ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ওমিক্রনে শিশুদের ঝুঁকি বাড়ছে

প্রকাশিত: ১৩:০১, ২৫ জানুয়ারি ২০২২

ওমিক্রনে শিশুদের ঝুঁকি বাড়ছে

অনলাইন ডেস্ক ॥ দেশে ওমিক্রনের ঢেউ আসার আগে থেকেই বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, এতে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হতে পারে এবং যা শিশুদের জন্য বেশি সমস্যার হতে পারে। শেষ পর্যন্ত তাই সত্যি হলো। করোনায় আক্রান্ত শিশুদের জন্য আলাদা ইউনিট রয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ও ঢাকা শিশু হাসপাতালে। এই দুই হাসপাতালের এবং শিশু বিশেষজ্ঞদের দেয়া তথ্য বলছে, ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রনে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে এবং তাদের শরীরে বেশি উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। এছাড়া শিশু-কিশোরদের মধ্যে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকারের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনাও তেমনটাই বলছে। ২১ জানুয়ারি শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি স্কুলে সংক্রমণ হার বেড়ে যাচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী আক্রান্ত হচ্ছে এবং তারা ডাক্তারের কাছে যাচ্ছে চিকিৎসার জন্য। এটা আশঙ্কাজনক। সে কারণে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে তার সম্মতি সাপেক্ষে স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ওই দিন থেকেই পরবর্তী দুই সপ্তাহ স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার এবং পরে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ঢাকা শিশু হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, দুই সপ্তাহ আগেও করোনায় আক্রান্ত হয়ে এই হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা শূন্য বা ১ জন ছিল। কিন্তু এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ জনে। যা আগের তুলনায় ৫ থেকে ৬ গুণ বেশি। এছাড়া শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছেও ওমিক্রনের উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। যা গত এক মাস আগের তুলনায় ৩ থেকে ৪ গুণ বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওমিক্রনের উৎপত্তিস্থল দক্ষিণ আফ্রিকার পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায়, ৫ বছরের কমবয়সি শিশুদের ওপর ওমিক্রন বেশি প্রভাব ফেলেছিল। বিশেষ করে যেসব শিশুর অন্য কোনো জটিল অসুখ আছে বা যারা অল্পেই অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাদের ক্ষেত্রে ওমিক্রন বেশি প্রভাব ফেলেছে। এটা করোনার আগের কোনো ধরনের ক্ষেত্রে দেখা যায়নি। চিকিৎসকরা বলছেন, শিশুরা মূলত আক্রান্ত হয় বাড়ির বড়দের থেকেই। তাই বড়দের উপসর্গ দেখা দিলেই নিজেদের আইসোলেট করতে হবে। যাতে তাদের থেকে শিশুরা সংক্রমিত না হন।
×