ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মাদারীপুরে চিকিৎসার অবহেলায় সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশু মৃত্যুর অভিযোগ

প্রকাশিত: ১৯:৪০, ২৫ জানুয়ারি ২০২২

মাদারীপুরে চিকিৎসার অবহেলায় সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশু মৃত্যুর অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর ॥ মাদারীপুরে চিকিৎসার অবহেলায় সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশু মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট সেফ ডেলিভারী হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সোমবার রাত ১২টার সময় ভূক্তভোগির পরিবার ও এলাকাবাসি হসপিটাল ঘেরাও করে চিৎকার চেচাঁমেচি করে। পরে খবর পেয়ে রাজৈর থানার ওসি শেখ সাদিক ও রাজৈর-শিবচর এসপি সার্কেল আনিসুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে বিচারের আশ্বাস দিলে ভূক্তভোগিরা চলে যায়। ওই হসপিটালে স্বামী মোঃ আবুল হোসেন ও স্ত্রী হাফিজা আক্তার রতœা দুইজন ডেলিভারী কাজে সর্বেসর্বা। এখানে কোন এমবিবিএস ডাক্তার বা ডিএমএফ বা এলএমপি চিকিৎসক নেই। প্রভাবশালী মহল এঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ভূক্তভোগি প্রসূতি জেসমিন বেগমের স্বামী রাকিব বলেন, ‘আমার স্ত্রী জেসমিন বেগমের প্রসব বেদনা উঠলে রবিবার রাত ৯টার দিকে টেকেরহাট সেফ ডেলিভারী হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে আসলে ৮হাজার ৪০০ টাকায় চুক্তিতে ভর্তি করে হসপিটালের মালিক হাফিজা আক্তার রতœা। পরে ওইদিন রাত ১টার দিকে তারা স্বামী ও স্ত্রী মিলে প্রসূতির নরমাল ডেলিভারী সম্পন্ন করে। এসময় আমার বাচ্চার শ^াস প্রশ^াসে সমস্যা দেখা দিলে যথাযথ চিকিৎসা না দিয়ে সোমবার বেলা ১২টার সময় আমাদের হসপিটাল থেকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। পরে আমার বাচ্চা ওইদিন রাত ১০টার দিকে মারা যায়। ওই হসপিটালে কোন ডাক্তার ছিলো না। আমার বাচ্চার মৃত্যুর বিচার চাই।’ এ ব্যাপারে কথিত ডাক্তার হাফিজা আক্তার রতœা বলেন, ‘সদ্যভুমিষ্ট শিশুটি সুস্থ অবস্থায় বাড়ি নিয়ে গেছে। হয়ত ঠিকমত ঔষধ খাওয়াতে ভুল করায় শিশুটির মৃত্য হয়ে থাকতে পারে। তবে মিমাংসা কথা-বার্তা চলছে।’ হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার সমিতির সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘ঘটনা জেনেছি। ডাক্তার ছাড়া প্রসুতির ডেলিভারী করানো কাম্য নয়, অনাকাংখিত।’ মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডাঃ মুনির আহমদ খান বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অপ্রশিক্ষিত বা সনদ বিহীন ব্যক্তি এ কাজ করে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষ বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে সনদ বিহীন ব্যক্তিদের এ কাজে সম্পৃক্ত হবার কোন সুযোগ নেই।’ উল্লেখ্য,, টেকেরহাট বন্দরসসহ রাজৈর উপজেলা মোট ২৩টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল রয়েছে। ২/১টা ব্যতিরেকে এ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালগুলিতে কাগজে কলমে নিয়োগ দেয়া থাকলেও সার্বক্ষনিক এমবিবিএস ডাক্তার বা ডিএমএফ অথবা এলএমপি পল্লী চিকিৎসক বা প্রশিক্ষিত নার্স থাকে না। অথচ হসপিটাল চালুর করার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের লাইসেন্স দিয়েছেন।
×