ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা

একগুচ্ছ প্রস্তাবে চাঙ্গাভাব

প্রকাশিত: ২১:৩৫, ১৩ মার্চ ২০২২

একগুচ্ছ প্রস্তাবে চাঙ্গাভাব

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ যুদ্ধের দামামায় অল্প দামে শেয়ার কেনার অপচেষ্টা ঠেকাতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) উদ্যোগে পতন থেকে রক্ষা পেয়েছে শেয়ারবাজার। বিনিয়োগকারীদের মূলধন রক্ষায় বিএসইসি সর্বশেষ সব ধরনের কোম্পানির দর সর্বোচ্চ ২ শতাংশ নামতে পারে এমন নির্দেশনা জারি করে। একইসঙ্গে স্থিতিশীলতা তহবিল থেকে তাৎক্ষণিক ১০০ কোটি টাকার শেয়ার কেনার আদেশ দেয়া হয়। এছাড়া তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর প্রতিনিধিদের সীমার ভেতরে থেকে বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়। মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর ম্যানেজারদের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করেন বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামুসউদ্দিন আহমেদ। মূলত গত সপ্তাহে বিএসইসির একগুচ্ছ প্রস্তাবের কারণেই শেয়ারবাজারে সূচক বাড়তে শুরু করেছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শুরুতে শেয়ার বিক্রির চাপে সূচক কমলেও নানা উদ্যোগের কারণে সূচক শেষ তিনদিন বেড়েছে। তবে আগের পতনের কারণে বাজার মূলধন কমেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন তিন হাজার কোটি টাকার ওপরে কমে গেছে। এর মাধ্যমে টানা চার সপ্তাহের পতনে ৩১ হাজার কোটি টাকার ওপরে বাজার মূলধন হারিয়েছে ডিএসই। সেই সঙ্গে কমেছে সবকটি মূল্য সূচক। তবে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ১০৬ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল পাঁচ লাখ ৩৮ হাজার ৪২৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ গেল সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে তিন হাজার ৩২১ কোটি টাকা। আগের তিন সপ্তাহে বাজার মূলধন কমে ২৮ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা। এতে চার সপ্তাহের টানা পতনে ডিএসইর বাজার মূলধন কমল ৩১ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা। বাজার মূলধন কমলেও গত সপ্তাহে ডিএসইতে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ২০৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৬টির। আর ২৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২৮ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৪২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ১৪২ দশমিক ৯২ পয়েন্ট বা ২ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে কমে ১৫১ দশমিক ৯২ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ১৭ শতাংশ ও তার আগের সপ্তাহে কমে ৯৪ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ। প্রধান মূল্য সূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহে কমেছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক। গত সপ্তাহজুড়ে এই সূচকটি কমেছে ৩৭ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৫২ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট বা ২ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে কমে ৫৮ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং তার আগের সপ্তাহে কমে ২৩ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৯১ শতাংশ। প্রধান মূল্য সূচক ও ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত বাছাই করা সূচকের পাশাপাশি টানা চার সপ্তাহ কমেছে ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক। গত সপ্তাহে এই সূচকটি কমেছে ৬ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৩৩ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ২৯ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে কমে ৩২ দশমিক ৪২ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং তার আগের সপ্তাহে কমে ৯ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৬২ শতাংশ।
×