ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সন্ধ্যা হলেই চলে মাদকের আড্ডা

জবি ছাত্রী হলের সামনে ভ্যান-রিকশাস্ট্যান্ড

প্রকাশিত: ১৯:৫০, ২৬ জানুয়ারি ২০২২

জবি ছাত্রী হলের সামনে ভ্যান-রিকশাস্ট্যান্ড

জবি সংবাদদাতা ॥ বাংলা বাজারের নিকটস্থ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ২০২০ সালে ২০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে উদ্বোধন হলেও এখনো অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে হলের অগ্রভাগের এই জায়গা। সন্ধ্যা হলেই ঝাঁপড়ি বেধে প্রকাশ্যে শুরু হয় মাদকের ব্যবহার। শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের সুবিধার্থে হল চালু হওয়ার আগেই যেন রিকশা ও মাদকের আড্ডাখানা সরানো হয়। বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, ছাত্রী হলের গেটের সামনে থেকে প্রায় ৫০ মিটার জায়গাজুড়ে ভ্যান-রিকশায় সম্পূর্ণ ভরে রয়েছে। এতে মাঝে মাঝে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীসহ যাতায়াতকারীদের। রিকশা-ভ্যানে অবস্থানকারীরা অনেক সময় বাজে মন্তব্যও করে বসেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী বলেন, করোনার কারণে আমরা অনেক দিন বাড়িতে ছিলাম। ঢাকায় এসে আমরা কৌতূহলবশত পাঁচ জন বান্ধবী হল দেখতে আসি কিন্তু দূর থেকে দেখি ভ্যান-রিকশায় বসে থাকা লোকগুলো আড্ডা দিচ্ছিলেন ও ধূমপান করছিলেন। এমন অবস্থা দেখে আমরা আর ভেতরে প্রবেশ না করে ফিরে আসি। আমরা চাই, হল খোলার আগেই যেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এগুলো উচ্ছেদ করে দেয়। অন্যদিকে একই পথে বাংলা বাজার সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় হওয়ায় সমস্যায় পড়তে হয় শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকদেরও। শারমিন আক্তার নামে এক অভিভাবককে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমার মেয়ে আলভী ক্লাস সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। আমি ও আমার মেয়ে এসেছি বই নিতে। গত মাসে আমরা গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম বেড়াতে, গতকাল ঢাকায় এসেছি এবং আজ বই নিতে আসলাম। গেটের সামনে এমন অবস্থার কারণে আমাদেরও নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আমার বাসা কাছেই তবুও মেয়েকে একা ছাড়তে ভয় করে এদের জন্য। মাঝে মাঝে ডিস্টার্বও করে এরা। এ বিষয়ে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম জনকণ্ঠকে বলেন, ‘আসলে এর আগেও কয়েকবার তাদের এখান থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। আমি সকালে গিয়ে হলে যে গাছ লাগানো হয়েছে সেটা দেখে আসি তখন তাদের দেখা যায় না। রাত হলেই তারা এখানে এসে আড্ডা দেয় এবং মাদক সেবন করে। আর হলটি আমরা এখনো বুঝে পাইনি। হলের কাজ প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে গেছে কিন্তু প্রকল্প পরিচালক আমাদের এখনো হল হস্তান্তর করেনি। তাই আমরা কিছু করতে পারছি না। তবে হল চালু হওয়ার আগেই গেটের সামনে সিসি ক্যামেরা এবং উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বাল্ব দেওয়া হবে যাতে কেউ এখানে এসে আর আড্ডা দিতে না পারে।’ হলে কবে নাগাত ছাত্রীরা উঠতে পারে জানতে চাইলে প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম বলেন, ৬ ফেব্রুয়ারির নিষেধাঞ্জা উঠে যাওয়ার পরেই হলে ছাত্রী ওঠানো হবে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল জনকণ্ঠকে বলেন, ছাত্রী হলের এরিয়ায় যত্রতত্র রিকশা-ভ্যান রাখা ও সেখানকার অনৈতিক কাজকর্ম যারা করে তাদের বিরুদ্ধে আমি অতি দ্রুতই ব্যবস্থা নিচ্ছি।
×