ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ করার ইচ্ছা রাশিয়ার নেই ॥ লাভরভ

প্রকাশিত: ২১:৪০, ২৮ জানুয়ারি ২০২২

ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ করার ইচ্ছা রাশিয়ার নেই ॥ লাভরভ

অনলাইন ডেস্ক ॥ রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেছেন, নিজের ভৌগলিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রশ্নে রাশিয়া কোনো ছাড় দিতে প্রস্তুত নয়, তবে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ করার ইচ্ছা রাশিয়ার নেই। শুক্রবার মস্কোতে এক সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেন ইস্যুতে তার দেশের অবস্থান তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে লাভরভ আরও বলেন, ‘মস্কো আশা করে- যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পাশ্চাত্য মিত্ররা রাশিয়ার প্রকৃত অবস্থান উপলব্ধি করতে সক্ষম হবেন।’ শুক্রবার হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা সংবাদিকদের জানিয়েছেন, আগের দিন বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে টেলিফোনে ফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিপেন্ট জো বাইডেন। এসময় জেলেনস্কিকে বাইডেন সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে বলে ‘সুনিশ্চিত’ বা ‘অতিস্পষ্ট সম্ভাবনা’ আছে। বাইডেনের ফোনালাপের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়ার অবস্থান তুলে ধরলেন লাভরভ। গত ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ইউক্রেন-রাশিয়া সীমান্তে প্রায় এক লাখ সেনা মোতায়েন করে রাশিয়া। মাসের শেষ দিকে অবশ্য সেনাদের ফিরিয়ে নেওয়া শুরু হয়, কিন্তু এখনও সেখানে ১০ হাজারের বেশি সেনা রয়েছে। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অঙ্গরাজ্য ও রাশিয়ার প্রতিবেশী রাষ্ট্র ইউক্রেন কয়েক বছর আগে ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করার পর থেকেই উত্তেজনা শুরু হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। সম্প্রতি ন্যাটো ইউক্রেনকে সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় আরও বেড়েছে এই উত্তেজনা। ১৯৪৯ সালে গঠিত হওয়া নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অ্যালায়েন্সকে (ন্যাটো) রাশিয়া বরাবরই পাশ্চাত্য শক্তিসমূহের আধিপত্য বিস্তারের হাতিয়ার হিসেবে মনে করে; এবং ঐতিহাসিকভাবেই বিশ্বের বৃহত্তম দেশ রাশিয়া পাশ্চাত্য আধিপিত্যবাদের বিরোধী। একসময়ের সোভিয়েত অঙ্গরাষ্ট্র ইউক্রেনের মোট জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ রুশ বংশোদ্ভুত। দেশটিতে রুশ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীও বেশ সক্রিয়। এই গোষ্ঠীর সশস্ত্র সহায়তায় ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দ্বীপের দখল নেয় রাশিয়া। রাশিয়ার ভৌগলিক নিরাপত্তা বিষয়ক উদ্বেগের আর একটি কারণ কৃষ্ণসাগর। এটি রাশিয়ার একমাত্র সামুদ্রিক জলপথ। এই সাগরের উপকূলবর্তী অপর দেশ ইউক্রেন যদি ন্যাটোর সদস্য হয়, সেক্ষেত্রে কৃষ্ণসাগর অঞ্চলে ন্যাটোর তৎপরতা স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে, যা কখনই রাশিয়ার কাম্য নয়।সূত্র: রয়টার্স।
×