ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পদ্মা সেতুতে গ্যাস লাইন স্থাপন সম্পন্ন

প্রকাশিত: ২৩:১৩, ৯ মার্চ ২০২২

পদ্মা সেতুতে গ্যাস লাইন স্থাপন সম্পন্ন

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ পদ্মা সেতুতে গ্যাস লাইন স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। এখন গ্যাস লাইনের জয়েন্টগুলোতে চলছে রঙের কাজ। পাশাপাশি হাইড্রোলিক পরীক্ষার প্রিপারেশন নেয়া হচ্ছে। দায়িত্বশীল প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, আগামী ১৫ মার্চের দিকে পানি দিয়ে গ্যাসপাইপ লাইনের হাড্রোলিক পরীক্ষার কথা রয়েছে। এই পরীক্ষা সফল হওয়ার পর এপ্রিলে গ্যাস ব্যবহারে এই পাইপলাইনের পরীক্ষা হবে। মূল সেতুজুড়ে গ্যাস লাইন বসানের পর সেতুর জাজিরা প্রান্তে ৪২ নম্বর খুঁটি এবং মাওয়া প্রান্তের এক নম্বর খুঁটি দিয়ে লাইন নিচে নামিয়ে আনা হয়। এর মধ্য দিয়ে গ্যাসপাইপ স্থাপন সম্পন্ন হলো। তবে এখন এটি ফিনিশিংসহ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পালা। সেতুর দুই প্রান্তেই গ্যাসের দুটি সাবস্টেশন স্থাপন হবে। তবে জিটিসিএল পরবর্তীতে এই স্টেশন স্থাপন করবে। সেতুটি আগামী ২৩ জুন খুলে দেয়ার কথা রয়েছে। এর আগেই গ্যাস লাইনের কাজ সম্পন্ন করে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞাবান সিদ্ধান্তে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন ছাড়াও দেশে অর্থনীতির চাকা আরও সরব হতে যাচ্ছে। পদ্মা সেতু দিয়েই গ্যাস যাবে দক্ষিণাঞ্চলের কোটি কোটি মানুষের কাছে। ১২ মিটার লম্বা ৫৩১টি গ্যাসপাইপ স্থাপন করা হয়েছে। পদ্মা সেতু প্রাকৃতিক গ্যাস লাইন প্রকল্পের কোয়ালিটি কন্ট্রোল ইঞ্জিনিয়ার জানান, সাতটি মডিউলে ভাগ করে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতুতে ৬ দশমিক ৭০ কিলোমিটার গ্যাসপাইপ বসছে। যুক্ত হবে জিটিসিএলের সাবস্টেশনে। গ্যাস ট্রান্সমিশন কো¤পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) গৌতম ঘোষ জানান, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ হয়ে লাঙ্গলবন্দ ব্রাঞ্চ স্টেশন থেকে মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর হয়ে এই গ্যাস যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে মাওয়া গ্যাস সাবস্টেশনে। পদ্মা সেতুতে গ্যাস লাইন স্থাপনের পর পরীক্ষা করানোর প্রস্তুতি চলছে। পদ্মা সেতু প্রাকৃতিক গ্যাস লাইন প্রকল্পের প্রকল্প প্রকৌশলী তানভীর হাসান বলেন, আগামী জুনের আগেই সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে গ্যাস লাইনটি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পদ্মা সেতু প্রাকৃতিক গ্যাস লাইন প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প পরিচালক বলেন, পদ্মা সেতুর গ্যাস সংযোগ নিশ্চিত করার জন্য ৭৬২ মিলিমিটার ডায়া এবং ২৫ দশমিক ৪০ মিলিমিটার ওয়াল থিকনেসের এই গ্যাসপাইপ লাইন স্থাপন করা হয়। পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের দায়িত্বশীল এক প্রকৌশলী জানান, জিটিসিএল ও সেতু কর্তৃপক্ষ এবং মূল সেতুর ঠিকদার চায়না মেজর ব্রিজ কো¤পানি লিমিটেডের সঙ্গে সমন্বয় করে গ্যাসপাইপ লাইন ঠিকাদার পাইপ স্থাপন করার পর এখন পরীক্ষার কাজ করছে। চায়না পেট্রোলিয়াম পাইপ লাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কো¤পানি লিমিটেড প্রায় ১৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে এই পাইপ লাইন স্থাপন কাজটি করছে। পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শফিুল ইসলাম জানিয়েছেন, গ্যাস লাইনের সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পর এটি জুনের প্রথম দিকে হস্তান্তরের সম্ভবনা রয়েছে। এর পরই পাথরবিহীন রেললাইন বসানোর জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করা হবে।
×