ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সুইয়াটেকের নতুন চ্যালেঞ্জ

প্রকাশিত: ০০:০৮, ১১ মে ২০২২

সুইয়াটেকের নতুন চ্যালেঞ্জ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মেয়েদের টেনিসে এখন এককভাবে রাজত্ব করছেন ইগা সুইয়াটেক। এ্যাশলে বার্টি হঠাৎ করে অবসরে চলে গেলে বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানটা দখল করে নেন পোল্যান্ডের এই তরুণী। এরপর থেকে টেনিস কোটে পারফর্মেন্সও করছেন দোর্র্দ-প্রতাপে। চলতি মৌসুমটাকে যেন একেবারেই নিজের করে নিয়েছেন তিনি। ২০২২ সালে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে গড়েছেন টানা চার শিরোপা জয়ের অবিস্মরণীয় কীর্তি। চলতি মাসের ২২ মে থেকে শুরু হবে ফ্রেঞ্চ ওপেন। ২০২০ সালে যেখানে ক্যারিয়ারের প্রথম মেজর শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন তিনি। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সুইয়াটেকের সামনে এখন মৌসুমের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডস্লাম পুনরুদ্ধারের চ্যালেঞ্জ। দুই বছর আগে রোঁলা গ্যারোর শিরোপা জিতেই বাজিমাত করেছিলেন ইগা সুইয়াটেক। পোল্যান্ডের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এককে গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের বিস্ময়কর কীর্তি গড়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়? ২০১৫ সালের পর সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে ফরাসী ওপেনের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ডও তার দখলে। তবে চলতি বছরের শুরুতে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারছিলেন না সুইয়াটেক। এ্যাডিলেড, সিডনি, অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পর দুবাই চ্যাম্পিয়নশিপেও নিষ্প্রভ ছিলেন ২০ বছরের এই তরুণী। তারপরও হাল ছাড়েননি তিনি। নিজের সেরাটা ঢেলে দিয়েই টেনিস কোটে লড়াই চালিয়ে যান সুইয়াটেক। চলতি মৌসুমে তার প্রথম সাফল্য আসে কাতার ওপেনে। দাপুটে পারফর্মেন্স উপহার দিয়েই কাতার ওপেনের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করলেন ইগা সুইয়াটেক। এস্তোনিয়ার এ্যানেট কোন্টাভেইটকে হারিয়ে নতুন বছরের প্রথম শিরোপা জয়ের স্বাদ পান তিনি। কাতার ওপেনের পর ইন্ডিয়ান ওয়েলস এবং মিয়ামি ওপেনের শিরোপাও নিজের শোকেসে তুলে নেন তিনি। টানা তৃতীয় শিরোপা জয়ের পর বিলি জিন কিং কাপে কোটে নেমেছিলেন বর্তমান বিশ্ব টেনিসের এই শীর্ষ তারকা। সেখানেও দারুণ পারফর্ম করে তার দেশকে পরবর্তী রাউন্ডের টিকেট নিশ্চিত করে স্টুটগার্ট ওপেনের কোটে নামেন। এখানেও দাপুটে পারফর্মেন্স উপহার দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন ইগা। ফাইনালে তিনি ৬-২ এবং ৬-২ ব্যবধানে পরাজিত করেন এরিনা সাবালেঙ্কাকে। সেইসঙ্গে টানা ২৩ ম্যাচে জয়ের কীর্তি গড়েন বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের নাম্বার ওয়ান তারকা। শুধু তাই নয়? টানা চতুর্থ শিরোপা জয়ের নজিরও গড়েন পোলিশ তারকা। এরপরই কাঁধের ইনজুরিতে পড়েন সুইয়াটেক। যে কারণে মাদ্রিদ ওপেনে খেলেননি তিনি। তার অনুপস্থিতিতে মাদ্রিদে বাজিমাত করেন উনস জেবিয়ার। তিউনিসিয়ার এই তারকা ৭-৫, ০-৬ এবং ৬-২ ব্যবধানে পরাজিত করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জেসিকা পেগুলাকে। আর তাতেই ইতিহাসের সোনালি পাতায় জায়গা করে নেন তিনি। ক্যারিয়ারের প্রথম ডব্লিউটিএ ১০০০ পর্যায়ের শিরোপা জয়ের অবিস্মরণীয় কীর্তি গড়েন জেবিয়ার। শুধু তাই নয়, তিউনিসিয়ার তো বটেই আরব এবং আফ্রিকার ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ১০০০ পর্যায়ের শিরোপা জয়ের স্বাদ পান ২৭ বছর বয়সী এই তারকা।
×