ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সমঝোতা প্রত্যাশিত

প্রকাশিত: ২১:৩৬, ২৭ জানুয়ারি ২০২২

সমঝোতা প্রত্যাশিত

দাম্পত্য জীবনের সূচনা নানাভাবেই হতে পারে। কেউ বন্ধু থেকে হয় জীবনসঙ্গী। কেউ একেবারে অচেনা থেকে হয়ে ওঠে একান্ত আপনজন। শুরু যেমনই হোক দাম্পত্য জীবনের টানাপড়েনে জন্ম হয় নানা ঘটনার। বৈবাহিক সম্পর্কের মাধ্যমে দাম্পত্যজীবন ও পারিবারিক জীবনের সূচনা হয়। সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নার মধ্য দিয়ে নারী-পুরুষের সমাজশোভন পরস্পর-পরমনির্ভর সম্পর্ক হলো দাম্পত্য জীবন। নারী-পুরুষের বিবাহি-পরবর্তী সময়ের এই দাম্পত্য জীবনে ঘটে যায় নানা ঘটনা। স্বামী-স্ত্রীর সহমর্মিতা, শ্রদ্ধাবোধ ও ভালবাসার অভাবে সাংসারিক জীবনের সমাপ্তি ঘটায়। অবসান না ঘটলেও আবার কোন কোন পরিবারে তৈরি হয় পারিবারিক কলহ। মানুষের জীবনে দাম্পত্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দাম্পত্য জীবন সুখের না হলে বা বোঝার জায়গাতে মিল না হলে জীবন হয়ে উঠতে পারে বিষাদময়। দাম্পত্য জীবনে ছোট ছোট কিছু ভুলের কারণে প্রবহমান জীবনের সঠিক রাস্তা হতে ছিটকে পড়তে পারি আমরা। অথচ একটু সচেতন হলে এড়ানো যায় এসব সমস্যা। জগত সংসারে নারী ও পুরুষ একে অপরের সঙ্গে সৃষ্টিলগ্ন থেকে জড়িত। সৃষ্টিকর্তা একে অন্যকে পরিপূরক করে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। যার কারণে নারী-পুরুষের বৈবাহিক বন্ধন একটি স্বর্গীয়, সামাজিক এবং শাশ্বত বিষয় হিসেবে বিবেচ্য হয়। পুরো জীবনের একটি সিদ্ধান্ত নিতে পরিবার ও ভবিষ্যত দম্পতি অনেক কিছু যাচাই-বাছাই করতে থাকেন। তারপর ব্যাটে-বলে মিলে গেলে দুজনের সম্মতিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সারাজীবন একে অন্যের হয়ে যান। কিন্তু সুখের আশায় বুক বাঁধলেও সেই বুকের পাঁজর সবার ক্ষেত্রে অক্ষত থাকে না। সংসার জীবন কারও কারও কাছে স্বর্গীয় আশীর্বাদ না হয়ে নারকীয় অভিশাপ হয়ে যায়। দুজনের মানিয়ে নেয়ার চেষ্টায় না পারতে পেরে একটা সময় আলাদা হবার সিদ্ধান্তও চলে আসে। বিবাহ বিচ্ছেদের সঙ্গে বর্তমানে আরেকটি বিষয়ও জড়িত থাকতে পারে। সেটা হচ্ছে পরকীয়া। বর্তমানে পরকীয়ার কারণে অসংখ্য সাংসারিক জীবনেও ঘটে যাচ্ছে পারিবারিক কলহ কিংবা বিচ্ছেদের ঘটনা। আবার খুনোখুনির মতো চরম অগ্রহণযোগ্য ঘটনাও ঘটে থাকে। ভুল কিন্তু সবারই হতে পারে। তাই স্বামী বা স্ত্রী যদি কোন ভুল বা অন্যায় করে থাকে, তাহলে সেটা একে-অপরকে জানিয়ে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। কেউ আগে ক্ষমা চাইলেই যে সে ছোট হয়ে যাবে, ব্যাপারটি তেমন নয়। দুজনই দুজনের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে। পারিবারিক কলহ, বিবাহ বিচ্ছেদ কিংবা খুনোখুনির ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবারের নিরপরাধ সন্তানরা। স্বামী-স্ত্রীর বিবাহ বিচ্ছেদের কারণে শিশুদের কচি হৃদয়ে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে তা ভুক্তভোগী ছাড়া কেউ বুঝতে পারে না। বাবা-মায়ের বিবাহ ‘বিচ্ছেদের বলী’ অবুঝ শিশুদের স্বাভাবিক জীবন থেকে দূরে ঠেলে দেয়। বাবা-মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদে শিশুদের কচি হৃদয়ে যে রক্তক্ষরণ হয় তা সারাজীবন বয়ে বেড়ায়। নানা কারণে সমাজ ও পারিবারিক জীবনে অস্থিরতা বেড়েছে। শহর-গ্রাম, উচ্চশিক্ষত-অশিক্ষিত বিভিন্ন মত পথ ও পেশার মানুষের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ বাড়ছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অধিকার বঞ্চিত শিশুর সংখ্যা। তাই স্বামী-স্ত্রীর মধুর সমঝোতাই পারে সকল সমস্যার সমাধান ঘটাতে। চাঁদপুর সদর থেকে
×