ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ভারত থেকে পালিয়ে এসে উখিয়ায় আশ্রয় নিচ্ছে রোহিঙ্গারা

প্রকাশিত: ১৮:৫৬, ১৪ মে ২০২২

ভারত থেকে পালিয়ে এসে উখিয়ায় আশ্রয় নিচ্ছে রোহিঙ্গারা

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ ত্রাণ সামগ্রীসহ রোহিঙ্গারা যথেষ্ট সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে জেনে ভারত থেকে রোহিঙ্গারা পালিয়ে আসছে বাংলাদেশে। দালালদের মাধ্যমে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা আসছে উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে। ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় ১পরিবারের ৬ জন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক আত্মীয়ের বাসায় আসার সময় চেকপোষ্টে ১/ইস্ট, ব্লক- এফ/১২ এ ১৪ এপিবিএনের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক নাঈমুল হক পিপিএম জানান,ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ক্যাম্পে এক আত্মীয়র বাসায় যাবার সময় চেকপোষ্টে কর্মরত এপিবিএনের সদস্যরা ১ পরিবারের ৬ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে। মিয়ানমারের মংডু টাউনশিপের ফইরা বাজার এলাকায় বসবাস করত মো: সাইদ। গত ২০১২ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যচারে মিয়ানমার থেকে ভারতের জম্মু চলে যায়। সে দিনমজুরের কাজ করত ভারতে। ওখানে আরও ২০০/৩০০ টি রোহিঙ্গা পরিবার আছে। বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ভাল অবস্থায় থাকার কারণে সে তার শশুরের বাড়ি কুতুপালং ক্যাম্পে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। সে ও তার স্ত্রী সহ পরিবারের মোট সদস্য ৬ জন। রোহিঙ্গারা জানায়, জম্মু থেকে ট্রেনযোগে দিল্লি আসে। দিল্লি থেকে বাসে আসামের গোহাটি হয়ে সেখানকার তার কাটা ছেঁদ করে বাংলাদেশের কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ কর্। জম্মু থেকে বাংলাদেশের সীমান্ত পর্যন্ত একজন ভারতীয় দালালের মাধ্যমে আসে। সীমান্ত পার হওয়ার সময় বিএসএফ এর হাতে ধরা পড়ে। বিএসএফ এর সদস্য তাকে পিটিয়ে ইউএনএইচসিআরের কার্ড নিয়ে নেয়। জম্মু থেকে বাংলাদেশে আসা পর্যন্ত দালালের সঙ্গে পুরো পরিবারের জন্য ৩০,০০০/- ( ত্রিশ হাজার) রুপি দিতে হয়। কুমিল্লা সীমান্ত পার হয়ে হেঁটে, সিএনজি করে কুমিল্লা রেলস্টেশনে আসে। তারপর ট্রেনে করে চট্টগ্রাম আসে। চট্টগ্রাম থেকে বাসে কক্সবাজার ও কক্সবাজার থেকে কুতুপালং পর্যন্ত বাসে পেীছেছে। কুমিল্লা সীমান্ত থেকে কুতুপালং পর্যন্ত সঙ্গে এক বাঙালী দালাল নিয়ে আসে। সে পুরো পথের ভাড়া দেয়। তার বাড়ী কুমিল্লা সীমান্তে বলে জানতে পারে। সে দালাল তার মোবাইলের সকল যাবতীয় তথ্যাদি মুছে দেয়। ইন্টারন্যাশনাল রোমিং পাংশন চালু না থাকার দরুন অন্য কোনভাবে তথ্য পাওয়া যায়নি। সে জানায় ওখানকার সব রোহিঙ্গা পরিবার বাংলাদেশে চলে আসবে। ইতোমধ্যে অনেক পরিবার চলে আসছে। কুতুপালং ক্যাম্প সি আই সি তাদের ট্রানজিট ক্যাম্প প্রেরণ করেন। কুতুপালং ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা মো: নুর জানান, বালুখালী, কুতুপালং ক্যাম্প ৯/৮/৬ /ইস্ট ও ৪ নং ক্যাম্পে ভারত থেকে পালিয়ে আসা কমপক্ষে ১ হাজারের অধিক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে।
×