ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সাংবাদিক গীতিকার কে জি মোস্তফা আর নেই

প্রকাশিত: ০০:৪০, ৯ মে ২০২২

সাংবাদিক গীতিকার কে জি মোস্তফা আর নেই

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ‘তোমারে লেগেছে এতো যে ভালো চাঁদ বুঝি তা জানে’, ‘আয়নাতে ওই মুখ দেখবে যখন’...বাংলা সিনেমার অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গীতিকার এবং সাংবাদিক ও কলামিস্ট কে জি মোস্তফা রবিবার রাতে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। কে জি মোস্তফা রাত ৮টার দিকে নিজ বাসায় অসুস্থ বোধ করলে তাকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর বাংলানিউজের। কে জি মোস্তফা জাতীয় প্রেসক্লাবের জ্যেষ্ঠ সদস্য। গীতিকার হিসেবেই তিনি বেশি পরিচিত। তিনি ১৯৩৭ সালের ১ জুলাই নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন তিনি। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সোমবার বাদ জোহর কে জি মোস্তফার মরদেহ জাতীয় প্রেসক্লাবে নেয়া হবে। সেখানে জানাজা শেষে তার লাশ দাফন করা হবে। দৈনিক ইত্তেহাদে ১৯৫৮ সালে শিক্ষানবিশ হিসেবে সাংবাদিকতায় তার হাতেখড়ি। ওই বছরই ‘দৈনিক মজলুম’-এ সহ-সম্পাদক হন এবং পত্রিকাটির বিলুপ্তির আগে পর্যন্ত বহাল ছিলেন। এরপর দীর্ঘ বিরতি। ১৯৬৮ সালে সাপ্তাহিক জনতায় সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন কে জি মোস্তফা। দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তিনি সাংবাদিক হিসেবে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকে কে জি মোস্তফার কবিতা দেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৬০ সাল থেকে চলচ্চিত্র, রেডিও এবং টেলিভিশনে তার লেখা প্রচুর গান প্রচারিত হয়। হাজার গানের গীতিকার কে জি মোস্তফার সিনেমার গানগুলো খুবই জনপ্রিয়। তার গানে উপমহাদেশের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী তালাত মাহমুদ এবং বাংলাদেশের খ্যাতিমান প্রায় সব শিল্পী কণ্ঠ দিয়েছেন। বেশ কিছু সিনেমার সহকারী পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। রয়েছে বেশকিছু কাব্যগ্রন্থ, ছড়ার বই, গানের বই, গদ্যগ্রন্থ, গানের সিডি, ক্যাসেটও। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সঙ্গীত বিভাগ কর্তৃক পদক ‘দেশবরেণ্য গীতিকার’ পদকসহ আরও বহু পদকে ভূষিত হয়েছেন তিনি।
×