ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া

পর্যটনে নিরাপত্তা

প্রকাশিত: ২০:৫৪, ১৩ মে ২০২২

পর্যটনে নিরাপত্তা

বাংলাদেশ বহুমাত্রিক সৌন্দর্যের আধার। এদেশের উন্নয়ন ভাবনায় পর্যটন জায়গা দখল করে নিয়েছে। অজানাকে জানার দুর্বার ইচ্ছা ও মানুষের বিনোদনের সব উপকরণ নিয়ে গড়ে উঠেছে পর্যটন শিল্প। পর্যটন এখন শুধু আনন্দের খোরাক নয়, এটা একটি শিল্প। যে কোন স্থানের পর্যটন বিকাশের জন্য পূর্বশর্ত হচ্ছে সে স্থানের নিরাপত্তা। পৃথিবীর প্রায় সকল দেশে পর্যটন এখন অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার খাত। নিরাপত্তা ও অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা পর্যটন বিকাশের পূর্বশর্ত। পর্যটনবান্ধব পরিবেশ পর্যটকের আস্থা ও বিশ্বাস বৃদ্ধি ঘটায়। কিছুদিন পূর্বে ঘটে যাওয়া গণধর্ষণের ঘটনাটি বাংলাদেশের পর্যটন ক্ষেত্রে নিরাপত্তার ওপর প্রশ্ন তুলে ধরে। দেশের প্রধান পর্যটনস্থল কক্সবাজারে ১২৫০ জন পর্যটকের নিরাপত্তার জন্য রয়েছে মাত্র একজন পুলিশ। সন্ধ্যার পর এ এলাকায় নিরাপত্তা সঙ্কট এখন অনিবার্য ইস্যু। দুনিয়ার দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের আগমন নিশ্চিত করতে নিরাপত্তার দিকটিকে গুরুত্ব দিতে হবে। প্রায় দুই বছর পর অতিমারী কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে পুরোদেশ। জমজমাট দেশের পর্যটনকেন্দ্রগুলোও। প্রতিদিনই দেশের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে বাড়ছে ভ্রমণপিপাসু মানুষের পদচারণা। কিন্তু এসব জায়গার বেশিরভাগেই নেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যথাযথ তৎপরতা। ফলে, বেড়েই চলছে নানা ধরনের অপকর্ম। স্থানীয়দের হাতে প্রায়ই পর্যটকদের হেনস্তা হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। শারীরিক হেনস্তার পাশাপাশি ঘটছে ধর্ষণের মতো ঘটনাও। তাই দেশের পর্যটন খাতকে গতিশীল রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা আরও বাড়ানোর তাগিদ সংশ্লিষ্টদের। জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র সিলেটের জাফলংয়ে টিকেট কেনাকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের সঙ্গে কাউন্টারের লোকদের বাগ্বিত-া হয়। একপর্যায়ে কাউন্টারে থাকা স্বেচ্ছাসেবকরা লাঠিসোঁটা দিয়ে পর্যটকদের পেটাতে শুরু করে। ৩ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের ভিডিওতে স্বেচ্ছাসেবকের জ্যাকেট পরিহিত কয়েকজন যুবক এক নারী ও মেয়েকে উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তো দূরে থাক, সাধারণ মানুষকেও ভয়ে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। ওই যুবকরা হাতে লাঠি নিয়ে কয়েক দফায় মধ্যবয়স্ক ওই নারীকে আঘাত করে। তবে ঘটনা ঘটার সময় কোন পুলিশকে আশপাশে দেখা যায়নি। কিন্তু শুধু শারীরিক হেনস্তা নয়, দেশের সবচেয়ে বড় পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজারে স্বামী-সন্তান নিয়ে বেড়াতে গিয়ে এক নারী পর্যটক সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন গত বছরের ডিসেম্বর মাসে। স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে তিন যুবক তাকে ধর্ষণ করে। যদিও সরকার দেশের পর্যটনস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এখানে বলা বাহুল্য, ট্যুরিস্ট পুলিশদের সার্বিক সহযোগিতায় পূর্বের তুলনায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে অপরাধের অভিযোগ অনেকাংশে কমেছে এবং রাতের বীচ এখন আগের তুলনায় বেশ নিরাপদ। ট্যুরিস্ট পুলিশদের আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে এবং অপরাধকে কঠোর হাতে নির্মূল করতে হবে। উন্নত দেশগুলোতে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য সঠিক ব্যবস্থাপনার ব্যবহার প্রশংসার দাবিদার। আমাদের দেশেও ব্যবস্থাপনা আরও দৃঢ় করতে হবে। অপরাধীদের তৎক্ষণাৎ বিচারের আওতায় আনতে হবে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বাড়তি নজরদারি এবং আধুনিক উন্নত ব্যবস্থাপনা পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। এখানে বলা বাহুল্য যে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সীমাবদ্ধতা আছে। লাখ লাখ পর্যটকের নিরাপত্তায় আছেন মাত্র ২১১ জন ট্যুরিস্ট পুলিশ। হিমছড়ি, রামু, সোনাদিয়া, সাবরাং, টেকনাফসহ বহু স্থানে পর্যটকের নিরাপত্তায় কেউ নেই। ২০১৫ সালে বিদেশী একজন নারী পর্যটক ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। বিভিন্ন পর্যটন স্থানে এমন বহু ঘটনা দেখা গেছে বিগত বছরগুলোতে। ট্যুরিস্ট পুলিশের সীমাবদ্ধতা ছাড়াও সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবকে দায়ী করা যায় এরূপ অবস্থার পিছনে। হোটেল, মোটেলগুলোতে তেমন কোন নিরাপত্তার উদ্যোগ দেখা যায় না। তাদের উদ্দেশ্য শুধু ব্যবসা করা। হোটেল ব্যবসায়ীরা পর্যটকদের নিরাপত্তার ব্যাপারে তেমন সচেষ্ট নয়। প্রতিবছর বিশ্ব পর্যটন সংস্থা (ইউএনডব্লিউটিও) পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধিতে সর্বাধিক ধনী দেশের তালিকা তৈরি করে। বিশ্ব পর্যটন সংস্থার মতে ২০১৮ সালে ১০টি শীর্ষ পর্যটকদের দেশ হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইতালি, মেক্সিকো, যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, জার্মানি ও থাইল্যান্ড। অথচ বিশ্বের অন্যতম পর্যটনবান্ধব দেশ হয়েও সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার অভাবে বাংলাদেশ পর্যটন শিল্পে তলানিতেই পড়ে আছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) ‘ভ্রমণ ও পর্যটন প্রতিযোগী সক্ষমতা প্রতিবেদন-২০১৭’ অনুযায়ী ১৩৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৫তম। ১৯৫০ সালে পৃথিবীতে পর্যটকের সংখ্যা ছিল ২৫ মিলিয়ন, ২০১৬ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ হাজার ২৩৫ মিলিয়নে। ধারণা করা হচ্ছে, এ বছর প্রায় ১৩৯ কোটি ৫৬ লাখ ৬০ হাজার পর্যটক সারাবিশ্বে ভ্রমণ করবেন। অর্থাৎ বিগত ৬৭ বছরের পর্যটক সংখ্যা প্রায় ৫০ গুণ বেড়েছে। পর্যটকের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অর্থনৈতিক কর্মকা-ের পরিধি ব্যাপকতা লাভ করেছে। বাংলাদেশ সরকার পর্যটন শিল্পের বিকাশ ও উন্নয়নকে গতিশীল করতে বহুবিধ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩ হাজার ৬৩৪ কোটি টাকা। করোনাপরবর্তী দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকার ৫০০০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। সম্প্রতি সরকার পর্যটন শিল্পের ব্যাপক উন্নয়ন ও বিকাশের পাশাপাশী দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আকর্ষণের লক্ষ্যে একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড। আগামী ১৮ মাসের মধ্যে এটি সম্পন্ন হবে। মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াঈ পরিকল্পনা অনুযায়ী পর্যটন উন্নয়ন কাজ পরিচালিত হবে। ২০১৬-২০২১ সালকে পর্যটন বর্ষ হিসেবে উদ্যাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে ২০১৫-২০১৮ তিন অর্থবছরে আনুমানিক ২০০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এর মাধ্যমে পর্যটন শিল্পের বিদ্যমান ও সম্ভাব্য স্থানগুলোর পরিকল্পিত উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে পর্যটন শিল্পের সর্বোচ্চ বিকাশে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। পুরো দেশকে আটটি পর্যটন জোনে ভাগ করে প্রতিটি স্তরে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রথমবারের মতো সরকারী-বেসরকারী যৌথ বিনিয়োগের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে কক্সবাজারে পর্যটন অবকাঠামো নির্মাণে ২৫টি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এগুলোতে প্রায় প্রত্যক্ষভাবে বিনিয়োগ হবে ৩৭ হাজার কোটি টাকা। পরোক্ষভাবে বিনিয়োগ হবে ১ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। এছাড়াও সরকারের প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে : কক্সবাজার বিমান বন্দর উন্নয়ন, আধুনিক হোটেল-মোটেল নির্মাণ, মহেশখালীতে বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ, সোনাদিয়াকে বিশেষ পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা, ইনানি সৈকতের উন্নয়ন, টেকনাফের সাবরাং ইকো ট্যুরিজম পার্ক নির্মাণ, শ্যামলাপুর সৈকতের উন্নয়ন, ঝিলংঝা সৈকতের উন্নয়ন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ, কুতুবদিয়ায় বায়ুবিদ্যুত প্রকল্পের সম্প্রসারণ, চকোরিয়ায় মিনি সুন্দরবনে পর্যটকদের গমনের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, ডুলাহাজরা সাফারি পার্কের আধুনিকীকরণ ইত্যাদি। এছাড়া আরও চারটি নতুন প্রকল্প নিতে যাচ্ছে সরকার। এসব বাস্তবায়িত হলে আগামীতে দেশের পর্যটন খাত আরও চাঙ্গা হবে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী খাতও পিপিপির মাধ্যমে বিনিয়োগ করা হবে। এর মধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কক্সবাজারে যাতায়াত করার জন্য রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। পর্যটন শিল্প বিকাশে অবারিত সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশে। বিদেশী পর্যটক নির্ভরতা ছাড়াও দেশের পর্যটক নিরাপত্তা, যোগাযোগের সুবিধা, আকর্ষণীয় অফার থাকলে দেশের মানুষ আগ্রহ নিয়ে দেশ ঘুরে দেখতে চাইবে। এক হিসেবে বলা হয়, ১৬ কোটির বেশি মানুষ গড়ে প্রতিবছর ১০ ভাগও যদি দেশ ঘুরে দেখে, তাহলে বিশাল অঙ্কের অর্থনৈতিক তৎপরতার সৃষ্টি হবে। দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন করেছে পর্যটন শিল্প বিকাশের ফলে। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৭ সাল গত আট বছরে ৬৬৯৯.১৬ কোটি টাকা পর্যটন শিল্পের মাধ্যমে আয় হয়েছে। বিভিন্ন উৎসবকালীন মানুষের ঘুরে বেড়ানো যে প্রবণতা তা এই অর্থনৈতিক বিকাশকে আরও বাড়িয়ে দেবে। বিশ্ব পর্যটন সংস্থার পক্ষ অনুযায়ী সমগ্র বিশ্বে ২০২০ সাল নাগাদ পর্যটন থেকে প্রতিবছর ২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় হবে। ২০৫০ সাল নাগাদ ৫১টি দেশের পর্যটক আমাদের দেশে আসবে। বাংলাদেশের জিডিপির ১০ শতাংশ পর্যটন খাত থেকে আয় করা সম্ভব। বাংলাদেশের সৌন্দর্যে যুগে যুগে বহু পরিব্রাজক ও ভ্রমণকারী মুগ্ধ হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই এই সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন সম্ভাবনা অপরিসীম। আমাদের রয়েছে সুবিশাল সমুদ্র সৈকত, পাহাড়, জলপ্রপাত, প্রতœতত্ত্বের প্রাচুর্য, ঐতিহাসিক নিদর্শনসহ নানান ধরনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যম-িত স্থান, যা পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সমৃদ্ধ ইতিহাস, বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতি আমাদের দেশকে পরিণত করেছে একটি বহুমাত্রিক আকর্ষণ সমৃদ্ধ অনন্য পর্যটন গন্তব্যে, বাংলাদেশকে গড়ে তুলছে পর্যটকদের জন্য তীর্থস্থান হিসেবে। সময় উপযোগী ও পরিকল্পনামাফিক পদক্ষেপ গ্রহণের পরিপ্রেক্ষিতে এসব পর্যটন স্পট যদি পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় করে গড়ে তোলা যায়, তাহলে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প নব দিগন্তের সূচনা হবে। তবে পর্যটন বলতে শুধু ঘোরাফেরার ধারণা পরিবর্তন করে একে বহুমুখী করার প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে। পর্যটনের বহু শাখা-প্রশাখার মধ্যে বিনোদন পর্যটন, শ্রান্তি বিনোদন পর্যটন, সাংস্কৃতিক পর্যটন, ইভেন্ট পর্যটন, সাংস্কৃতিকভিত্তিক পর্যটন, ক্রীয়া পর্যটন, নৌ পর্যটন, হাওড় পর্যটন, ধর্মভিত্তিক পর্যটন শিল্পের গুরুত্ব দিতে হবে। এত সম্ভাবনা থাকার পরেও আমরা পর্যটক আকৃষ্ট করার মতো কোন পন্থা এখনও নির্ধারণ করে উঠতে পারছি না। আমরা একটু সচেতন হলেই নিজেদের পর্যটন শিল্পের সব ক্ষমতা বাড়িয়ে বিপুল সংখ্যক বিদেশী দর্শনার্থীকে নিজের দেশে আনতে পারি, আধুনিক জীবনের চাওয়া মাথায় রেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে আমাদের পর্যটন শিল্পের বিকাশ সাধনে সচেষ্ট হতে পারি। লেখক : ট্রেজারার, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
×