নিজস্ব সংবাদদাতা, হবিগঞ্জ ॥ ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। এ হামলায় সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া নিহত হন। আহত হন ৭০জন নেতাকর্মী।
এ ঘটনার ১৭ বছর। এরমধ্যেও গ্রেনেডের অসংখ্য স্প্লিন্টার দেহে নিয়ে বেঁচে আছেন সেই সময়ে গুরুত্বর আহত আব্দুল্লাহ সরদার। এখনো তিনি পুরোপুরি সুস্থ নন। সে সময় তিনি ছিলেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এ ঘটনায় অকালে তার বাবাও প্রাণত্যাগ করেন। তার বাম হাত ও বাম পা এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেনি। ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারির ভয়াবহ স্মৃতি নিয়ে কথা বললে তিনি এখনো আঁতকে ওঠেন।
সেই সময় গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হলে তাকে বারডেম হাসপাতালে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা করানো হয়েছিল। এরপরেও জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে আর্থিকভাবে সহায়তা করেছেন। এজন্য তিনি নেত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ।
অশ্রুসজল চোখে তিনি বলেন, আমি বাবার লাশ কাঁধে বহন করে কবরস্থানে নিতে পারিনি। একজন মানুষের জীবনে এর চেয়ে বড় দুঃখের বিষয় আর কী হতে পারে।
গ্রেনেড হামলার সময় তিনি শাহ এএমএস কিবরিয়ার পাশে দাঁড়ানো ছিলেন। হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয় গ্রেনেড। গ্রেনেডের আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সেই থেকে এখন পর্যন্ত দেহে অসংখ্য স্প্লিন্টার নিয়ে বেঁচে আছেন। তিনি ২৭ জানুয়ারির ঘটনায় দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
