ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

খবির উদ্দিন মোল্লা

বিষে ভরা বায়ু

প্রকাশিত: ২০:৫৩, ১২ মে ২০২২

বিষে ভরা বায়ু

পরিবেশ সৃষ্টিকর্তার মহান নিয়ামক, যা রক্ষা করার দায়িত্ব মানুষের। আর এই পরিবেশ নষ্ট করছি আমরা মানুষরাই। আমাদের দেশে যেভাবে পরিবেশ নষ্ট বা দূষিত হচ্ছে তা প্রধানত চারটি কারণে। প্রথমত, আমাদের বেঁচে থাকার যে প্রধান উপাদান তাহলো বাতাস। এই বাতাস আমরা মুক্তভাবে নেয়ার জন্য হা-হুতাশ করে বেড়াচ্ছি। কারণ সমকালীন বিশ্বে বাংলাদেশ এক সময়ে ছিল সবচেয়ে মুক্ত হাওয়ার দেশ। সুজলা-সুফলা সবুজ বাংলাদেশ। এখন তা হচ্ছে সিসেভরা, বিষেভরা, কার্বন ডাই অক্সাইডযুক্ত একটি দেশ। যথোপযুক্তভাবে বৃক্ষ রোপণের পরিবর্তে নির্বিচারে বৃক্ষ কর্তন করে আমরা আজ এ অবস্থা সৃষ্টি করেছি। নিকট অতীতেও আমাদের এ অবস্থা ছিল না। অচিরেই আমাদের সেই অবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। ফিরিয়ে আনতে হবে সেই সবুজ অরণ্য। যত্রতত্র ইটভাঁটি, অপরিকল্পিতভাবে কলকারখানা স্থাপন ক্রমান্বয়ে বাতাসকে ভারি করে তুলছে। এসব থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য সরকারসহ জনগণের ব্যাপক পরিবেশ সচেতন হওয়া উচিত। দ্বিতীয়ত, পানি দূষণ। এই পানি দূষণ হলো জীবের অস্তিত্ব রক্ষার হুমকিস্বরূপ। আমাদের দেশের নদী-নালা, হাওড়-বাঁওড় থেকে শুরু করে খাল-বিল, পুকুর সবই প্রায় দূষিত। এককালের স্রোতস্বিনী নদী-নালা হারিয়ে যাওয়ায় গ্রামেও এখন আর আগের মতো সুপেয় জলধারা প্রবাহিত হচ্ছে না। অনেককেই তাই দূষিত পানি খেয়েই দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। ফলে গ্রামেও আমাশয়-ডায়রিয়ার মতো রোগের প্রাদর্ভুাব ঘটছে। তৃতীয়ত, মাটি দূষণ। নির্বিচারে সার, কীটনাশক ওষুধ ছিটিয়ে আমরা আমাদের উর্বর মাটিকে উষর করছি। পাহাড় কেটে, গাছপালা কেটে বনভূমির মাটির ক্ষয়িষ্ণু অবস্থা তৈরি করে ভারসাম্যহীন একটা ভূচিত্রের বাংলাদেশে রূপান্তরিত করছি। আমাদের দেশের পার্বত্য অঞ্চল এবং নদী বিধৌত অঞ্চলের জনপদের মানুষদের রক্ষা করার স্বার্থে আমি সদাশয় সরকারের আরও দৃষ্টি নিবদ্ধ করার জন্য সবিনয় অনুরোধ করছি। চতুর্থত, শব্দদূষণ। ছোট-বড় ভারি যানবাহন গ্রামকে শহরে পরিণত করার অশুভ মানসিকতা এবং উগ্র প্রতিযোগিতা পরিহার করে এ সমস্যাকে আমরা প্রতিরোধ করতে পারি। গোয়ালন্দ, রাজবাড়ী থেকে
×