ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মেট্রোরেলের পুরো কাঠামো দৃশ্যমান

প্রকাশিত: ২৩:২৩, ২৮ জানুয়ারি ২০২২

মেট্রোরেলের পুরো কাঠামো দৃশ্যমান

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ উত্তরা থেকে মতিঝিল এখন মেট্রোরেলের একটি পথ। শেষ ভায়াডাক্ট বসানোর মধ্য দিয়ে রেলপথটি ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটারের একটি পথে পরিণত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের কাছে ৫৮২ ও ৫৮৩ নম্বর পিয়ারের মধ্যে ভায়াডাক্টের শেষ অংশটি বসানো হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে ভায়াডাক্ট বসানোর কাজ শেষের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ২০১৭ সালের ১ আগস্ট প্রকল্পটির প্রথম পর্যায়ে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ শুরু হয়। ওই অংশে গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি ভায়াডাক্ট বসানোর কাজ শেষ হয়। শেষ স্প্যান বসানো সম্পর্কে জাপানী সিকিউরিটি কনসালটেন্ট ক্যান সিমুজু বলেন, এটা অবশ্যই আনন্দের। তবে আমাদের কাজ এখানেই শেষ নয়। এখনও অনেক কাজ বাকি। এটা প্রথম স্টেশন। বাকি স্টেশনের কাজগুলোও দ্রুত শুরু করতে হবে। ২০১৮ সালের ১ আগস্ট আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ৮ দশমিক ৩৭ কিলোমিটার মেট্রোরেলের দ্বি-তল সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ২০২২ সালের ২৭ জানুয়ারি এ অংশের সর্বশেষ সেগমেন্ট যুক্ত করে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পুরো ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার মেট্রোরেলের ভায়াডাক্ট বসানোর কাজ শেষ হলো। এম এ এন সিদ্দিক বলেন, ‘সব ঠিক থাকলে আগামী ডিসেম্বরে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশে ট্রেন চলাচল শুরু করা যাবে। এরপর ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যাবে ট্রেন।’ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে স্বপ্নের মেট্রোরেলের কাজ। এবার রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশের সর্বশেষ স্প্যান বসল। এর মাধ্যমে শেষ হলো মেট্রোরেলের প্রথম একটি অংশের স্প্যানের পুরোপুরি কাজ। তবে স্প্যানগুলোতে এখনও রেললাইন বসানোর কাজ চলছে। ঢাকার যানজট নিরসন ও নগরবাসীর যাতায়াত আরামদায়ক ও নির্বিঘœ করতে ২০১২ সালে গৃহীত হয় মেট্রোরেল প্রকল্প। এ প্রকল্পের দৈর্ঘ্য হবে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত, ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার। অর্থাৎ এ এলাকায় বসবাসকারী লাখো নগরবাসী মেট্রোরেল ব্যবহার করে গন্তব্যে যাতায়াত করতে পারবেন। গত বছরের ২৯ আগস্ট প্রথমবারের মতো মেট্রোরেলের ভায়াডাক্টের ওপর পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হয়। সেদিন ৬টি বগি নিয়ে দিয়াবাড়ি ডিপো থেকে মিরপুর ১২ নম্বর স্টেশন পর্যন্ত গিয়ে আবার ডিপোতে ফিরে যায় ট্রেন। এরপর থেকে নিয়মিতই পরীক্ষামূলক যাত্রা চলছে। এ প্রকল্পে ২৪ সেট ট্রেন চলাচল করবে। প্রতিটি ট্রেনে থাকবে ছয়টি করে কার। ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে ছুটবে যাত্রী নিয়ে। ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ হচ্ছে ৮টি প্যাকেজের আওতায়। এর মধ্যে ৩ থেকে ৬ পর্যন্ত চারটি প্যাকেজের আওতায় ভায়াডাক্ট ও স্টেশন নির্মাণের কাজ চলে। ঢাকার প্রথম মেট্রোরেল লাইনের জন্য ২৪ সেট ট্রেন তৈরি করে দিচ্ছে জাপানের কাওয়াসাকি-মিতসুবিশি কনসোর্টিয়াম। দুই পাশে দুটি ইঞ্জিন আর চারটি কোচের সমন্বয়ে ট্রেনের সেটগুলো জাপানেই তৈরি হচ্ছে।
×