ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ত্বক ও মুখের রোগ পেমফিগাস ভালগারিস

প্রকাশিত: ০০:৩৯, ১৯ এপ্রিল ২০২২

ত্বক ও মুখের রোগ পেমফিগাস ভালগারিস

পেমফিগাস শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ পেমফিক্স থেকে যা বলতে বুঝায় বাবল বা ব্লিস্টার। পেমফিগাস ভালগারিস একটি অটোইমমিউন রোগ যার কারণে চর্মে এবং মিউকাস মেমব্রেন এ ব্লিস্টার ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। যদিও কম দেখা যায় কিন্তু পেমফিগাস ভালগারিস একটি মারাত্মক ধরনের চর্মরোগ। পেমফিগাস ভালগারিস ত্বকের ওপর ব্যথাযুক্ত ব্লিস্টার সৃষ্টি করে থাকে। ত্বক ছাড়াও মুখের অভ্যন্তরে, নাক, গলাতে ব্লিস্টার হতে পারে। পেমফিগাস ভালগারিস রোগটি পুরুষদের চেয়ে মহিলাদের বেশি হয়ে থাকে। মুখে যখন পেমফিগাস ভালগারিস হয়ে থাকে তা রোগীর জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক হয়ে থাকে। রোগীর খাদ্যদ্রব্য গ্রহণে ভীষণ অসুবিধা হয়ে থাকে। পেমফিগাস ভালগারিসের জটিলতা : কোন কোন সময় পেমফিগাস ভালগারিসের ব্লিস্টারগুলোর সংক্রমণ হয়ে থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংক্রমণ খুব দ্রুত রক্তে বিস্তৃতি লাভ করে যা সেপসিস নামে পরিচিত। সংক্রমণ রক্তে ছড়িয়ে পড়লে তা সারা শরীর আক্রান্ত করতে পারে যা জীবনের প্রতি হুমকিস্বরূপ হতে পারে। পেমফিগাস ভালগারিস একটি অটোইমমিউন অবস্থা অর্থাৎ এ অবস্থায় শরীরের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে না এবং এ রোগ স্বাস্থ্যবান কোষকে আক্রমণ করতে শুরু“করে। এ কারণে মুখে পেমফিগাস ভালগারিস হলে একটি স্থান থেকে অন্য স্থান আক্রান্ত হয়ে থাকে। ফলে রোগী চরম অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে দিন অতিবাহিত করে। চিকিৎসা : পেমফিগাস ভালগারিসের চিকিৎসা করা হয় কর্টিকোস্টেরয়েড এবং এ্যাজাথিওপ্রিন দ্বারা। মুখে খাওয়ার স্টেরয়েড বিশেষ করে প্রেডনিসোলন বেশি ডোজে প্রদান করা হয়। স্টেরয়েডের ডোজের মাত্রা কমানো বা বাড়ানো লাগতে পারে মুখের অবস্থার প্রেক্ষাপটে। পেমফিগাস ভালগারিসের চিকিৎসা সবসময় একজন ডাক্তারের নিবিড় তত্ত্বাবধানে থাকতে হয়। ডাঃ মোঃ ফারুক হোসেন মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
×