ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রাহিমা আক্তার রিয়া

টনক নড়ুক

প্রকাশিত: ২০:৫৫, ১২ মে ২০২২

টনক নড়ুক

আমাদের চারপাশে নানাভাবে প্রতিনিয়ত পরিবেশ দূষণ ঘটছে, এ যেনো নিত্যনৈমিত্তিক কোনো সাধারণ ঘটনা। অথচ, পরিবেশ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব যে মোটেও সাধারণ নয়, তা আমরা খুব ভালো করেই জানি। তবুও পরিবেশ দূষণ নিয়ে আমাদের অবহেলার শেষ নেই। অবহেলা, অজ্ঞতা আর অনাচারে জর্জরিত হয়ে আমাদের পরিবেশ আজ হুমকির মুখে, বসবাসের অনুপযোগী বললেও ভুল হবে না। শব্দ দূষণ, বায়ু দূষণ, পানি দূষণ, মাটি দূষণ যেনো একে অপরের সাথে প্রতিযোগিতা দিয়ে বাড়ছে তবুও মানব জাতির টনক নড়ছে না। পরিবেশ দূষণের কু-প্রভাবে মানুষ, পশু-পাখি, গাছ-পালা ইত্যাদি প্রকৃতির সাথে জড়িত প্রতিটি জীব ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বায়ু দূষণের ফলে মানুষের হৃদরোগ, ফুসফুস বা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা প্রকট মাত্রায় বেড়েছে। পানি দূষণের ফলে পানিবাহিত রোগ যেমন: ডায়রিয়া, কলেরা, টাইফয়েড, জন্ডিস, কিডনি সমস্যা ইত্যাদি অস্বাভাবিক মাত্রায় বাড়ছে। বর্তমানে, পরিবেশ দূষণ হতে সৃষ্ট মশার উপদ্রব জনজীবনকে করে তুলেছে অতিষ্ঠ। ফলস্বরূপ, সুস্থভাবে জীবন-যাপন করতে পারাটা যেনো এখন রূপকথার গল্পের মত। বরং অসুস্থ পরিবেশে বসবাস করে নানাবিধ অসুস্থতার শিকার হয়ে ধুকে ধুকে মৃত্যুর পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্যই বোধ হয় আমরা তৈরি। নতুবা পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ করতে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ঘাটতি থাকা ছিলো অসম্ভব। জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখা এখন সময়ের দাবি। এজন্য চাই, সর্বস্তরের মানুষের সচেতনতা এবং সহযোগী মনোভাব। যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা, পলিথিন ও প্লাস্টিকের সহজলভ্য ব্যবহার, পানিতে বর্জ্য ফেলা, উচ্চ মাত্রায় হর্ণ বাজানো, ধুমপান করা ইত্যাদি পরিবেশ দূষণের সাথে সম্পর্কিত যাবতীয় কারণসমূহকে চিহ্নিত করে প্রতিরোধ ও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিতে জনসাধারণ এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ডেমরা, ঢাকা থেকে
×