ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সৈয়দপুরে পৌর বর্জ্যে সরকারি অর্ধকোটি টাকার সম্পত্তি বেদখল

প্রকাশিত: ১৯:৩৩, ২৫ জানুয়ারি ২০২২

সৈয়দপুরে পৌর বর্জ্যে সরকারি অর্ধকোটি টাকার সম্পত্তি বেদখল

সংবাদদাতা, সৈয়দপুর, নীলফামারী ॥ সৈয়দপুরে বর্জ্য দিয়ে বাঁধ দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় অর্ধ কোটি টাকা মুল্যের জমি অবৈধ দখলে নিয়েছেন স্থানিয় প্রভাবশালীরা। এতে বর্ষা মৌসুমে ওই নালার তীরবর্তি এলাকা প্লাবিতসহ ধ্বসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করছেন এলাকাবাসী। জানা গেছে, সৈয়দপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কয়াগোলাহাট ডাঙ্গাপাড়া বাবুলাল মুচির বাড়ি সংলগ্ন পঁচানালা খালের ব্রীজের পাশে পাউবো’র ১২ শতক একটি খাল ছিল। এ খাল হয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার অতিবৃষ্টি কিংবা আকস্মিক বন্যার পানি ওই খাল দিয়ে গড়িয়ে পঁচানালায় পড়তো। পাশের জমির মালিক মোক্তার হোসেন গত দুই বছর ধরে সৈয়দপুর পৌরসভার আর্বজনা বাহিত গাড়ি চুক্তিতে ময়লা ফেলে পানি উন্নয়ন বোডের ১২ শতকের খালটি ভরাট করে। দির্ঘ দুই বছর এ খালটি ভরাটের সময় বর্জ্যরে দূর্গন্ধে টড়ম ভোগান্তির শিকার হন এলাকাবাসীসহ পথচারীগণ। ভরাটের পর সেখানে দখল স্থায়ি রাখতে এক আইনজীবীর সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। শুধু তিনি নয়, পাউবো’র ওই খাল সংলগ্ন রব্বেল হোসেন নামে অন্য এক ব্যাক্তি বাঁশের বেড়ায় ঘিরে ঘাস চাষের মাধ্যমে সরকারি জমি দখলে নিয়েছেন। বেদখল হওয়া এ সকল জমির বর্তমান বাজার মুল্য প্রায় অর্ধ কোটি টাকা বলেন জানান স্থানিয়রা। এ নিয়ে এলাকাবাসি সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোড কতৃপক্ষের ভুমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আনোয়ার হোসেন নামে এক এলাকাবাসি জানান, ময়লা-আবর্জনা ফেলে সরকারী জায়গা ভরাট করা হলো পানি উন্নয়ন বোর্ডের কেউ দেখলো না? নাকি দেখেও না দেখার ভান করেছেন। এতে বর্ষা মৌসুমে কিংবা আকস্বিক বন্যায় এই খাল সংলগ্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি খালটির বাঁধ পলিথিন ও ময়লা আর্বজনায় ভরাট করায় সহজে বাঁধটি ধ্বসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে আশংকা করছেন তারা। সৈয়দপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোস্তাফিজুর রহমান মুন্না সরকার বলেন, আমার জানা মতে ২০১৪ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড সৈয়দপুর পওর বিভাগের তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস শহীদ ভূমিহীন কছিমুদ্দিন ওরফে ফকিরকে ওই ১২ শতক জায়গা দেখভালের জন্য লিখিত অনুমতি দেয়। কিন্তু অন্যরা ওই জমি কিভাবে ভরাট করে দখলে নিলেন তা আমার জানা নেই। সৈয়দপুর-১ পওর শাখার কর্মকর্তা উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাউফুল হাসান রনি বলেন, আমি নতুন এসেছি। পাউবো’র জায়গা অবৈধ ভাবে কেউ দখলে নেয়ার সুযোগ নেই। অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোডের উপ-বিভাগিয় প্রকৌশলী আমিনুর রশিদ বলেন, আমি সদ্য এসেছি। বিষয়টি অবগত ছিলাম না। তবে দ্রুত ওই দখল কারীর বিরুদ্ধে আইনি অভিযানের মাধ্যমে সরকারি সম্পত্তি দখল মুক্ত করা হবে।
×