ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ সারাবিশ্বে রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে বললেন মেয়র আইভী

বঙ্গবন্ধু কন্যা মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন : বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৮:১১, ২৭ জানুয়ারি ২০২২

বঙ্গবন্ধু কন্যা মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন : বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দিয়েছেন, ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন। এই কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছিল বলেই আজকে আমরা এদেশে মন্ত্রী-এমপি মেয়র নির্বাচিত হতে পেরেছি। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর দেওভোগে মর্গ্যান গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজে জেলা পরিষদের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক এ সব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের আবারো নব নির্বাচিত মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশে যে কাজ করছে তা সারাবিশ্বের কাছে রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু একটি মহল এসবের বিরুদ্ধে অসম্ভবভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। কীভাবে এই সরকারকে ছোট-খাটো করা যায়, সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা যায়, সেই চেষ্টা করছে। আমাদের সবাইকে এ বিষয়ে সোচ্চার থাকতে হবে। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার নুরুল হুদা। আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য আনিসুর রহমান দিপু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য মজিবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আহসান হাবীব ও সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম আরাফাত প্রমুখ। এ সময় জেলার ১৬১ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা ও সম্মাননা স্বরূপ ১০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়। মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ২০২৩ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে পুণরায় আমরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই। যতই ষড়যন্ত্র হোক না কেন এই ষড়যন্ত্রকে ছিন্ন করে আমরা এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখবো। উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য আমাদের এ সরকারকে আবারও প্রয়োজন। এটার জন্য আমরা যে যেখানেই থাকি না কেন সেখানে থেকে আমরা সরকারের ভালো কাজগুলো তুলে ধরবো। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা সবসময় আমার পাশে ছিলেন। ২০১১ সালে কঠিন মুহূর্তে সর্বপ্রথম মুক্তিযোদ্ধারা আমাকে নিয়ে মাঠে নেমেছিল। আমি এই কথা কোনো দিনও ভুলবো না। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মনে রাখবো। আপনাদের প্রতি সম্মান-শ্রদ্ধা আমার ভেতরে লালিত হবে। ২০১৬ সালেও তাই করেছিলেন, ২০২২ সালেও আমি প্রথম প্রচারণা করেছিলাম মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে। আপনাদের সাথে আমার একটা আত্মিক সম্পর্ক আছে, একটা হৃদয়ের বন্ধন আছে। সিটি মেয়র বলেন, এই সরকার স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি। এই সরকার আমাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। এমন কোনো সেক্টর নাই যেখানে কম-বেশি উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। সেটা নারী ক্ষমতা থেকে শুরু করে মুক্তিযোদ্ধা, বয়স্কভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ প্রচুর কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের প্রচারটা একটু কম বলে আমরা অনেক সময় বলি যে, সরকার কী করছে? সরকার বহু কিছু করেছে। সেগুলো তুলে ধরতে হবে। সরকার শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজে বের করে তাদের কবর বাঁধাই করছে। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেন, আমরা একাত্তরে দেশ স্বাধীন করেছিলাম। সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে গেলেন। তারপর স্বাধীনতার বিরোধী শক্তিরাই আবার ক্ষমতায় এসে মুক্তিযোদ্ধাদের মামলা-হামলা দিয়ে নাজেহাল করেছে। কাজ করবো তো দূরের কথা আমরা পালিয়ে বেরিয়েছি। তিনি আরও বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধা, আমি তো জানি আমাদের কী অবস্থা হয়েছিল। একটি সময় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দিতে পারতাম না। এখন মুক্তিযোদ্ধার সনদ পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াই। অথচ এক সময় চাকরির আবেদনে মুক্তিযোদ্ধা লিখতো না। কারণ মুক্তিযোদ্ধা লিখলেই চাকরি হতো না। কারণ ক্ষমতায় ছিল স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি।
×