রাবি সংবাদদাতা ॥ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় প্রতিদিনই সত্তর শতাংশের বেশি সংক্রমিত হচ্ছে। তবে সংক্রমণের উচ্চহার সত্ত্বেও আক্রান্তদের মধ্যে স্বাস্থ্যগত জটিলতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির হয়নি। প্রাথমিক চিকিৎসায় সুস্থ হচ্ছেন সবাই। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগই করোনা ভাইরাসের টিকা নেয়ায় এই সুফল পাওয়া যাচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করলেও স্বাস্থ্যবিধিও উপেক্ষিত হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রাবির চিকিৎসা কেন্দ্রে বিশেষ করোনা ইউনিট চালুর পাশাপাশি নমূনা পরীক্ষারও ব্যবস্থা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই কেন্দ্রে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৭ দিনে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মোট ৫২৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৩৭১ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। এতে সংক্রমণের হার দাঁড়ায় ৭০.৫%। তবে আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কেউই স্বাস্থ্যগত জটিলতা নিয়ে এই চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি হননি। এমনকি রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও ভর্তির খবর পাওয়া যায় নি। আবাসিক হলের আইসোলেশন ইউনিটগুলোতে সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন বলে জানা যায়।
এই ব্যাপারে রাবি চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসক ডা. তবিবুর রহমান বলেন, করোনার এই ভ্যারিয়েন্টটি পূর্বের ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম শক্তিশালী। এছাড়া বেশিরভাগের দেহে করোনা টিকা নিশ্চিত হয়েছে। ফলে নতুন এই ভ্যারিয়েন্টটি আক্রান্তদের ক্ষতিসাধন করতে পারছে না।
প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রণ সংক্রমণের কারণে সরকারি নির্দেশনা মেনে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সশরীরে ক্লাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আবাসিক হলগুলো খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর থেকে হুহু করে বাড়তে থাকে সংক্রমণের হার। সংক্রমণ বৃদ্ধির পাশাপাশি ক্যাম্পাসে স্বাস্থ্যবিধি মানতে কঠোরতা আনা হয়। তবে আক্রান্তদের মধ্যে স্বাস্থ্যগত জটিলতা সৃষ্টি না হওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী মনে বেশ স্বস্তি বিরাজ করছে। ফলে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টিও উপেক্ষিত হচ্ছে। এই বিষয়ে সকলকে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবস্থান করার নির্দেশনা অনুসরণের অনুরোধ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
