ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নীলফামারীর অরক্ষিত লেভেলক্রসিং গুলোতে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি বাড়ছে

প্রকাশিত: ১৪:৫৬, ২৯ জানুয়ারি ২০২২

নীলফামারীর অরক্ষিত লেভেলক্রসিং গুলোতে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি বাড়ছে

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ অরক্ষিত রেলের লেবেলক্রসিং পারাপারে অসতর্কতা ও অসচেতনতার কারণে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণহানি ঘটেই চলছে। একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে । অরক্ষিত লেভেলক্রসিংয়ে ছোট একটি সতর্কীকরণ নোটিশ টাঙিয়ে কর্তৃপক্ষ দায় সারে। ফলে অরক্ষিত লেভেলক্রসিংয়ে ঝরছে মানুষের তাজা প্রাণ। গত দেড় মাসের মধ্যে নীলফামারীতে প্রাণ হারালো ৮জন। আজ শনিবার খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নীলফামারী জেলার মধ্যে ৬৩ কিলোমিটার রেলপথ রয়েছে। এই রেলপথে ৩৩টি লেভেলক্রসিং রয়েছে। গেটম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে মাত্র ২১টিতে। বাকি ১২টি অরক্ষিত ও তিনটি অবৈধ ক্রসিং। এসব রেলক্রসিং পারারাপারে ২০২১ সালে অকালে প্রাণ হারিয়েছে ৫০ জন। তারপরও বোধোদয় হয়নি রেল কর্তৃপক্ষের। সর্বশেষ গত বুধবার (২৬ জানুয়ারী) সকাল ৭টার দিকে দারোয়ানীতে লেভেলক্রসিংয়ে সীমান্তে এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে উত্তরা ইপিজেডের চার নারী শ্রমিক নিহত হয়। এ সময় গুরুতর আহত হয় অটোরিকশার চালকসহ আরও পাঁচ শ্রমিক। নিহত চার পরিবারের মধ্যে শেফালির দুটি সন্তান, রোমানা বেগমের তিন মেয়ে, মিনারার এক ছেলে এবং সায়েরার দুটি সন্তান রয়েছে। পরিবারের সচ্ছলতার জন্য স্বামীর রোজগারের পাশাপাশি ইপিজেডে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন নিহত নারীরা। রেলওয়ে সূত্র জানায়, অরক্ষিত লেভেলক্রসিংয়ে মানুষের প্রাণহানি নিয়ে রেলের দায়বদ্ধতা নেই। কারণ যানবাহন চলাচলে রেললাইন যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য যানবাহন ও মানুষ পারাপারের জন্য রেল কর্তৃপক্ষ একটি সতর্কবাণী সংবলিত সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে। অরক্ষিত লেভেলক্রসিংয়ের বেশির ভাগ সড়ক বিভাগ ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের অধীনে। কিন্তু লেভেলক্রসিংয়ের নিরাপত্তা রক্ষায় তাদের উদ্যোগ নেই। সৈয়দপুর রেলওয়ে পুলিশ সুপার সিদ্দিকী তানজিলুর রহমান বলেন, মানুষকে সচেতন হতে হবে আর যেখানে সেখানে রাস্তা বানানো বন্ধ করতে হবে। স্থানীয় সরকার এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় দায়িত্ব নিলে রেলপথের নিরাপত্তা অনেকটাই নিশ্চিত করা সম্ভব। এসব ক্রসিংয়ে নেই নিরাপত্তাকর্মী ও সংকেত বাতি। অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে কোনো কোনো সময় ট্রেন হুইসেল না দিয়েই চলে যায়। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যায় ওই এলাকায়। এতে সুনাম নষ্ট হচ্ছে রেল বিভাগের।
×