ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

২১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করবে স্বাস্থ্য অধিদফতর

১৫ হাসপাতালে চালু হচ্ছে পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

প্রকাশিত: ২৩:৫১, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২

১৫ হাসপাতালে চালু হচ্ছে পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ আন্তর্জাতিকভাবে নির্ধারিত আদর্শ মান বজায় রেখে পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চালু করবে দেশের ১৫টি সরকারী হাসপাতাল। এ লক্ষ্যে ‘হাসপাতালভিত্তিক চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। ২১৪ কোটি ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা ব্যয়ে এটি বাস্তবায়ন করবে স্বাস্থ্য অধিদফতর। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ১৫টি হাসপাতাল হলো রাজধানীর শেরে বাংলা নগরস্থ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতাল, বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতাল, লক্ষ্মীপুর জেলা সদর হাসপাতাল, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল, বাগেরহাট সদর হাসপাতাল, লালমনিরহাট জেলা সদর হাসপাতাল, জয়পুরহাট আধুনিক সদর হাসপাতাল, সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, পঞ্চগড় সদর হাসপাতাল, পিরোজপুর সদর হাসপাতাল ও শেরপুর সদর হাসপাতাল। সূত্র জানিয়েছে, ‘হাসপাতালভিত্তিক চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা’ প্রকল্প কার্যক্রমের আওতায় ৪৫টি চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ক্রয় এবং ১৫টি এ, বি, সি ক্যাটাগরিভুক্ত অনাবাসিক ভবন বা স্থাপনা নির্মাণ করা হবে। সব মিলিয়ে এসব স্থাপনার মোট আয়তন দাঁড়াবে ৪১ হাজার ৮০৩ বর্গমিটার। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক পরামর্শক সেবাসহ যানবাহন ভাড়া ও আউটসোর্সিং সেবা নেয়ার পাশাপাশি আসবাবপত্র, কম্পিউটার ও অফিস সরঞ্জাম কেনা হবে। পরিকল্পনা কমিশন জানিয়েছে, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীতে (এডিপি) বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল ‘হাসপাতালভিত্তিক চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা’। গত ২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেক সভায় অনুমোদন করা হয়েছে এটি। কমিশন আরও জানিয়েছে, সরকারের ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সরকারী হাসপাতালগুলোর বর্জ্যরে যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে এগুলোর পরিশোধন, পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ, পরিবহন ও ভাগাড়ীকরণের ক্ষেত্রে একটি যথোপযুক্ত, নিরাপদ ও ব্যয় সাশ্রয়ী কৌশলের বিকাশ ঘটানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। ফলে এই প্রকল্পটি সঙ্গতিপূর্ণ। একনেকে উপস্থাপনের আগে পরিকল্পনা কমিশনের মতামতে বলা হয়েছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর কোন বিরূপ প্রভাব ছাড়াই বিভিন্ন চিকিৎসা বর্জ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ, পরিবহন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও অপসারণের সক্ষমতা তৈরি হবে এবং সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও সংক্রমণমুক্ত পরিবেশে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা যাবে। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বাস্তবায়িত হবে এটি। এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম জানিয়েছেন, দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার অংশ এই প্রকল্প একনেকের অনুমোদন পেয়েছে। তার আশা, এটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের পরিবেশ ও মানুষের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় নতুন দিগন্ত সৃষ্টি হবে।
×