ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চাঁবিপ্রবির জমি অধিগ্রহণে দুর্নীতি থাকলে তদন্ত হোক ॥ শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৩:৩৬, ২৮ জানুয়ারি ২০২২

চাঁবিপ্রবির জমি অধিগ্রহণে দুর্নীতি থাকলে তদন্ত হোক ॥ শিক্ষামন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (চাঁবিপ্রবি) জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। সম্প্রতি ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক প্রতিবেদনে তিনি দাবি করেছেন, ওই প্রক্রিয়ায় সরকারের প্রায় ৩৬০ কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের জবাবে খোদ অভিযোগের তীরে বিদ্ধ শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেছেন, যদি এখানে কোন দুর্নীতি হয় তাহলে আমিও চাই তদন্ত হোক। এবং তাদের আইনের আওতায় আনা হোক। তিনি বলেন, চাঁদপুরে প্রকৃতপক্ষে আমার কোন জমি নেই। হাসপাতাল এবং বৃদ্ধাশ্রম করার জন্য আমার ভাইয়ের যে জমি ছিল তাও হস্তান্তর করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আমার মনে হয়, যারা চান না চাঁদপুরে বড় বড় কোন কাজ হোক তারাই এর পেছনে কলকাঠি নাড়ছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজ বাসভবনে এক জরুরী সংবাদ সম্মেলনে ডাঃ দীপু মনি বলেন, যখনই অধিগ্রহণ হয়, সেখানে জমি কেনার একটা প্রবণতা থাকে। কিংবা যাদের জমি আছে, স্থাপনা বানিয়ে ফেলে। এটা বাংলাদেশের সব জায়গায়ই হয়ে থাকে। আমার ওখানেও (চাঁদপুর) সেটা ঘটে থাকতে পারে। সেটা আমি জানি না। কে আমার সঙ্গে রাজনীতি করেন বা করেন না, কে জমি কিনেছেন? তিনি বলেন, একটা মহল কিছুতেই চাইছে না ওইখানে (চাঁদপুর-৩) আমার মাধ্যমে এই বড় বড় কাজ হোক। সব জায়গায়ই রাজনৈতিক বিরোধিতা থাকে। রাজনৈতিক নানান রকম দ্বন্দ্ব-কলহ থাকে। আমার ওখানেও হয়ত কম-বেশি কিছু আছে। মন্ত্রী বলেন, আমার বড় ভাই (জে আর ওয়াদুদ টিপু) একজন চিকিৎসক। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি অল্প অল্প করে জমি কিনেছিলেন হাসপাতাল ও বৃদ্ধাশ্রম করার জন্য। যখন ওই জমিটা আমরা চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চাঁবিপ্রবি) জন্য পছন্দ করি, অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরুর পর আমার ভাই তার জমি বিক্রি/হস্তান্তর করেন। ঠিক কার কাছে হস্তান্তর করেছেন এ ব্যাপারে কিছু জানেন না উল্লেখ করে ডাঃ দীপু মনি বলেন, এর বাইরে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চাঁবিপ্রবি) জন্য যে জমি চিহ্নিত আছে, সেখানে আমার বা আমার পরিবারের কারও কোন জমি নেই। গত ১৩ বছরে আমার নির্বাচনী এলাকায় অনেক অবকাঠামো হয়েছে, হচ্ছে। আজ পর্যন্ত অধিগ্রহণকৃত জায়গায় আমার বা আমার পরিবারের কারও এক ছটাক জমিও ছিল না। বাস্তবিক অর্থে চাঁদপুরে আমার কোন জমিই নেই। আমার এলাকায় যে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপন করার কথা সেটি যথাসময়ে স্থাপিত হবে। এটা যেন ভূমি সংক্রান্ত কোন সমস্যা বা তৈরি করা কোন সমস্যা দিয়ে ঝুলে না যায়, বিলম্বিত না হয়। শাবি উপাচার্যকে এখনই অপসারণ সম্ভব নয় ॥ সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এখনই উপাচার্যকে অপসারণ সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। তিনি বলেছেন, উপাচার্যকে (ভিসি) সরানো হবে কিনা তা একমাত্র আচার্যের বিষয়। বললেই তা করা সম্ভব নয়। অনেক প্রক্রিয়া রয়েছে। যেগুলো পার করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের দেয়া এক সাক্ষাতকারে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সমস্যার সমাধান করতে চাইÑ সেটা একটি বিষয়। আর সরানো হবে কিনা, সেটি চ্যান্সেলরের বিষয়। আমরা সেটা নিয়ে বলার দিকে যাইনি। ভিসি সরানো সমস্যার সমাধান নয়। শিক্ষার্থীদের যে সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমাধান করার বিষয়।
×