ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, তবুও উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি

প্রকাশিত: ১৫:৫৫, ২৫ জানুয়ারি ২০২২

রাজশাহীতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, তবুও উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ করোনা আক্রান্তের ভয়াবহতার দিক দিয়ে রাজশাহী রেডজোনে। জেলায় প্রতিদিনই করোনা শনাক্তের হার বাড়ছে। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজন মারাও গেছে। জেলায় মঙ্গলবার পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার ৫৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ রোগী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এরপরও সাধারণ মানুষের মাঝে নেই সচেতনতা। রাজশাহীজুড়ে সরকারি বিধি-নিষেধ কিংবা স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা একেবারেই অনুপস্থিতির কারণেই শনাক্তের এই হার প্রতিনিয়ত বাড়ছে। রাজশাহীতে সোমবার সরেজমিন দেখা যায়, মহানগরীর কোথাও স্বাস্থবিধি মানার বালাই নেই। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শপিংমল, মার্কেট, দোকানপাট, রাস্তাঘাট, গণপরিবহন সকল ক্ষেত্রেই চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। আগের মতই স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে জনসাধারণকে রাস্তাঘাট, খোলাবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে চলাচল করতে দেখা গেছে। মঙ্গলবার নগরীর ব্যস্ততম সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট, আরডিএ মার্কেট, নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন শপিংমল ও খোলা বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে উপচে-পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এসময় অনেককেই মাস্ক ছাড়া ঘোরাফেরা এবং ব্যবসা-বাণিজ্য করতে দেখা গেছে। নগরীর খাবারের দোকান, হোটেল, রেস্টুরেন্টেও নেই কোনো বিধি-নিষেধ মানার প্রবণতা। গণপরিবহন আসন সংখ্যার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে বাস চলাচল করতে দেখা গেছে। অনেকের মুখে অনুপস্থিত মাস্ক। শুধু মহানগরীর অভ্যন্তরেই নয়, জেলার বাকি ৯টি উপজেলাতেই একই অবস্থা। রাজশাহী জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল বলেন, ‘জনগণ ধরেই নিয়েছে ওমিক্রনে মানুষ আক্রান্ত হলেও হাসপাতালে ভর্তি হওয়া লাগছে না কিংবা মারা যাচ্ছে না। এজন্য স্বাস্থ্যবিধি মানতে মানুষের মধ্যে বেশ অনীহা তৈরী হয়েছে। কিন্তু জনগণের এমন ধারনা ভুল। কারণ করোনা যেকোনো সময় মারাত্মক আকার ধারন করতে পারে।’ ডিসি আরও বলেন, ‘স্বাস্থবিধি মানার ব্যাপারে জনগণকে সচেতন হতে হবে। তা না হলে শুধু ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে মোবাইল কোর্ট করিয়ে কিংবা তথ্য অধিদফতর থেকে মাইকিং করিয়ে কোনো লাভ হবে না। স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করায় প্রতিদিনই জরিমানা করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন করতে নিয়মিত মাইকিংও করা হচ্ছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান ড. তবিবুর রহমান বলেন, করোনা সংক্রমণ খুবই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। যদি এভাবে ক্রমাগত বাড়তে থাকে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া মুশকিল হবে। শিক্ষাথীদের উচিত হবে যাদের অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে তাদের বাড়ি চলে যাওয়া। অন্যথায় সবার মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে করোনা। তিনি আরও বলেন, যারা এখনো টিকার আওতায় আসেনি তাদের দ্রুত টিকার আওতায় আনতে হবে। স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে শিক্ষাথীদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত।
×