ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

যশোরে শ্বাসকষ্টের রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম

প্রকাশিত: ০০:১৭, ২৭ জানুয়ারি ২০২২

যশোরে শ্বাসকষ্টের রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ শ্বাসকষ্ট নিয়ে শত শত মানুষ ভর্তি হচ্ছেন যশোর জেনারেল হাসপাতালে। নিউমোনিয়াসহ ঠা-াজনিত রোগাক্রান্ত ‘রেকর্ড ব্রেকিং’ সংখ্যক শিশু হাসপাতালটি থেকে চিকিৎসা নিয়েছে। এখনও প্রতিদিন ঠা-াজনিত সমস্যা নিয়ে রোগী ভর্তি হচ্ছেন। ফলে তাদের চিকিৎসা দিতে হাসপাতালে কর্মরতরা রয়েছেন হিমশিম দশায়। হাসপাতালে স্থান সংকুলান না হওয়ায় বাইরের হাসপাতাল ক্লিনিকেও ঠা-াজনিত সমস্যায় আক্রান্তরা চিকিৎসা নিচ্ছেন এমনও খবর মিলেছে। গত এক সপ্তাহে হাসপাতালের শিশু বিভাগটিতে নিউমোনিয়াসহ ঠা-াজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নেয় আড়াই শতাধিক। অন্য ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীদেরও বহু সংখ্যক বয়স্ক নারী-পুরুষ ঠা-াজনিত কারণে শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এদিকে ভর্তি শিশুদের অনেকেই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। চলতি সপ্তাহে আড়াইশ শয্যার এই হাসপাতালে শিশু ভর্তির সংখ্যা আড়াইশ’ ছাড়িয়ে যায়, যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে দেয়। তবে এর মধ্যে সিংহভাগ শিশু রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। চলতি সপ্তাহে পর্যন্ত যশোর জেনারেল হাসপাতালে ঠা-া, সর্দি, কাঁশি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ২৫৩ জন শিশুকে ভর্তি করেন অভিভাবকরা। সর্বশেষ ২৬ জানুয়ারি ৪১ জনকে শিশুকে ভর্তি করা হয়। এখানে শিশু বেড রয়েছে ২৪টি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি এখানে কয়েকগুণ রোগী ভর্তি থাকায় তাদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। শিশু ওয়ার্ডের সিনিয়র নার্স সাজেদা পারভীন জানান, অধিক শিশু আক্রান্ত হলেও এরই মধ্যে অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। বাকি শিশুদের চিকিৎসায় কোন রকমের গাফিলতি হচ্ছে না। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ আখতারুজ্জামান জানান, বৈরী আবহাওয়া ও শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় শিশুসহ নানা বয়সের নারী-পুরুষ সর্দি-জ¦র, কাশিসহ ঠা-াজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসছেন। জনবল সঙ্কটসহ নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সবাইকে প্রপার চিকিৎসা দিতে ডাক্তারসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করছেন। গাইবান্ধায় রোগী বাড়ছে নিজস্ব সংবাদদাতা গাইবান্ধা, থেকে জানান, মাঘের শুরু থেকেই শীতের তীব্রতা অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত কয়েকদিন থেকে মেঘ ও কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে আকাশ। বুধবার সকালে কিছু সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও শীত কমেনি। হাড়কাঁপানো শীত ও কনকনে হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সেইসঙ্গে জেলা হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে দীর্ঘ হচ্ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্কদের লাইন। জানা গেছে, ঠা-ায় নিমোউনিয়া, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া ও জ্বরসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডে শিশু ও বয়স্করা চিকিৎসা নিচ্ছে। হঠাৎ করে রোগী বেড়ে যাওয়ায় শয্যা সঙ্কটে অনেককেই ওয়ার্ডের মেঝে এবং বারান্দায় চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। জেলা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডাঃ এসএম তানভীর রহমান জানান, শীতের এ সময় এ ধরনের রোগীর সংখ্যা বাড়ে। তবে এ বছর এখন পর্যন্ত শীতজনিত রোগীর সংখ্যা সহনীয় পর্যায়েই রয়েছে। প্রতিদিন রোগী ভর্তি হচ্ছে ২শ-২শ ২০ জন, যা অন্যান্য সময়ের মতোই।
×