত্র গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। এটা নিয়ে দুদক কাজ করছে। ‘অনেকে নামে-বেনামে দেশ থেকে টাকা পাচার করছে। তারা দেশের শত্রু। তাদের ধরে নিয়ে আসা ভাল। পি কে হালেদারের মতো ধরে নিয়ে আসার মতো দু/একটি দৃষ্টান্ত হলে তা আরও ভাল হবে।’ এদিকে পি কে হালদারকে দ্রুত ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। শনিবার বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও আমাদের কাছে খবর আসেনি। আসলে পরে সিদ্ধান্ত নেব। ওনার (পি কে হালদার) নামে আমাদের এখানে মামলা রয়েছে। আমরা নিশ্চয়ই তাঁদের (ভারতের) কাছে সহযোগিতা চাইব তাঁকে ফেরত আনার জন্য।’ পরবর্তী প্রক্রিয়া সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাঁকে দ্রুত ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করব।’
×