ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিক্রমপুরের দুই গুণীজনকে পরিকল্পনামন্ত্রীর প্রশংসা

প্রকাশিত: ২১:০৮, ১৪ মে ২০২২

বিক্রমপুরের দুই গুণীজনকে পরিকল্পনামন্ত্রীর প্রশংসা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি বলেছেন, ‘আমি বিক্রমপুরের একজন মুগ্ধ ভক্ত। আমি ২/৩ বার বিক্রমপুরে গিয়েছি। তাদের আতিথিয়েতায় মুগ্ধ হয়েছি। এই স্থানের ইতিহাস-ঐতিহ্য, কৃষ্টি-সভ্যতা আমাকে খুব আপ্লুত করে। বিক্রমপুর নিঃসন্দেহে এই দেশের গর্ব। সারাদেশ যদি বিক্রমপুরের মতো হতো; তা বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যেত।’ তিনি দুই সংবর্ধিত ব্যক্তিত্বের জন্য শুভকামনা করে বলেন, ‘তারা শুধু বিক্রমপুর নয়, বাংলাদেশের গর্ব।’ প্রধান অতিথি তার ভাষণ শেষে সম্মাননাপ্রাপ্ত দুই জনের হাতে উপহার হিসেবে দুটি তৈলচিত্র তুলে দেন। গত ১৩ মে বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ-কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী। বিক্রমপুরের দুই কৃতী সন্তান-একজন অনুজীব বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন, যিনি ২০২২ সালে বিজ্ঞানে পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ স্বীকৃতি একুশে পদক। অন্যজন খ্যাতিমান কথাশিল্পী, কবি, সম্পাদক, গীতিকার ও সঙ্গীতশিল্পী অধ্যাপক ঝর্ণা রহমান। তিনি ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এ দুই কৃতী সন্তানকে সংবর্ধিত করেছে অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন। জমকালো অনুষ্ঠানে সূচনা সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সুমা রায়। গান গেয়েছেন রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী ড. মকবুল হোসেন। এ-দুইয়ের হৃদয় ছোঁয়া গানে বিমোহিত হন অভ্যাগতরা। সংগঠনের পক্ষে এ-দুই গুণী শিল্পীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শায়লা তিথী এবং আরিফ সোহেল। অনুষ্ঠানের শুরুতেই অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের ‘বঙ্গীয় গ্রন্থ জাদুঘর'-এর জাতীয় কমিটির সভাপতি এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী সদ্য প্রয়াত এএমএ মুহিতের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা। স্বাগত বক্তব্য দেন অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি বিশিষ্ট চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব। সংবর্ধিতদের উদ্দেশ্যে মানপত্র পাঠ করেন অধ্যাপক শাহজাহান মিয়া [ডা. মো. আনোয়ার হোসেন] এবং কামরুন্নেসা হোসেন [অধ্যাপক ঝর্ণা রহমান]। মানপত্র দুটি সংবর্ধিত দুই গুণীজনের হাতে তুলে দেয়া হয়। শুভেচ্ছা ভাষণ দিয়েছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। দ্বিতীয়পর্বের অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও রামপাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর হাসান। আর অনুষ্ঠান সূচনায় ছিলেন নাছির উদ্দিন জুয়েল। সম্মাননাপ্রাপ্ত অধ্যাপক ঝর্ণা রহমান ও ড. মো. আনোয়ার হোসেন তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। প্রধান অতিথি এম এ মান্নান এমপিকে পুষ্পার্ঘ দিয়ে বরণ করেছেন অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি ডা. আবদুল মালেক ভুঞা। অন্যান্য অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন যথাক্রমে কবির ভুঞা কেনেডি, শামিমা নাসরিন, মুজিব রহমান, আবু হানিফ, আবুল কালাম আজাদ, ইসলাম শেখ এবং আবদুর রউফ। দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্ব ড. নূহ-উল-আলম লেনিন অতিথিদের একে একে উত্তরীয় পরিয়ে দেন। অনুষ্ঠানের সভাপতি অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন স্বপ্নদষ্ট্রা ড. নূহ-উল-আলম লেনিন বলেন, ‘আমরা শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্ববাসীর সামনে বিক্রমপুরকে নতুনভাবে আবিষ্কার করেছি। মাটি খুঁজে প্রত্নতত্ত্ব পেয়েছি। যা বাংলাদেশের জন্য এক নতুন ইতিহাস। সংবর্ধিত দুই কীর্তিমানের অর্জন; অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন আরো সমৃদ্ধ হয়েছে। কারণ তারা আমাদের সংগঠনেরই সদস্য। তাদেরকে সংবর্ধিত করে আমরাও গর্বিত।’
×